সাম্প্রতিক শিরোনাম

Menu

Browsing "Older Posts"

আপনি "health" বিভাগ ব্রাউজ করছেন

ভ্রমণে বমি এড়িয়ে চলুন সহজ ৪টি উপায়ে

Friday, February 5, 2016 / No Comments

ভ্রমণ অনেক আনন্দের, অনেক রোমাঞ্চকর একটি বিষয়। কিন্তু অনেকেই বাস বা গাড়িতে বমি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। বিশেষ করে দূরের ভ্রমণের সময় অনেকেই মোশন সিকনেস বা বমি বমি ভাব হওয়ার সমস্যায় পড়ে থাকেন। এই অনুভূতিটি খুবই বিরক্তিকর এবং অস্বস্তিকর। এই সমস্যার কারণে অনেকেই দূরে ভ্রমণ করতে ভয় পান। গাড়ির গতির কারণে কানের অভ্যন্তরীণ ভেসটিবুলার অংশে যে তরল থাকে তা নাড়িয়ে দিয়ে থাকে। যার কারণে বমি বমি ভাবের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই অস্বস্তিকর বমি বমি ভাব দূর করে ফেলুন সহজ কিছু উপায়ে। 

১। আদা

American Journal of Physiology – Gastrointestinal and Liver Physiology in 2003 এর মতে যেসকল ব্যক্তিরা ভ্রমণের আগে কিছু পরিমাণে আদাকুচি খেয়ে থাকেন, তাদের ভ্রমণ সহজ হয়ে থাকে।
কয়েক টুকরা আদা কুচি দুইকাপ পানিতে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরসাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। ভ্রমণের আধঘন্টা আগে এটি পান করুন। এছাড়া এক চা চামচ আদার রস এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভ্রমণের আগে পান করুন।

২। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

দুই টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং এক টেবিল চামচ মধু এক কাপ কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। ভ্রমণের আধাঘণ্টা আগে এটি আস্তে আস্তে পান করুন। এটি আপনার পাকস্থলিকে সুস্থ করে বমি বমিভাব দূর করে থাকে। আপনার যদি ভ্রমণের সময় বমি চলে আসে তবে আধা কাপ পানিতে এক চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন। এটি সাথে সাথে আপনার বমি বমি ভাব প্রতিরোধ করে দিবে।

৩। লেবু

লেবু এবং লেবুর রসে সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে যা বমি বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরসাথে এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে নিন। ভ্রমণের সময় অল্প অল্প করে এটি পান করুন। ভ্রমণের সময় এক টুকরো লেবু মুখে রাখতে পারেন।

৪। যষ্টিমধু

যষ্টিমধু আপনার বমি বমি ভাব দূর করে দিতে সাহায্য করে থাকে। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান বমি বমি ভাব দূর করে ক্লান্তি দূর করে থাকে। আধা গ্লাস পানির মধ্যে এক চা চামচ যষ্টিমধু মিশিয়ে জ্বাল দিন। পাঁচ মিনিট জ্বাল দিন। তারপর ছেঁকে এটি ভ্রমণের আগে পান করে নিন। ভ্রমণের সময় বমি বমি ভাব রোধে আপনি কিছুটা যুষ্টিমধু মুখে দিয়ে রাখতে পারেন।
টিপস:
১। ভ্রমণের আগে চর্বি বা তৈলাক্ত এবং মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২। যেদিকে ভ্রমণ করবেন তার বিপরীত দিকে বসা থেকে বিরত থাকুন।
৩। বাসের পিছনের সিটে বসা এড়িয়ে চলুন।
৪। বেশি খারাপ লাগলে চোখ বন্ধ করে রাখুন।
৫। গাড়ির জানালাটি খোলা রাখুন এতে ফ্রেশ ঠান্ডা বাতাস গাড়িতে প্রবেশ করার সুযোগ পাবে।

টেস্ট ছাড়াই সহজে জেনে নিন আপনি কি অন্তঃসত্ত্বা

Sunday, August 16, 2015 / No Comments
how-to-check-pregnancy-at-home-by-home-remedies

মা হওয়ার ইচ্ছা প্রতিটি মেয়ের মধ্যেই থাকে। তবে আকস্মিক প্রেগন্যান্সিতে অনেকেই প্রথমে টেস্ট করাতে যেতে চান না। বিশেষত অপ্রত্যাশিত প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে আপনি বাড়িতেই কিছু প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাতে পারেন। প্রেগন্যান্সির কিছু সম্ভবনা যদি আপনার মধ্যে থেকে থাকে তাহলে প্রথমে আপনি ঘরেরই নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিষ দিয়ে টেস্ট করতে পারেন।
১. ব্লিচিং পাউডার
শুনতে অবাক লাগলেও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে টেস্ট করেই বুঝতে পারেন আপনি অন্তঃসত্ত্বা কি না। এক্ষেত্রে আপনাকে আধকাপ ব্লিচিং পাউডার নিতে হবে। দিনের প্রথম ইউরিন ওই ব্লিচিং পাউডারে দিয়ে দিন। দুটির মিশ্রণে যদি ফেনা তৈরি হয় তাহলে আপনি সন্তানসম্ভবা।
২. পাইন সল
ফিনাইলের মতো একপ্রকার ঘর পরিস্কার করার তরল হল পাইন সল। এটির মাধ্যমেও আপনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন। আধকাপ পাইন সল নিন। তাতে দিনের প্রথম ইউরিন মেশান। পাইন সলের রঙ যা-ই হোক না কেন তা যদি আপানার ইউরিনের সঙ্গে মিশে রঙ পরিবর্তন করে, বুঝতে হবে আপনি প্রেগন্যান্ট।
৩. ডেনডেলিয়ন পাতা
ডেনডেলিয়ন একধরনের বন্য ফুল। এর পাতাও আপনাকে বলে দিতে পারে আপনি প্রেগন্যান্ট কি না। প্রথমে এই ফুলগাছ থেকে কয়েকটি পাতা নিয়ে ছায়ায় একটি প্লাস্টিকের উপরে রাখুন। এবার দিনের প্রথম ইউরিনে এটি দিয়ে দিন। ইউরিন শুষে নেওয়ার পরে এর পরিবর্তন লক্ষ্য করুন। ১০মিনিট পরে যদি পাতাটির উপরে ফোস্কার মতো দাগ তৈরি হয় তাহলে আপনি প্রেগন্যান্ট।
৪. সরষে বাটা
যদি পিরিয়ডের নির্দিষ্ট দিন পার হয়ে যায় তাহলে তা প্রেগন্যান্সির লক্ষণ হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রেগন্যান্ট না হয়ে শুধুমাত্র ডিলেড পিরিয়ডও হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সি কনফার্ম করার জন্য ইষদুষ্ণ জলে সরষে পাউডার বা সরষে বাটা মিশিয়ে স্নান করুন। যদি আপনি প্রেগন্যান্ট না হন তাহলে পর দিনই আপনার পিরিয়ড হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকবে।
৫. তুনা জুস ও ভিনিগার
একটি কাপের চার ভাগের এক ভাগ তুনা মাছের তেল ও সমপরিমাণ ভিনিগার মেশান। এতে প্রেগন্যান্সি টেস্টের জন্য দিনের প্রথম ইউরিন মেশান। যদি এই মিশ্রণের রঙ পরিবর্তিত হয়ে সবুজ হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি প্রেগন্যান্ট। কিন্তু যদি রঙ পরিবর্তিত হয়ে হলুদ অথবা কমলা হয় তাহলে আপনি প্রেগন্যান্ট নন।
৬. সাবান
প্রতিদিনের ব্যবহারের সাবানের সাহায্যেও বুঝতে পারবেন আপনি প্রেগন্যান্ট কি না। একটি সাবানের সঙ্গে দিনের শুরুর ইউরিন মেশান। এতে যদি ফেনা তৈরি হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনি প্রেগন্যান্ট।

অফিসে বসেই ওজন কমানোর পাঁচ উপায়

/ No Comments
five-ways-to-lose-weight-sitting-in-the-office

অফিসে বসে কাজ? ওজন বাড়ছে তাতেই? সে তো বাড়বেই৷ প্রতিদিন আট থেকে নয় ঘন্টা এক জায়গায় বসে থাকলে শরীর চালনা হয় না৷ ফলে ক্যালোরিও পোড়ে না পর্যাপ্ত পরিমাণ৷ আর তার ফলেই বেড়ে যায় ওজন৷ এই সমস্যা বোধ হয় প্রায় ১০ জনের মধ্যে আটজন অফিস কর্মীরই৷ কিন্তু উপায় আছে অফিসে থেকেও শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরিয়ে ফেলার৷ এর জন্য আপনাকে আলাদা করে সময় বের করতে হবে না৷ কাজ করতে করতে অনায়েসেই এই সহজ কয়েকটি পথ অনুসরণ করতে পারেন আপনি৷ আর তাতে সমস্যা মিটবে আপনার৷
১. কাজের মাঝে বিরতি নিন৷ অনেকক্ষণ এক নাগাড়ে কাজ করার মাঝে এক দু’বার নিজের চেয়ার থেকে উঠুন৷ কফি খান৷ রিল্যাক্স করুন৷ তাতে আপনার শরীরের চালনা হবে৷
২. জল খান বেশি করে৷ অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে শুধু চর্বি বাড়ে তা নয় হজমেরও গণ্ডগোল হয়৷ তাই বেশি করে জল খান৷ এতে আপনার হজমের সমস্যাও দূর হবে আবার ক্যালেরি পুড়তেও সাহয্য করবে৷ পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য বেশি করে খান৷ এতে ক্যালোরি পোড়ার পরিমাণ বাড়ে৷ অ্যাভোকাডো, নারকোলের জল এসবে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে৷
৩. অবসরের খাবারের দিকে নজর রাখুন৷ বেশি ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া কখনওই উচিত নয়৷ বিশেষত যে সব খাবারে সুগার বেশি সেসব খাবারও বাদ দিন আপনার তালিকা থেকে৷ চকোলেট জাতীয় খাবার বা আইসক্রিম খাবেন না৷
৪. চেয়ারে বসেই কিছু অল্প ব্যায়াম করুন৷ এতে আপনার শরীরে প্রতিদিন একশ’রও বেশি ক্যালোরি পুড়তে পারে৷ চেয়ারে বসেই আপনার পা মাটিতে ঠেকিয়ে রাখুন৷ এবার আপনার শরীরের উর্দ্ধভাগকে একবার একদিকে যতটা সম্ভব ঘোরানোর চেষ্টা করুন৷ আবার বিপরীত দিকেও একই ভাবে ঘোরান আপনার শরীর৷ দিনে অন্তত দশবার করে এই ব্যায়াম করুন চেয়ারে বসে৷
৫. পা মেঝে থেকে অল্প উপরে তুলে রাখুন৷ এবার দুই পায়ের পাতাকে উপর দিকে করে নিজের শরীরের দিকে টেনে রাখুন দশ সেকেন্ড৷ এবার ছেড়ে দিয়ে ঠিক উল্টো দিকে অর্থাৎ শরীরের বাইরের দিকে ঠেলে দিন পায়ের পাতাকে৷ এই ভাবে দশ সেকেন্ড রাখুন৷ এই ব্যায়ামে আপনার ক্যালোরিও ঝড়বে আবার পায়ের ব্যাথাও কম হবে৷

ভালো ঘুমের জন্য কার্যকরী কিছু পরামর্শ

Sunday, July 26, 2015 / No Comments
বেশিরভাগ মানুষেরই কাজের চাপ, রাতে ঘুমানোর সময় নিয়ে অনিয়ম ইত্যাদি কারণে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না।সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে মানসিক চাপ বেশি হয় এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট ভালো ঘুমের জন্য বিছানায় যাওয়ার আগে কিছু বিষয় লক্ষ রাখার পরামর্শ দেয়। ওই বিষয়গুলোই এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল।

ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা
প্রতিদিন ঘুমানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নিলে এবং সেই সময় অনুসারে ঘুমানোর অভ্যাস করা গেলে, ঘুম ভালো হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে ঘুমালে ইনসমনিয়া দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

সারাদিন কর্মক্ষম থাকা
ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজের সঙ্গে জরিত থাকলে রাতে ঘুম ভালো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন তারা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন। তাই সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটালে রাতে ঘুম ভালো হবে।

ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন
চা, কফির মতো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় ভালো ঘুমের অন্তরায়। রাতের খাবারের পরে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় পান করলে ঘুমে ব্যঘাত ঘটতে পারে। কারণ এতে মস্তিষ্ক স্বক্রিয় থাকে। ফলে ঘুম ভালো হয় না। তাই ভালো ঘুমের জন্য ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।

ধূমপান পরিহার করুন
সিগারেটে থাকা নিকোটিন ঘুমে বাধা সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে ঘুমানোর পরও ক্লান্তিভাব রয়েই যায়, সেটি অধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে হয় না।

ঘুমানোর আগে দুধ পান
ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ পান করলে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

গান শোনা
ঘুমানোর আগে মনে প্রশান্তি জাগাবে এমন গান বা সংগীত শোনা যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে রাতে ঘুমানোর আগে গান শুনলে মস্তিষ্ক এবং পেশি শিথীল হয়, ফলে ঘুমও ভালো হয়।

ঘরে বাতাস চলাচল নিশ্চিত করা
ঘর বেশি ঠাণ্ডা বা বেশি গরম হলে ঘুমে সমস্যা হয়। তাই ফ্যান বা এসি, যাই চলুক না কেনো ঘরের তাপমাত্রা সহনশীল হওয়া দরকার।

আলো নিভিয়ে রাখা
আলো মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখে। তাই ঘুমানোর সময় সব আলো নিভিয়ে দেওয়া উচিত। ল্যাপটপ, ফোন, প্যাড ইত্যাদির আলোও ঘুমে ব্যঘাত ঘটায়। তাই ঘুমানোর সময় ইলেকট্রনিক বস্তু দূরে রাখা উচিত। ঘর যত অন্ধকার হবে ঘুমও তত ভালো হবে।

শরীরের উষ্ণতা ঘুমে সহায়ক
ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের উষ্ণতা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। আর এতে ঘুমও ভালো হয়।

নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া
ঘুমাতে যাওয়ার আগেই নিজেকে কিছুটা গুছিয়ে নেওয়া উচিত। প্রথমে পরের দিনের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। এরপর দাঁত মাজা বা গোসল করে নিজেকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করা উচিত। সব শেষে বিছানায় শুয়ে গল্প বই পড়া বা গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে কিছু হালকা ব্যয়াম করা যেতে পারে। এতে ঘুম ভালো হয়।

আরামদায়ক বিছানা
ঘুমানোর জন্য আরামদায়ক বিছানা এবং বালিশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিছানা নিজের জন্য আরামদায়ক কিনা সেদিকে লক্ষ রাখা দরকার।

মাথাব্যাথার সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে দূর করবে ২টি পানীয়!

Sunday, July 19, 2015 / No Comments

দৈনন্দিন জীবনে মাথাব্যাথার সমস্যার মতো যন্ত্রণা আর একটিও নেই। একবার এই মাথাব্যাথার সমস্যা শুরু হলে তা সহজে পিছু ছাড়তে চায় না। আর এই মাথাব্যাথার কারণে সব কাজকর্ম নষ্ট হতে থাকে। কারণ মাথাব্যাথার সমস্যা এমন একটি সমস্যা যা কোনো কাজে মনোযোগ প্রদানে বাধা দেয়। তাই  আজকে জেনে নিন ২ টি খুবই সহজ পদ্ধতি যা তাৎক্ষণিকভাবে মাথাব্যাথার সমস্যা দূর করতে কার্যকরী।

১। ধনে বীজের চা

ধনে গুঁড়ো যে বীজ থেকে হয় সে ধনে বীজ তো দেখেছেন, তাই না? আপনার মাথাব্যাথার জন্য প্রয়োজন এই জিনিসটিই।

যা যা লাগবে
- ১ চা চামচ ধনে বীজ
- আধা চা চামচ চা পাতা
- ২ কাপ পানি

পদ্ধতি :
- ২ কাপ পানি ফুটতে দিন। ফুটে উঠলে এতে ধনে বীজ ছেড়ে দিন এবং আরও ভালো করে ফুটতে দিন।
- যখন ধনে বীজের সুঘ্রাণ পেতে থাকবেন তখন চুলা বন্ধ করে আধা চা চামচ চা পাতা পানিতে ছেড়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
- কয়েক মিনিট এভাবে রেখে ছেঁকে নিন একটি কাপে। এরপর কোনো ধরণের মিষ্টি যোগ না করেই চায়ের মতো পান করে নিন এই পানীয়।
- ১০ মিনিট বিছানায় শুয়ে নিন বা চোখ বন্ধ করে রিল্যাক্স করুন। ব্যস, এর মধ্যেই মাথাব্যাথা দূর হয়ে যাবে।

২। আদা চা

আদা চা খুবই সাধারণ বলে একে অবহেলা করার কোনো কারণ নেই। আদা মাথাব্যাথা সমস্যার সবচাইতে সহজলভ্য এবং প্রাকৃতিক সমাধান।

যা যা লাগবে
- ১ চা চামচ আদা কুচি
- দেড় কাপ পানি
- ১ চা চামচ মধু

পদ্ধতি :

- পানি চুলায় ফুটতে দিন। ভালো করে ফুটে এলে এতে আদা কুচি দিয়ে আরও খানিকক্ষণ ফুটিয়ে নিন। প্র্যজনে একটু ছেঁচে নিন আদা কুচি।
- এরপর কয়েক মিনিট ফুটিয়ে ছেঁকে মধু যোগ করুন। ব্যস, এবার পান করুন এই আদা চা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দূর হয়ে যাবে মাথাব্যাথা।
- যদি এতো ঝামেলা করতে না চান তাহলে কাচা আদা চিবিয়ে খেলেও অনেকটা উপকার পাবেন।

* এই পদ্ধতি যাদের মাথাব্যাথা স্বাভাবিক কারণে হয়ে থাকে তাদের জন্য। মারাত্মক পর্যায়ের মাইগ্রেনের ব্যাথা এবং অন্যান্য অসুস্থতার কারণে মাথাব্যাথার সমস্যায় এই পদ্ধতিগুলো কার্যকরী নাও হতে পারে।

সূত্রঃ দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া

যে ৯টি ভয়াবহ রোগ দূর করে মধু

/ No Comments
রূপে-রঙে মধু যেন তরল সোনা, স্বাদে-গন্ধে সম্মোহনী। তবে, মধুর প্রতি মানুষের আসক্তি কেবল খাওয়ার জন্যই নয়। এর অসাধারণ ঔষধি গুণের বলেই হাজার বছর ধরে পথ্য হিসেবে মধু সমাদৃত। মধুর কার্যকরী ৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা এখানে তুলে ধরা হলো।
আলসার সারায়
সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, পথ্য হিসেবে নিয়মিত মধু সেবনের মধ্য দিয়ে আলসারসহ অন্ত্রের রোগ সারাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগ
মধুতে এমন ফ্ল্যাভোনোয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা কিছু ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। ফলে নিয়মিত মধু পানে ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে।
ব্যাকটেরিয়া নিরোধী
মধু বানানোর প্রক্রিয়ায় মৌমাছি এমন একটা এনজাইম যুক্ত করে যা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরি করে। ফলে মধু সব সময়ই ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক-নিরোধী।
সর্দি-কাশি সারাতে
কেউ নিয়মিত মধু সেবন করলে শরীরে বিশেষ কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বলে সহসা এমন সর্দি-কাশি ঘায়েল করতে পারে না। আর কাউকে সর্দি-কাশি পেয়ে বসলে তা সারিয়ে তুলতে মধুর জুড়ি নেই। নিয়মিত মধু খেলে ঘুমও ভালো হয়।
ক্রীড়া নৈপুণ্য বাড়ায়
প্রাচীন অলিম্পিকের খেলোয়াড়েরা ক্রীড়া নৈপুণ্য বাড়াতে শুকনো ডুমুর ও মধু খেতেন। আধুনিক গবেষকেরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে জেনেছেন, শরীরে গ্লাইকোজেনের মাত্রা ঠিকঠাক রাখা এবং চোট সারিয়ে তুলতে মধুর জুড়ি নেই। আর ক্রীড়াবিদদের জন্য এ দুটোই খুব জরুরি।
আয়ুর্বেদিক মহৌষধ
অন্ততপক্ষে চার হাজার বছর ধরে ভারতীয় উপমহাদেশের চিকিৎসা শাস্ত্রে মধুর নানাবিধ ব্যবহার চালু আছে। দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে, ওজন কমাতে, পুরুষত্বহীনতা সারিয়ে তুলতে, প্রস্রাবে সংক্রমণ সারাতে, হাঁপানি দূর করতেও মধুকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে
ফ্রুকটোজ আর গ্লুকোজের পরিমাণের যথাযথ সমন্বয় রক্তে শর্করার পরিমাণ বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে খুবই প্রয়োজনীয়। মধুতে শর্করা থাকলেও তা সাদা চিনি বা কৃত্রিম চিনির মতো নয়। কিছু মধু রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে।
জখম ও ক্ষত সারাতে
হালকা কাটাছেঁড়ার জখম কিংবা ত্বকের পুড়ে যাওয়া সারাতেও মধু ব্যবহার করেন অনেকে। মধুর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক নিরোধী গুণের কারণেই বাহ্যিকভাবেও এটা ব্যবহার করা যায়।
সুন্দর ত্বকের জন্য
মধুর ব্যাকটেরিয়া নিরোধী গুণের কারণে অনেকে সৌন্দর্য চর্চায় মধু ব্যবহার করেন। অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের যত্নে এটা ব্যবহার করা হয়। সমপরিমাণ মধু ও লেবুর রস খুবই জনপ্রিয় ফেসপ্যাক।

দাঁত সাদা করার ৫টি গোপন টিপস

/ No Comments
five Ways to Whiten Your Teeth Naturally

অনেকে দাঁত সাদা করার জন্য অনেক সময় ডেন্টিস্টের কাছে ছোটেন নতুবা তাৎক্ষণিক পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করে নেন। কিন্তু তাৎক্ষণিক পদ্ধতিগুলো খুব বেশী এবং ঘন ঘন ব্যবহার করলে দাঁতের উপরের এনামেলের স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর চাইতে এক কাজ করুন না, দাঁতগুলোকে চিরকাল ঝকঝকে সাদা রাখতে মেনে চলুন ছোট্ট কিছু টিপস। এই কাজগুলো করলে দাঁতে দাগ পড়া বা হলদেটে ভাব হওয়ার সমস্যা একেবারেই থাকবে না।
১) চা/কফি বা দাগ ফেলে এমন খাবার কম খান
চিরকাল দাঁতের ঝকঝকে সাদা ভাব ধরে রাখতে চাইলে চা/কফি বা এমন খাবার যা দাঁতে দাগ ফেলতে পারে যেমন রঙিন পানীয়, টমেটো সস ইত্যাদি খাওয়া কমিয়ে দিন। বিশেষ করে চা/কফি ২/১ কাপের বেশী খাবেন না, কারণ চা/কফি বেশী খাওয়ার ফলে দাঁতের উপরের এনামেল ধিরে ধিরে ক্ষয় হতে থাকে এবং দাঁত কালচে হয়ে যায়।
২) অতিরিক্ত ব্রাশ করবেন না
অনেকেই দাঁত সাদা করার জন্য ইচ্ছে মতো ব্রাশ ঘষেন এতে বরং দাঁতের ক্ষতিই হয়। দাঁতের এনামেল খয়ে যায়। ফলে দাঁত সাদা তো হয়ই না বরং দাঁতে দাগ পড়ে। তাই ২ মিনিটের বেশী এবং জোরে ঘষে দাঁত ব্রাশ করবেন না একেবারেই।
৩) অ্যাসিডিক খাবার এড়িয়ে চলুন
দাঁত হলদেটে হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত অ্যাসিডিক খাবার খাওয়া। সোডা, লেবুর রস, ক্যান্ডি, ড্রিংকস, টমেটো ইত্যাদি দাঁতের উপরে দাগ ফেলতে সক্ষম। এগুলো কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। লেবুর রস সরাসরি খাবেন না।
৪) শক্ত ক্রাঞ্চি ফল ও সবজি খান
আপেল, গাজর, শসা, পেয়ারা ধরণের কিছুটা শক্ত এবং ক্রাঞ্চি ফল ও সবজি দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। এই ধরণের ফলগুলো জুস না পান করে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৫) চিনি মুক্ত চুইংগাম চিবোন
চুইংগাম চিবোলে মুখে স্যালিভার উৎপাদন বাড়ে যা মুখ ও দাঁত পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। স্যালিভা দাঁত ক্ষয়কারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে এবং দাঁতের এনামেলের ক্ষতি রোধ করে। তাই চিনি মুক্ত চুইংগাম চিবোনোর অভ্যাস করুন।
সূত্রঃ দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া

যে কারণে ছেলেদের চুল পড়ে

Monday, July 13, 2015 / No Comments

চুল নিয়ে আজকাল অনেকেরই ভাবনার অন্ত নেই।  স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সুন্দর চুল সবারই কাম্য। আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সমান ভারী চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল বলা যায়। কিন্তু অনেকেরই চুল পড়ে যায়। তাই প্রথমে আপনাকেউ নির্ণয় করে নিতে হবে কেন আপনার মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে টাক পড়ার সমস্যাটা পুরুষের মাঝেই বেশি। পুরুষের চুল পড়া বা টাক পড়া সাধারণত ২০ বছর থেকেই শুরু হতে পারে। এটিকে বলে মেল প্যাটার্ন অব হেয়ার লস।

ছেলেদের চুলপড়ার কারণ ও করণীয়:

অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন যেমন টেস্টোস্টেরন, অ্যান্ড্রোস্ট্রেনডিয়ন, ডিএইচটি হরমোনগুলো সাধারণত পুরুষের বেশি ও মহিলাদের কম পরিমাণে থাকে। এ হরমোনগুলো হেয়ার ফলিকলের ওপর কাজ করে ও চুল পড়া ত্বরান্বিত করে। সে কারণে পুরুষের চুল বেশি পড়ে। দুশ্চিন্তায় ভুগলে বা মানসিক সমস্যা থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে চুল পড়তে পারে। তবে এ চুল পড়া সাময়িক এবং পুনরায় চুল গজায়। কিন্তু দীর্ঘদিন মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকলে এবং দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক বেশি চুল পড়ে যেতে পারে।

চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন না হলে, অ্যানিমিয়া থাকলে চুল পড়া শুরু হতে পারে। বংশগত সমস্যার কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। হয়তো আপনার দাদা-বাবা-চাচার কিংবা নানা-মামার কারো টাক নেই। কিন্তু আপনার বাবা বা মায়ের মামা-চাচার টাক থাকায় বংশগত কারণে আপনারও টাক পড়তে পারে।

রোগের প্রকোপে মাথার চুল পড়তে পারে। যেমন, অনেকে টাইফয়েড জ্বরে চুল হারিয়েছেন বলে জানা যায়। মাথায় খুশকি ও স্ক্যাল্পের রোগে মাথার চুল পড়তে পারে। অনেক সময় ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং গজানোর জন্য সহায়ক।

কী করণীয়: যে কারণেই চুল পড়ুক না কেন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়াও যে যে বিষয়গুলোর প্রতি আপনার দৃষ্টি দেয়া জরুরি সেগুলো হলো:

১। সুষম খাদ্যে গ্রহণ: প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা চাই প্রচুর শাক-সবজি ও মৌসুমী ফল আর আমিষের মধ্যে দুধ, ডিম, মাছ তো থাকছেই। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন – আমাদের চুল মূলত কেরাটিন দিয়ে গঠিত। এটি অ্যামিনো এসিড দিয়ে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন। তাই নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে।

মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম – আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অন্তত একটি রাখার চেষ্টা করুন। সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন। তবে নন-ভেজিটেরিয়ান খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।

আয়রন আর জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার আপনার মাথার কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে, নতুন টিস্যু তৈরিতে এবং ক্ষয়রোধে সহায়তা করবে। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান। ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খান। ভিটামিন সি

২। পরিমিত ঘুম: ঘুম ঠিক মতো না হলে শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব নয়। তাই ঘুম হতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণের। এছাড়া চুল পড়া রোধে মেডিটেশনও করা যেতে পারে।

৩। চুলের যত্নে প্রসাধনী: সপ্তাহে অন্তত তিন দিন চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে শ্যাম্পু করতে পারেন। তবে শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই তেল দিয়ে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। নাহলে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে।

৪। চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান: সপ্তাহে এক দিন হট অয়েল ম্যাসাজ করুন আর সাথে লেবুর রস দিতে পারলে আরও ভালো। আমলকী, বহেরা, হরিতকী ও মেথি একসাথে গুঁড়ো করে নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। কালোজিরা নতুন চুল গজানোর জন্যে সহায়ক। মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করা আর খাবারে কালোজিরা ব্যবহার খুব ভালো ফল দেয়। মাথায় একরাশ স্বাস্থ্যকর চুল আপনার সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না শুধু, এটি আপনার ব্যক্তিত্বকেও আলাদা মাত্রা দেয়। তাই চুলের যত্ন নিন। সুস্থ থাকুন।