সাম্প্রতিক শিরোনাম

Menu

Browsing "Older Posts"

আপনি "lifestyle" বিভাগ ব্রাউজ করছেন

যে দশটি কাজ আপনাকে প্রাণবন্ত করে তুলবে

Friday, June 19, 2015 / No Comments

ঘুম প্রতিটা প্রানীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম বা নিদ্রা হচ্ছে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর দৈনন্দিন কর্মকান্ডের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাইেতা পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের জন্য অপরিহার্য। সুস্থ থাকতে হলে দিনে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। কিন্তু বিভিন্ন কারণে হয়তো ৮ ঘণ্টা ঘুমানো আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই সারাদিন আমাদের মধ্যে ক্লান্তি কাজ করে, ঘুম চোখে লেগেই থাকে। কাজ করতে সমস্যা হয়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটি টিপস বেশ কাজে দিবে-

১. লেবু
কাজের সময় ঘুমে চোখ ঢুলুঢুলু। এক টুকরো লেবু চুষে রস খান। এই সাইট্রাস ফলটি আপনার চোখের ঘুম দূর করতে বেশ সাহায্য করবে।

২. একটু হাঁটুন
আপনি যত ব্যস্তই হোন না কেন কাজের ফাঁকে হাঁটার একটু সময় নিশ্চয়ই বের করতে পারবেন। তাহলে একটু হেঁটে নিন। হাঁটা আপনার দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে যা আপনার শক্তি যোগাবে।

৩. পেপারমিন্ট ব্যবহার করুন
কাজের মাঝে দেহে কান্তি ভর করলে পেপারমিন্ট জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করুন। একটা পেপারমিন্ট গাম খান বা স্প্রে ব্যবহার করুন অথবা পেপারমিন্ট বডি ওয়াশ ব্যবহার করুন।

৪. মেডিটেশন করুন
সারাদিনের কাজের জন্য শক্তি পেতে সকালে ৫ মিনিট হলেও মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন আপনার চাপ দূর করবে, সচেতনতা বাড়াবে আর মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

৫. পানি পান করুন
শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে আপনার মধ্যে ক্লান্তি চলে আসবে। এর থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত পানি পান করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ২ গ্লাস পানি পান করলে তা আপনার সারাদিনের কাজের জন্য অতিরিক্ত কিছু শক্তি যোগাবে। সাথে সবসময় একটা পানির বোতল রাখার চেষ্টা করুন।

৬. ইয়োগা
ইয়োগার মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে তা আপনার ক্লান্তি দূর করে শক্তি সরবরাহ করবে। এর ফলে আমাদের মস্তিষ্কে পরিমাণমত অক্সিজেন পৌঁছায় যা আমাদের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

৭. গান শুনুন
গান আপনার মস্তিষ্ককে সজাগ করে। তাই কাজের ক্লান্তির ফাঁকে একটু গান শুনলে আপনার কাজের জন্য সহায়ক হবে বলেই মনে হয়।

৮. মনে করুন যে আপনার ভালো ঘুম হয়েছে
এটা আসলে নিজের মনকে বোঝানোর একটা কৌশল। রাতে আপনার ভালো ঘুম না হলে সারাদিন ক্লান্ত লাগবে। তারপরও মনকে বোঝান যে আপনার ঘুম হয়েছে, আপনি কাজ করার জন্য ফিট আছেন।

৯. গোসল করুন
ঘুম তাড়াতে গোসল একটি কার্যকরী পন্থা। সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করলে আপনার ঘুমের ক্লান্তি দূর হয়ে সারাদিনের কাজের জন্য শক্তি পাবেন। এক্ষেত্রে গরম আর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল উভয়ই কার্যকরী।

১০. সেলফ-আকুপাংচার
চাইনিজরা আকুপাংচার হাজার বছর ধরে ব্যবহার করছে। গবেষণা বলছে, শরীরের কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় চাপ দিলে তা আপনাকে জেগে থাকতে সাহায্য করবে। তাই এইভাবে ম্যাসেজ করুনঃ ঘাড়ের উপরিভাগের উভয় পাশ, দুই হাতের উল্টোপিঠের বৃদ্ধাঙ্গুল এবং অনামিকার মধ্যবর্তী অঞ্চল, হাঁটুর একটু নিচে আর পায়ের তালুর মাঝামাঝি জায়গায়।

গর্ভপাত সম্পর্কে যে সত্যগুলো জেনে রাখা দরকার

Monday, June 15, 2015 / No Comments
need-to-know-the-truth-about-abortion
একটি গর্ভপাত মানে একটি সন্তানের মৃত্যু। বিষয়টি নারীর জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ, পুরুষের জন্যও ঠিক ততটাই। কেননা তিনি সন্তানের বাবা। বর্তমানে অকাল গর্ভপাতের বিষয়টি খুব বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে কিছু চিন্তা না করেই ক্যারিয়ারের চিন্তায় অনেক দম্পতিই স্বেচ্ছায় গর্ভপাত করিয়ে ফেলেন। চলুন, জেনে নিই এমন কিছু সত্য যেগুলো গর্ভপাত সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত সকল বিবাহিত পুরুষের।
নারীর জন্য অনেক বড় ধাক্কা
পুরুষেরা অনেকেই সেভাবে অনুভব করেন না একটি গর্ভপাতের কষ্ট, যেভাবে নারীরা করে থাকেন। কারণ ভ্রূণটি নারীর শরীরেই প্রতিপালিত হয়। গর্ভপাত দুর্ঘটনায় হোক বা স্বেচ্ছায়, নারীর জন্য এটা অনেক বড় একটি ধাক্কা ও কষ্টের বিষয়। তাই স্বামী হিসাবে আপনার কর্তব্য স্ত্রীর পাশে থাকা।
স্বেচ্ছায় গর্ভপাত থেকে হতে পারে বন্ধ্যাত্ব
আজকাল অনেক দম্পতিই স্বেচ্ছায় গর্ভপাত করিয়ে থাকেন হয়তো ক্যারিয়ার বা ভবিষ্যতের কথা ভেবে। মনে রাখবেন, গর্ভপাত মোটেও ভালো কিছু নয়। স্বেচ্ছায় গর্ভপাত করানোর কারণে ভবিষ্যতে সন্তান ধারণে অসুবিধা হয়। এমনকি বন্ধ্যাও হয়ে যেতে পারেন অনেক নারী। তাই স্বেচ্ছায় গর্ভপাত হতে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। আর একান্তই করাতে হলে অতি অবশ্যই খুব ভালো ডাক্তার ও হাসপাতালের সাহায্য নিন।
তাড়াহুড়া নয়
অনেক দম্পতিই একটি গর্ভপাতের পর আরেকটি সন্তান নিতে তাড়াহুড়ো শুরু করেন। বিশেষ করে স্বামীরা। মনে রাখবেন, স্ত্রী আরেকবার গর্ভবতী হয়ে যাওয়া মানেই সকল সমস্যার সমাধান নয়। একটি গর্ভপাতে নারীর শরীরের যে ক্ষতি হয়, সেটা পূরণ হবার সময় দিন। এবং পরবর্তীতে কখন সন্তানের জন্য চেষ্টা করবেন, সেটি অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঠিক করুন। প্রতিটি ধাপে ডাক্তারের পরামর্শ শোনা খুবই জরুরী।
গর্ভপাতের চাইতে সতর্ক থাকা ভালো
একটি গভপাত হতে পারে আজীবনের কান্না। তাই স্বামী হিসাবে আপনি বিশেষ সতর্ক থাকুন যেন গর্ভপাত করার পরিস্থিতিই তৈরি না হয়। একটি দুর্ঘটনার চাইতে সতর্ক থাকা ভালো। স্ত্রী গর্ভবতী হলে তার দিকে বিশেষ যত্ন ও কেয়ার দিন। আর যারা এখনো সন্তান চান না, তাঁরা সঠিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
স্ত্রীকে সময় দিন
গর্ভপাত কেবল স্ত্রীর শারীরিক ক্ষতি নয়, তার মানসিক ক্ষতিও। এই উভয় ক্ষতিই সেরা ওঠার সময় দিন। তাঁকে শারীরিক ও মানসিক বিশ্রামে রাখুন। স্ত্রী কেবল সন্তান উৎপাদন করার মেশিন নন। তাছাড়া এই গর্ভপাতে সবচাইতে বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনিই। তাই তাঁকে তার মত সেরে থার সুযোগ দিন। স্বামী হিসাবে নিজের সবটুকু চেষ্টা করুন স্ত্রীকে সেরে উঠতে।
দোষারোপ করবেন না
এই কাজটি অনেক পুরুষই করেন, সেটা হচ্ছে দোষারোপ করা। মনে রাখবেন, একটি অকাল গর্ভপাতের জন্য নারী দায়ী নন। দুর্ঘটনা জীবনে ঘটতেই পারে, সেটা ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। দোষারোপ করে বা হা হুতাশ করে স্ত্রীর কষ্ট বাড়াবেন না।

আপনার শিশুর আইকিউ বাড়াবেন যেভাবে

Tuesday, June 9, 2015 / No Comments
how-to-increase-your-childs-intelligence


আইকিউ, অর্থাৎ বুদ্ধি বেশি শানানো না হলে এখন প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় টেকা দায় । কিন্তু শিশুদের আইকিউ কীভাবে বাড়ানো যায়? খুব সহজ কিছু উপায় দেখিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ক্যারেন কুইন ।

সব বিষয়ে কথা বলুন
আপনার সন্তানের সঙ্গে সম্ভব হলে সব বিষয়েই কথা বলবেন। এতে অল্প অল্প করে জ্ঞান তো বাড়বেই, পাশাপাশি ভাষায় দক্ষতাও বাড়বে। শিশু বেশি কথা বললেই ভালো। কথা বলায় নিরুৎসাহিত করা তাদের বিকাশের জন্য ক্ষতিকর। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু খুব কম কথা বলে, তাদের তুলনায় বেশি কথা বলতে অভ্যস্ত শিশুদের বুদ্ধি অন্তত ২৮ পয়েন্ট বেশি।

ভাবনা আর দেখার জগতটা বড় করুন
নানা ধরনের রং, বিভিন্ন আকৃতির বস্তু, নানা রকমের ফল এবং প্রাণী দেখাতে হবে শিশুদের। স্কুলে যদি সে ব্যবস্থা থাকে তাহলে তো কথাই নেই। তবে নিজেও এমন কিছু বই কিনে দিন, যা পড়ে বা যেসব বইয়ের ছবি দেখে শিশু এ সব সম্পর্কে জানতে পারে।




গুনতে শেখান
বাচ্চাদের খুব সহজেই গুনতে শেখানো যায়। এই যেমন যদি বলেন, 'পাঁচ মিনিটের মধ্যে খাবার তৈরি হয়ে যাবে' – তাহলে কিন্তু শিশু ৫ সংখ্যাটার সঙ্গে পরিচিত হলো । যদি বলেন, 'তোমার তিনটা চকলেট আছে, আমার আছে দুটো' – তাহলে আপনি ওকে ২ আর ৩ শিখতে সহায়তা করলেন । চকলেট যদি হাতে নিয়ে দেখান – তাহলে ওরা আরো উৎসাহ নিয়ে সংখ্যাগুলো শেখার সঙ্গে সঙ্গে গুণতেও শিখবে ।

স্মৃতি পরীক্ষা
কোনো বই পড়া শেষ হলে আপনার সন্তানকে বইয়ের গল্পটা নিজের মতো করে বলতে বলুন। এভাবে শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়। স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর আরো সহজ উপায়ও আছে। টেবিলের ওপর কিছু ক্যান্ডি রেখে সন্তানকে দেখান। দেখা হয়ে গেলে ক্যান্ডিগুলো কাগজ বা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। তারপর ওকে বলুন টেবিলের ফাঁকা জায়গায় সমান সংখ্যক চকলেট ক্যান্ডির মতো সাজিয়ে রাখতে। এভাবেও শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়।

খেলনা
পাজল, লেগো কাঠের তৈরি নানা ধরণের ব্লক– এ সব বাচ্চাদের জন্য স্রেফ খেলনা হলেও, ওদের বুদ্ধাঙ্ক বা আইকিউ বৃদ্ধিতে খুব ভালো ভূমিকা রাখে।

সমস্যার সমাধান
নিজের কাপড় নিজেকেই পরতে দিন। খুব বেশি সময় লাগছে? বিরক্ত হবেন না। ওকে সময় দিন, ওর মতো করে কম সময়ে কাজটা শেষ করার সুযোগ দিন। ধীরে ধীরে ও সমস্যাটার একটা সমাধান ঠিকই বের করবে। এভাবে রাতের খাবারে কী কী খাওয়া যায়, ও কোথায় বেড়াতে যেতে চায়– এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগও দিন বাচ্চাদের। এর ফলে ওদের চিন্তা করা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়বে।

সৃষ্টিশীল কাজ
বাসায় ছবি আঁকার কাগজ, রং, তুলি, কাঁচি, আঠা, ব্রাশ– এ সব রাখতে ভুলবেন না। এ ধরনের জিনিস নিয়ে খেলতে খেলতেও অনেক শিশু সৃষ্টিশীল কাজে আগ্রহী হয়ে ওঠে। পরবর্তী জীবনে এই আগ্রহটাই হয়ত ওকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

নামের প্রথম অক্ষর ও আপনার ব্যক্তিত্ব

Saturday, June 6, 2015 / No Comments
the-first-character-and-your-personality

নামের প্রথম অক্ষর থেকে নাকি স্বভাবও বেশ খানিকটা বোঝা যায়। ইন্টারেস্টিং, তাই না? তবে মনে রাখবেন ব্যতিক্রম সব জায়গাতেই থাকে। তাহলে দেখে নিন, আপনার নামের প্রথম অক্ষরের সাথে স্বভাবের মিল আছে কিনা।

A– এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু হয়, তারা ব্যবসা ভালো বোঝেন। ক্ষেত্রবিশেষে ধৈর্য্য কম থাকে আপনার।
B– আপনি কিন্তু রোমান্টিক।প্রিয়জনের কাছ থেকে উপহার পেতে ভালোবাসেন।
C- সম্পর্কের মূল্য দেন। আন্তরিকতা পছন্দ করেন। খুব সংবেদনশীল হন।
D- যেটা মনে মনে চান সেটা আদায় করেই ছাড়েন।স্বভাবগত দিক থেকে আপনি কেয়ারিং।উচ্চাকাঙ্খী ও বিশ্বস্ত হওয়ার সাথে সাথে আপনি কখনো আবার পরশ্রীকাতর।

E– খুব বেশি কথা বলতে ভালোবাসেন। অসততা অপছন্দ।
F- এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু হয় তারা আদর্শবাদী ও রোমান্টিক প্রকৃতির হন। তবে দেখনদারিও আপনি পছন্দ করেন।

G- ভীষণ খুঁতখুঁতে প্রকৃতির।খুব পরিশ্রমীও হন এরা। লক্ষ্যে পৌঁছতে প্রচণ্ড খাটতে পারেন।
H- আপনার মধ্যে স্নেহ, মমতা রয়েছে। মানসিকভাবে খুব দৃঢ় হন এরা সাধারণত।হার্ডকোর পারফেকশনিস্ট। এদের সহজে সন্তুষ্ট করা যায় না।

I- বিলাসিতা ভালোবাসেন। সম্পর্কের ব্যাপারে খুব একটা বিশ্বস্ত নন।
J- প্রচণ্ড পরিশ্রমী। লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপে এরা খুব স্বচ্ছন্দ্য হন।প্রেমে আস্থা রাখেন।
K- গুটিয়ে যাওয়া, লাজুক প্রকৃতির। তবে খুব বেশি ছক করে, প্ল্যান করে চলতে ভালোবাসেন। আপনার মধ্যে দয়া-মায়া রয়েছে।

L- অত্যন্ত রোমান্টিক। আপনার পার্টনার আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।ইন্টেলেকট্যুয়াল পার্টনারই আপনি বেশি পছন্দ করেন।

M- দ্বিমুখী স্বভাবের। যেমনটা দেখান, সেরকম আপনি আদতে না-ও হতে পারেন।নিজের আবেগ প্রকাশ করতে আপনি খুব একটা স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।

N- আপনি আবেগপ্রবণ। সম্পর্কের গভীরতা বোঝেন।সবকিছুতেই নিজের হাত পাকাতে পছন্দ করেন।
O- স্বাভাবের দিক থেকে হাসিখুশি ও মজাদার হলেও সিরিয়াসলি কাজ করে টাকা জমাতে আপনি পছন্দ করেন।অতিরিক্ত পজেসিভনেস আপনার সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
P-সামাজিকতা ও স্টেটাস সম্পর্কে আপনি খুব সচেতন।আপনার পার্টনার সুন্দরী ও ইন্টেলিজেন্ট হওয়াই কাম্য।

Q- সবসময় নিজেকে কাজের মধ্যে রাখতে ভালোবাসেন।অন্যের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকা আপনার পছন্দের।সাদা ফুল আপনার খুব পছন্দের।

R- নিজেকে সবসময় সেরা প্রমাণ করার তাগিদ রয়েছে আপনার ভিতর।
S- আদর্শবাদী মানষিকতা খুবই কম, রোমান্টিক তবে বহুগামী হতে পারেন। কথা দিয়ে কথা রাখতে পছন্দ করেন না। তবে অনেক মিশুক টাইপের হয়ে থাকেন।

T- আপনি খুব সংবেদনশীল। ব্যক্তিগত স্পেসে কাউকে ঢুকতে দেন না। প্রেমে পড়লেও খুব একটা অনুভূতি প্রকাশ আপনার পছন্দ নয়।

U- প্রেম আপনার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। তাই প্রেমহীন জীবনের কল্পনাও আপনি করতে পারেন না।অন্যকে উপহার দিতে ভালোবাসেন।

V- অত্যন্ত স্বাধীনচেতা। সম্পর্কে স্পেস পছন্দ করেন।কখনও কখন একটু ছটফটে।
W- অত্যন্ত অহংকারী। প্রেমের ব্যাপারে চট করে মুখ খুলতে চান না।ইগো আপনার বড় সমস্যা। প্রেমিক হিসেবে খুব একটা বিশ্বস্ত নন।

X- অল্পেতেই বোর হয়ে যান।একসঙ্গে দুটো কাজ অনায়াসে করতে পারেন আপনি।
Y- কোনো কিছু আপনার মনের মতো না হলে তক্ষুণি আপনি তা ছেড়ে দেন।প্রতিযোগিতার দৌড়ে সামিল হওয়া আপনার পছন্দের।

Z- অত্যন্ত রোমান্টিক। প্রেমিকাকে আগলে রাখাই আপনার জীবনের মূল লক্ষ্য।

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ, কিছু সতর্কবার্তা

Thursday, June 4, 2015 / No Comments
husband-and-wife-blood-group-some-warnings
বিয়ের আগে পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন সংক্রান্ত যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়ে থাকি আমরা, কিন্তু ভুলে যাই সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাপার স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ সংক্রান্ত ব্যাপারটি। 

এবার জেনে নেয়া যাক এই বিষয়ে  জরুরী কিছু তথ্যঃ

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আগে প্রথমে আমাদের ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে কিছু কথা জানা দরকার।  প্রধানত ব্লাড গ্রুপকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটা হল ABO system (A, B, AB & O), আরেকটা হল Rh factor {Rh positive(+ve) & Rh negative(-ve)}. অর্থ্যাৎ Rh factor ঠিক করবে ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে। তাহলে ব্লাড গ্রুপগুলো হলঃ A+ve, A-ve, B+ve, B-ve, AB+ve, AB-ve O+ve, O-ve.

যদি অন্য গ্রুপের ব্লাড কারো শরীরে দেওয়া হয় তাহলে কী হবে?

যখন কোনো Rh নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে Rh পজেটিভ গ্রুপের ব্লাড দেয়া হয় তখন প্রথমবার সাধারনত কিছু হবে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে এন্টিবডি তৈরী হবে যার ফলে যদি কখনো রোগী আবার পজেটিভ ব্লাড নেয় তাহলে তার ব্লাড cell গুলো ভেঙ্গে যাবে, এর কারনে অনেক সমস্যা হবে। যেমন জ্বর, কিডনি ফেইলিউর, হঠাৎ মৃত্যু ইত্যাদি। এই সমস্যাকে মেডিকেল টার্ম এ বলা হয় ABO incompatibility.

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ কী রকম হওয়া দরকার?

স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ ও পজেটিভ হতে হবে। আর যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে। তবে স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে কোনোভাবেই স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হওয়া চলবে না। এক্ষেত্রে যদি স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে তার স্বামীর ব্লাডগ্রুপ ও নেগেটিভ হতে হবে।

যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় আর স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে কী সমস্যা হবে?

রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না। তবে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজিটিভ হয় তাহলে ‘লিথাল জিন’ বা ‘মারন জিন’ নামে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়।  যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারনত বাচ্চার ব্লাডগ্রুপ ও পজেটিভ হবে। যখন কোনো নেগেটিভ ব্লাডগ্রুপের মা ধারন করবে পজেটিভ Fetus(ভ্রুন) তখন সাধারনত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভ Fetus এর ব্লাড, placental barrier ভেধ করে এবং placental displacement এর সময় মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে। মায়ের শরীরে ডেলিভারির সময় যে ব্লাড প্রবেশ করবে, তা ডেলিভারি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে Rh এন্টিবডি তৈরী করবে। যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবে, তখন যদি তার fetus এর ব্লাডগ্রুপ পুনরায় পজেটিভ হয়। তাহলে মায়ের শরীরে আগে যেই Rh এন্টিবডি তৈরী হয়েছিলো সেটা placental barrier ভেধ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে। আর যখন fetus এর শরীরে Rh antibody ঢুকবে তখন fetal এর RBC এর সাথে agglutination হবে, যার ফলে RBC ভেঙ্গে যাবে। একে মেডিকেল টার্ম এ “Rh incompatibility” বলে।

বাদামে সমাধান হবে ৭ শারীরিক সমস্যা

Saturday, May 30, 2015 / No Comments
milk-seven-physical-problem-solution
অনেকেই বলবেন বাদাম শখ করে খাওয়া হয়, প্রতিদিন তো আর শখ হয় না। কিন্তু এই বাদাম শখ করে খাওয়ার মতো খাদ্য নয়। 

‘দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন’ এ প্রকাশিত গবেষণাপত্র হতে জানা যায়, যারা প্রতিদিন বাদাম খান তারা অন্যান্যদের তুলনায় হার্টের সমস্যা, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা এবং ক্যান্সারে কম আক্রান্ত হন। 

একটি নতুন গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন বাদাম খেলে ২০% পর্যন্ত মৃত্যু ঝুঁকি কমে। শুধু তাই নয় নানা গবেষণায় প্রমাণিত হয় প্রতিদিন মাত্র ১ মুঠো বাদাম খেলে ৭ ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা খুব সহজ হয়ে যায়।

১) সবচাইতে সহজলভ্য ও প্রধান উদ্ভিজ্জ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস বাদাম। এছাড়াও বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই ধমনীতে প্লাক হওয়া প্রতিরোধ করে ও প্লাক কমাতে সাহায্য করে। ধমনীতে প্লাকের কারনে বুকে ব্যথা, করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে যা বাদামের ভিটামিন ই দূর করতে সক্ষম। প্রতিদিন মাত্র ১ মুঠো বাদাম শরীরে এই ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই এর ঘাটতি কমায় ও হার্টের সমস্যা জনিত রোগ থেকে হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখে ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

২) বাদামের অসম্পৃক্ত চর্বি বা ফ্যাট, ফাইবার ও প্ল্যান্ট স্টেরোল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যারা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত তাদের জন্য বাদাম অনেক কার্যকরী একটি ওষুধ। খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন মাত্র ১ মুঠো বাদাম কমিয়ে দেবে খারাপ কোলেস্টোরল।

৩) বাদামের ফাইবার রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। এই ফাইবার ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগী প্রতিদিন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাদাম খেলে শরীরের গ্লুকোজের পরিমান ঠিক রাখতে পারেন।

৪) বাদামের ফাইবার আমাদের হজমক্রিয়া ত্বরান্বিত করে থাকে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। প্রতিদিন ১ মুঠো বাদাম খেলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র উন্নত হয়।

৫) বাদামে বিদ্যমান এল-আরজিনিন অ্যামিনো অ্যাসিডটি ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ধমনীকে নমনীয় করতে সহায়তা করে। বাদামের এল-আরজিনিন ধমনীতে প্রবাহিত রক্তকে জমাট বাঁধাতে বাঁধা প্রদান করে।

৬) ২০০৯ সালে ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, পেস্তা বাদাম ফুসফুসে ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। পেস্তা বাদামের ভিটামিন ই এই মারাত্মক রোগটি দেহে বাসা বাঁধতে বাঁধা প্রদান করে।

৭) বাদামের প্রোটিন, ভালো ফ্যাট এবং ফাইবার আপনার ওজন কমাতে বিশেষ ভাবে সহায়ক। বিশেষ করে কাঠবাদাম ও চীনাবাদাম। অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের পরিবর্তনে মাত্র ১ মুঠো বাদামেই এই সমস্যা দূর করতে পারেন

কফি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা

Friday, May 29, 2015 / No Comments
আমাদের অনেকেই দিনে প্রচুর কফি খান। ঘুম কাটাতে কাপের পর কাপ ঘুম কাটাতে কাপের পর কাপ উড়ে যায়। তাই এখনই সতর্ক হন। না হলে বিপদ অনিবার্য। 

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দিনের চার কাপের বেশি কফি খাওয়া শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। স্থূল ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের বিশেষ করে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা।

ইউরোপের দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, দিনে ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি কফি খাওয়াই উচিত নয়। মেশিনে তৈরি বড় কাপের এক কাপ কফিতে সাধারণত ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে। বড় কাপে সারা দিনে দু'কাপ কফি যথেষ্ট। তার বেশি খেলে হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে miscarriage এর সম্ভাবনা বাড়ে। 

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বেশি কফি খেলে অনিদ্রা বাসা বাঁধে শরীরে। একই সঙ্গে বাড়ে অবসাদও। এই জোড়া ফলায় হার্টের দফারফা হয়ে যায়। ফলে কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে কুপ্রভাব ফেলে ক্যাফিন। সেক্ষেত্রে শিশু জন্ম থেকেই দুর্বল হয়। তাই শরীর ফিট রাখতে বড় কাপে সারাদিনে এক কাপ কফি খেতে পারলেই সবচেয়ে ভালো।

ধূমপান ত্যাগ করার পর শরীরে যা যা ঘটে

/ No Comments
after-giving-up-smoking--which-occurs-in-the-body
ধূমপানে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে, এটা জানেনা এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। একটি সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকে দুশো’রও বেশি বিষাক্ত পদার্থ যা শরীরের জন্য একটি বোঝা৷ কিন্তু ধূমপান বন্ধ করার ঠিক পরপরই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে কী পরিবর্তন ঘটে, তারই কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন:

১. মাত্র ২০ মিনিট বিরতির পর
শেষ ধূমপানের মাত্র ২০ মিনিট পরেই শরীরের রক্তচাপ ও নাড়ির গতি স্বাভাবিক হয়ে যায়৷ ধূমপানের সময় সিগারেটের নিকোটিন শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে সক্রিয় রাখার ফলে যতটুকু বেড়ে গিয়েছিলো তা আবার নামিয়ে নিয়ে আসে৷

২. ১২ ঘণ্টা ধূমপান না করলে যা হয়
সিগারেটের জ্বলন্ত আগুন থেকে বের হওয়া যে বিষাক্ত গ্যাস শরীর গ্রহণ করেছিলো, তা ১২ ঘণ্টা পর থেকে স্বাভাবিক হয়ে আসে৷ এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে কারণ ধূমপান করার সময় রক্তে অক্সিজেন যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে৷

৩. সিগারেট ছাড়া দুই দিন
ধূমপানের কারণে স্বাদ ও গন্ধ নেওয়র যে ক্ষমতা কমে গিয়েছিলো, তা ধূমপান বন্ধ করার মাত্র দুইদিন পরেই বাড়তে শুরু করে৷

৪. ধূমপান বন্ধের তিনদিন
ধূমপান থেকে বিরত থাকার তিনদিন পরে থেকেই বুকের ভেতরটা হালকা মনে হয় এবং শ্বাস ক্রিয়া সহজ হয়, কারণ তখন আর শরীরের ভেতরে নিকোটিন থাকেনা৷ আর সে কারণেই ধূমপান না করার লক্ষণগুলো ভালোভাবে ধরা পড়ে বা বোঝা যায়৷ তখন মাথাব্যথা, বমিভাব, প্রচণ্ড ক্ষুধা পাওয়া, হতাশা বা আতঙ্কভাব হয়ে থাকে৷

৫. ধূমপান বন্ধের কয়েক মাস পর
ধূমপান বাদ দেয়ার কয়েকমাস পরেই দেখা যায় শরীরে রক্ত চলাচল অনেক ভালোভাবে হচ্ছে৷ আর আগের তুলনায় ফুসফুস শতকরা ৩০ ভাগ বেশি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে এবং কাশিভাবও কমতে শুরু করে৷

৬. ধূমপান ছেড়ে দেয়ার এক বছর, ১০ বছর বা ১৫ বছর পর
ধূমপান ছেড়ে দেয়ার এক বছর পর থেকেই হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়৷ তাছাড়া দশ বছর ধূমপান না করলে একজন ধুমপায়ীর ফুসফুসের ক্যানসারে মারা যাওয়ার ঝুঁকির তুলনায় অর্ধেক কমে যায়৷ শুধু তাই নয়, ১৫ বছর ধূমপান থেকে বিরত থাকলে তার করোনারি হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়, যে জীবনে কখনো ধূমপান করেনি তার মতো৷

ভ্রমণের সময় অসুস্থ বোধ করলে যা করবেন

Thursday, May 28, 2015 / No Comments
if-you-do-feel-sick-while-traveling
ভ্রমণের সময় বাস, গাড়ি বা লঞ্চে অসুস্থ বোধ করেন অনেকে। বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরায়, বুক ধড়ফড় করে, ক্লান্ত লাগে। বমি করেও ফেলেন অনেকে। গরমের সময় সমস্যাটা আরও বাড়ে। এ সমস্যা থেকে মুক্তির কয়েকটি উপায়।

# বমি বমি ভাবের কারণে অনেকেই খালি পেটে যাত্রা শুরু করেন, যা একেবারেই অনুচিত। খালি পেটে যাত্রা বমি বমি ভাব, ক্লান্তি ও দুর্বলতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। অবশ্যই কিছু একটা খেয়ে যাত্রা শুরু করুন। তবে সেটা যেন হালকা কোন খাবার হয়। কোন গুরুপাক খাবার খাবেন না।

# সাথে এক বোতল পানি রাখুন। একটু পর পর সামান্য এক ঢোক পানি পান করুন। এটা আপনার মনযোগ সরিয়ে রাখবে ও ভালো অনুভব করতে সাহায্য করবে।

# সবচাইতে সেরা উপায় হচ্ছে ঘুমিয়ে যাওয়া। ঘুমিয়ে গেলে আপনার সময়টা দ্রুত কেটে যাবে এবং অসুস্থ বোধ করবেন না।

# কেন এমন হয়, তার কারণটা খুঁজে বের করুন। অনেকের যেমন বেশী ঝাঁকুনি হলে খারাপ লাগে। অনেকের আবার পেছনের সিটে বসলে অসুস্থ বোধ করেন। অনেকের সমস্যা হয় বদ্ধ পরিবেশে। অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণটা বোঝার চেষ্টা করুন এবং সেটা দূর করুন। অনেকটাই ভালো বোধ করবেন।

# লেমন বা অরেঞ্জ ফ্লেভারের ছোট ছোট লজেন্স রাখতে পারেন সাথে। তেঁতুলের আচারও মন্দ নয়। খারাপ লাগলেই একটু মুখে দেবেন, ভালো লাগবে।

# বিশুদ্ধ বাতাসে থাকুন। বাস কিংবা গাড়িতে হলে জানালা খুলে দিন। লঞ্চে হলে ডেকে ঘোরাঘুরি করুন। তাজা অক্সিজেন আপনার শরীর খারাপ হতে দেবে না।

# শুকনো আদা কুচি রাখতে পারেন সাথে। এটা খুবই কার্যকরী ভ্রমণের অসুস্থতা দূর করতে। এছাড়াও ক্যান্ডি করা আদা, এলাচ , দারুচিনি, লবঙ্গ ইত্যাদিও মুখে ফেলে রাখতে পারেন।

# শেষ অপশন হিসাবে ওষুধ তো রয়েছেই। ফার্মেসীতে গেলেই ট্র্যাভেল সিকনেস দূর করার কিছু ওষুধ পাবেন। আমাদের দেশে যেমন এভোমিন বেশ জনপ্রিয়। তবে এক সাথে একটির বেশী ওষুধ খাবেন না, এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।

কালো বিড়াল কি সত্যিই দুর্ভাগ্যের প্রতীক?

Tuesday, May 26, 2015 / No Comments
-black-cat-is-a-symbol-of-really-bad-luck-
বিড়াল পুষলেও কালো বিড়াল সাধারণত কেউ পোষেন না। বেশীরভাগ মানুষই কালো বিড়াল কে অশুভ অথবা দুর্ভাগ্যে প্রতীক মনে করেন।

কেবল আমাদের দেশেই নয় বরং পুরো বিশ্বেই এই কালো বিড়ালকে দুর্ভাগ্যের প্রতীক মনে করা হয়। এমন কি অনেক দেশের মানুষ মনে করেন চলতি পথে কালো বিড়াল দেখলে বিপদ সুনিশ্চিত।

কিন্তু, শুধুমাত্র গায়ের রঙের জন্য ই কি কালো বিড়ালকে দুর্ভাগ্যের প্রতীক বলা হয়? নাকি এর আড়ালে রয়েছে কোন দুর্ভাগ্যজনক অতীত?

অদ্ভুত এক ইতিহাস: কয়েক হাজার বছর আগের সময়। তখন মিশরে সব রঙের বিড়ালই সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করত। যেখানে বিড়াল হত্যা করলে মৃত্যু দ-াদেশের মত ভয়াবহ শাস্তি ভোগ করতে হত।

কয়েক সহস্রাব্দ পরে, খ্রিস্টানিয় স্থানীয় পৌতলিক রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য উৎখাত করে পুরো ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় ধারনা করা হয়, প্রত্যেক দেব দেবীর একটি করে পৌতলিক প্রতীক থাকে যার সাথে দেব দেবীরা যোগাযোগ করেন অতি দ্রুত। যেমন, দেবী ডায়নার পৌতলিক প্রতীক ছিলো বিড়াল।

১২৩৩ খ্রিষ্টাব্দে, পোপ গ্রেগরী নবম, একটি কালো বিড়ালে কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এবং ঘোষণা দেন, শয়তানের একটি অবতার হল এই কালো বিড়াল।

ঘোষণা পরবর্তী নির্মম ইতিহাস: 
পোপের প্রতি নিষ্ঠা প্রমান করতে উৎসুক খ্রিষ্টানরা সব কালো বিড়ালকে ধরপাকড় শুরু করে দেয় এবং গ্রাম্য অনুষ্ঠানে কালো বিড়াল কে জীবিত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে মারে। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিলো যে ১৪ শতকের দিকে ইউরোপের বেশ কিছু অংশে কালো বিড়াল বিলুপ্ত প্রায় হয়ে গিয়েছিলো।

পরবর্তী কয়েক শতাব্দীতে এই ধারনা পোষণ করা হয় যে স্বাভাবিকভাবেই কালো বিড়াল সব শয়তানের নেতৃত্ব দেয় এবং ডাইনীরা পৃথিবীতে কালো বিড়ালের ছদ্মবেশ নিয়ে আসে।

অন্যরা আবার বলতে শুরু করে যে একটি কালো বিড়াল সাত বছর ছদ্মবেশ নিয়ে থাকে এবং তারপর ই তার ডাইনী রুপ দেখায়। এমনকি এই ধারনার কারণে তৎকালীন সময়ে মৃত্যুদ- পাওয়ার জন্য একটি কালো বিড়ালের পালক হওয়াই যথেষ্ট ছিলো!

পরিশেষ:
যথেষ্ট হাস্যকর হলেও সত্য যে আজ অবদি এই কালো বিড়ালের কুসংস্কার নিজেদের দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই করেনি।

২০১৩ সালে এর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে সাধারণ বিড়াল চেয়ে, কালো বিড়ালের ৪-৬ দিন বেশি সময় লাগে কোন পালনকারী খুঁজে পেতে। শুনতে খারাপ লাগলেও ৭০ শতাংশ কালো বিড়ালের জন্য কোনো আশ্রয়দাতা মিলে না।

এমন কি গবেষকরাও নিশ্চিত বলতে পারবেন না ঠিক কি কারণে, আশ্রয়প্রাপ্ত মালিকদের কাছে কালো বিড়াল কম আকর্ষণীয়। হতে পারে, পুর্ববর্তী সেই কুসংস্কারের দায় আজো তাদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কালো বিড়াল আমাদের দুর্ভাগ্যের প্রতীক নয় বরং তাদের নিজেদেরই দুর্ভাগ্যের প্রতীক।

যে ভুলে নিজেই নষ্ট করছেন দেহের কিডনি

Monday, May 25, 2015 / No Comments
forget-the-body-that-are-damaged-kidneys
আমাদের শরীরের নানা বর্জ্য পদার্থ, অব্যবহৃত খাদ্য এবং বাড়তি পানি নিষ্কাশনে সাহায্য করে কিডনি। দেহের নানা বর্জ্য পদার্থের ক্ষতিকর টক্সিন থেকে আমাদের শরীরকে মুক্ত রাখার জন্য কিডনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আর এ কারণেই আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য কিডনির সুস্থতা অনেক বেশি জরুরি। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময়েই কিডনির দিকে ঠিক মতো নজর দিতে ভুলে যায়। আর শুধুমাত্র এই কারণে প্রতিবছর অনেক মানুষ কিডনির সমস্যায় পড়ে থাকেন।

কিডনির প্রতি ঠিকমতো নজর না দিয়ে কিডনি রোগে আক্রান্তের জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই। প্রতিনিয়ত আমরা এমন কিছু অনিয়ম করে থাকি যার প্রভাব সরাসরি পড়ে আমাদের কিডনির ওপর। কিন্তু আমাদের নিজের ভালোর জন্য আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। চলুন তবে কিডনির ক্ষতির জন্য দায়ী অনিয়মগুলো জেনে নিই এবং সতর্কতার সঙ্গে এই অনিয়মগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।

# মদ্যপান করা
মদ্যপান কিডনির জন্য সব চাইতে বেশি ক্ষতিকর। অ্যালকোহল কিডনি আমাদের দেহ থেকে সঠিক নিয়মে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে এটি কিডনির মধ্যে থেকেই কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে কিডনি নষ্ট করে দেয়। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগে আক্তান্ত হন অনেকেই। এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তাই মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।

# পর্যাপ্ত পানি পান না করা
কিডনির সুরক্ষার জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পানি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করায় ক্ষতি হয় কিডনির। বাসা থেকে বাইরে বের হলেই অনেকের পানি পানের কথা মনে থাকে না। কিন্তু এতে কিডনির ওপর অনেক বেশি পরিমাণে চাপ পড়ে এবং কিডনি তার সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে ৬-৮ গ্লাস পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। তাই সব সময় সঙ্গে পানির বোতল রাখুন।

# অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
অনেকের বাড়তি লবণ খাওয়ার বাজে অভ্যাস রয়েছে। খেতে বসে প্লেটে আলাদা করে লবণ নিয়ে খান অনেকেই। কিন্তু এই অনিয়মটির কারণে অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে কিডনির। কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম আমাদের দেহ থেকে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে বাড়তি লবনের সোডিয়ামটুকু রয়ে যায় কিডনিতেই। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কিডনি। এমনকি কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

# মাংস বেশি খাওয়া
অনেকের একটি বড় বাজে অভ্যাস রয়েছে যা হলো মাংসের প্রতি আসক্ততা। অনেকেই শাকসবজি ও মাছ বাদ দিয়ে শুধু মাংসের উপর নির্ভরশীল। এই অনিয়মটিও কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিডনির সুরক্ষার জন্য মাছ ও শাকসবজি অনেক বেশি জরুরি। অতিরিক্ত মাংস খাওয়া কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই খাদ্যাভ্যাসটা ঠিক করুন।

# অতিরিক্ত ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া
অনেকেই সামান্য ব্যথা পেলেই ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে মাথাব্যথার কারণে অনেকেই এই কাজটি করে থাকেন। কিন্তু এটি কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি কাজ। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরণের ব্যথানাশক ঔষধ কিডনির কোষগুলোর মারাত্মক ক্ষতি করে। এতে পুরোপুরি ড্যামেজ হয়ে যায় কিডনি। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভুলেও কোনো ব্যথানাশক ঔষধ খাবেন না।

# প্রসাব আটকে রাখা
ঘরের বাইরে বেরোলে অনেকেই প্রসাব আটকে রাখা কাজটি করে থাকেন। আপাত দৃষ্টিতে এর ক্ষতির মাত্রা ধরা না পরলেও এটি কিডনিকে নষ্ট করে দেয় খুব দ্রুত। প্রসাব আটকে রাখলে কিডনির ওপর অনেক বেশি চাপ পরে এবং কিডনি সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই ভুলেও এই কাজটি করতে যাবেন না। বাসায় ফেরার জন্য অপেক্ষা না করে অন্য উপায় খুঁজে নিন। এতে করে কিডনি থাকবে সুস্থ।