সাম্প্রতিক শিরোনাম

Menu

Browsing "Older Posts"

আপনি "shortcut" বিভাগ ব্রাউজ করছেন

ঘর থেকে ইঁদুরের উপদ্রব দূর করুন ৪টি কৌশলে

Sunday, July 19, 2015 / No Comments
how to remove rats from home

ঘরে ইঁদুরের উপদ্রব খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা। শুধু ভুক্তভোগীরাই এ সমস্যা সম্পর্কে জানেন। ইঁদুরের একমাত্র কাজ হলো কাপড়চোপড়, বইপত্র কেটে কুচিকুচি করা। ইঁদুরের উপদ্রব একবার হলে একেবারে নির্মূল না করা পর্যন্ত এই যন্ত্রণার শেষ হবে না।  এছাড়াও ইঁদুরের কারণে নানা রোগ বালাই ঘরে লেগেই থাকে। ইঁদুরের বিষ দিলেও অনেক সময় কাজ হয় না। এছাড়াও অনেকের ঘরে শিশু থাকে বলে বিষ দেয়া নিরাপদ নয়। তাই ঘরের সামান্য টুকটাক জিনিস দিয়েই ইঁদুরের উপদ্রব থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজে। তাহলে জেনে নিন যাক ইঁদুর তাড়ানোর উপায়গুলো।
১) পেঁয়াজের ব্যবহার : পেঁয়াজের অনেক গুণের মধ্যে আরো একটি অসাধারন গুণ হচ্ছে পেঁয়াজ দিয়ে খুব সহজেই ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পেঁয়াজের উপাদান ইঁদুর হজম করতে পারে না। কিন্তু ইঁদুর খুব সহজেই পেঁয়াজে কামড় দিয়ে বসে। ইঁদুর যেখানে রয়েছে বলে মনে করছেন সে সকল স্থানে পেঁয়াজ টুকরো করে রেখে দিন। কিছুদিনের মধ্যেই ইঁদুর আর দেখতে পবেন না ঘরে।
২) তেজপাতার ব্যবহার : তেজপাতা খুবই উপকারী একটি মসলা যা প্রত্যেকের ঘরেই রয়েছে। এই উপকারী মসলাটিও ইঁদুর থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন অনায়েসেই। তেজপাতাকে ইঁদুরেরা নিজেদের খাবার মনে করে। কিন্তু তেজপাতা খাওয়ার পর তারা এটি হজম করতে পারে না একেবারেই। তেজপাতা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে রাখুন উপদ্রবের স্থানগুলোতে কিছুদিনের মধ্যেই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।
৩) গোল মরিচের ব্যবহার: গোলমরিচের গন্ধ ইঁদুর একেবারেই সহ্য করতে পারে না। গোলমরিচের পানজেন্ট ধরনের ঘ্রাণ অর্থাৎ ঝাঁজ পূর্ণ ঘ্রাণ ইঁদুরের ফুসফুসে গেলে শ্বাস নিতে পারে না ইঁদুর। আর একারণে খুব সহজেই মারা পড়ে। যে সকল স্থানে ইঁদুরের উপদ্রব বেশী বা ইঁদুরের আবাস রয়েছে মনে করছেন সে সকল স্থানে গোলমরিচ গুঁড়ো করে ছড়িয়ে রাখুন। ইঁদুরের বংশ নির্বংশ করতে পারেবন খুজ সহজেই।
৪) পিপারমিন্ট অয়েল : ইঁদুর পুদিনাপাতার গন্ধ সহ্য করতে পারে না, সেই সঙ্গে পিপারমিন্ট অয়েলও অনেক কার্যকরী। এগুলোর গন্ধ ইঁদুর একেবারেই সহ্য করতে পারে না। ঘরে পিপারমিন্ট অয়েল একটি তুলোর বলে লাগিয়ে ইঁদুরের উপদ্রবের স্থানে রাখলে বা ঘরে এমনিতেই ছড়িয়ে রাখলে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। যদি ঘরে পিপারমিন্ট অয়েল না থাকে তাহলে, পুদিনা পাতা ছেঁচে অলিভ অয়েলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন এবং ঠাণ্ডা করে ব্যবহার করতে পারেন।

শুধুমাত্র টুথপেস্ট দিয়ে দৈনন্দিন ৮টি সমস্যার সমাধান

/ No Comments
solve-your-eight-daily-problem-by-using-toothpaste
টুথপেস্ট দিয়ে আপনি কি কি করতে পারেন? প্রশ্নটি শুনে অনেকেই হয়তো অবাক হয়ে উত্তর দেবেন, টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজা ছাড়া আর কি করা যেতে পারে? কিন্তু শুধুমাত্র এই টুথপেস্ট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশ কিছু সমস্যার সহজ সমাধান করে দিতে পারে। ভাবছেন টুথপেস্ট দিয়ে কি করা যাবে? তাহলে জেনে নিন টুথপেস্টের দারুণ কিছু ব্যবহার যা দূর করবে দৈনন্দিন কিছু সমস্যা।
হাতের দুর্গন্ধ দূর করতে :
পেঁয়াজ, রসুন কিংবা মাছ কাটার পর হাত দুর্গন্ধ হয়ে যায়। ভালো করে সাবান দিয়ে ধুলেও গন্ধ যায় না। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হাতে টুথপেস্ট মাখিয়ে নিন ভালো করে। এবং সাবানের মতোই ব্যবহার করে হাত ধুয়ে নিন। দেখবেন ম্যাজিকের মতো হাতের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
কাঠের আসবাব থেকে মার্কারের দাগ তুলতে :
পার্মানেন্ট মার্কারের দাগ তোলার মতো কঠিন কিছুই নেই। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত দাগ লেগে গেলে তা তোলা অনেক ঝামেলার। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান করতে পারে টুথপেস্ট। দাগের উপরে টুথপেস্ট ভালো করে লাগিয়ে ঘষে নিন। শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড দিয়ে ঘষে তুলে নিন এবং শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। ব্যস, সমস্যার সমাধান।
সাদা জুতো চকচকে করতে :
অনেকেই শখ করে সাদা জুতো পরেন, আবার অনেকের পছন্দ সাদা লাইনিং দেয়া স্নিকার্স। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সাদা জুতো বা স্নিকার্সের লাইনিং কিছুদিনের মধ্যেই ময়লায় কালচে হয়ে যায়। এক কাজ করুন। একটি ব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে টুথপেস্ট ঘষে নিন সাদা অংশে। ব্যস, একেবারেই নতুনের মতো সাদা হয়ে যাবে।
কাপড়ের দাগ তুলতে :
অনেক সময় কাপড়ের দাগ জেদি হয়ে বসে যায় যা কোনো ডিটারজেন্ট দিয়ে তোলা যায় না। এই সমস্যার সমাধানও করতে পারে টুথপেস্ট। দাগের উপরে পুরু করে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে ভেজা একটি ব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে ঘষে তুলে নিন। এরপর কাপড় ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন দাগ গায়েব।
ইস্ত্রি পরিষ্কার করতে :
দীর্ঘদিনের ব্যবহার এবং কাপর পুড়ে গেলে ইস্ত্রি নোংরা হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে টুথপেস্ট। পুরো ইস্ত্রিতে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিয়ে একটি ভেজা কাপড় দিয়ে ঘষে নিন। চকচকে পরিষ্কার হয়ে যাবে ইস্ত্রি।
নখের হলদেটে ভাব ও ময়লা দূর করতে :
নখ হলদেটে হয় থাকলে এবং ময়লা দেখালে একটু বিশ্রীই লাগে। কিন্তু নখের এই হলদেটে ভাবও নিমেষে দূর করে দিতে পারে টুথপেস্ট। নখে টুথপেস্ট লাগিয়ে একটি ব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষে নখ পরিষ্কার করে নিন। দারুন ফল পাবেন।
পুরনো সিডির স্ক্র্যাচ দূর করতে :
পুরনো সিডিতে স্ক্র্যাচ পড়া থাকলে সিডি চালানো সম্ভব হয় না। এই সমস্যার সমাধান করতে টুথপেস্ট ঘষে নিন সিডিতে স্ক্র্যাচ অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। এমনকি মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের ছোট স্ক্র্যাচ, বাথরুমের কাচ ও গ্লাস, সানগ্লাসের দাগও দূর করতে পারেন একই পদ্ধতিতে।
ব্রণ দূর করতে :
ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন? একরাতের মধ্যেই ব্রনের লালচে ও ফোলাভাব দূর করে দিতে ব্রণের উপরে রাতে একটু টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। সকালে উঠে দেখুন ম্যাজিক।

ঘরে প্রচণ্ড মাছির উপদ্রব? জেনে নিন দূর করার ৩টি সহজ উপায়

Friday, July 3, 2015 / No Comments

বর্ষাকাল এলেই মাছির উপদ্রব বেড়ে যায়। এই মৌসুমে মাছি একটা বড় যন্ত্রণার নাম। এক তলা হোক বা ১০ তলা, মাছির উপদ্রব থেকে রেহাই পান না কেউ-ই। মাছি বহন করে অসংখ্য রোগের জীবাণু, যা কোনভাবে আপনার খাবার বা পানিতে লাগলেই মারাত্মক সব অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। খাবার না হয় ঢেকে রাখলেন, কিন্তু মাছি ছোট শিশুদের শরীরেও বসে যার পরিনাম শিশুদের অসুস্থতা।
মাছির যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া আসলে বেশ ঝামেলারই বটে। সারাক্ষণ দরজা জানালা বন্ধ করে বাঁচা যায় না। অন্যদিকে কীটনাশক ওষুধ স্প্রে করাও একেবারেই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। তাহলে কী করবেন? আজ জেনে নিন ৩টি দারুণ উপায়। এই পদ্ধতিতে পরিবারের কারো স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করেই মাছিকে ভাগিয়ে দিতে পারবেন আপনি!
পদ্ধতি-১
-এই কাজে প্রয়োজন হবে কেবল একটি পাটের দড়ি!
-এক টুকরো পাটের দড়ি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
-ভালো মত ভিজে গেলে পানি নিংড়ে নিন। এমন ভাবে যেন পানি পড়ে আপনার ঘর নোংরা না হয়, কিন্তু দড়িটি ভেজা থাকে।
-এবার এমন ভেজা দড়ি ঘরের দরজা বা জানালায় বেঁধে দিন। যেসব ঘরে মাছির উপদ্রব বেশি, সেসব স্থানে বেশী করে দিতে পারেন। এইভেজা পাটের দড়ি মাছিকে অতি আকর্ষণ করবে যে সে দড়িতেই গিয়ে বসবে, আপনার খাবারে নয়। জানালায় বেঁধে রাখলে ঘরে ঢোকার মুখেই বাঁধা পাবে, দড়িতে আকর্ষণ খুঁজে পেয়ে আর ঘরে প্রবেশ করবে না।
-দড়ি শুকিয়ে গেলে ভিজিয়ে দিতে ভুলবেন না।
পদ্ধতি-২
মাছিরা লবঙ্গের গন্ধ পছন্দ করে না। ভালো মানের লবঙ্গ (যেগুলো থেকে নির্যাস বের করে নেয়া হয়নি) একটু থেঁতো করে আপনার ডাইনিং টেবিলে রাখুন। মাছি কাছে ঘেঁষবে না।
পদ্ধতি-৩
মাছি পুদিনা খুবই অপছন্দ করে। রান্নাঘর বা খাবার টেবিলে টব সহ পুদিনার গাছ রাখুন, মাছি থাকবে দূরে।

মাত্র ২ মিনিটে বন্ধ করুন যন্ত্রণাদায়ক হেঁচকি!

Monday, June 29, 2015 / No Comments
how to stop hiccups
হেঁচকি ওঠা সব চাইতে যন্ত্রণাদায়ক একটি ব্যাপার। আর হেঁচকি শুরু হলে যদি বন্ধ না হয় তাহলে তা হয় আরও যন্ত্রণা ও অস্বস্তির ব্যাপার। হেঁচকির আওয়াজ আশেপাশের অন্য মানুষের জন্য বেশ বিরক্তিকর ও অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় আর নিজের কাছে তো যন্ত্রণারই।
যতক্ষণ পর্যন্ত হেঁচকি বন্ধ না হয় প্রকৃতপক্ষে কিছুই করা সম্ভব হয় না। কাজ করার সুযোগই থাকে না। তাই আজ আপনাদের জন্য রইল হেঁচকি উঠা বন্ধের খুব কার্যকরী কিছু কাজ।
আসুন জেনে নিই মাত্র ২ মিনিটে হেঁচকি ওঠা বন্ধ করার উপায়:
খানিকক্ষণ দম বন্ধ রাখুন: হেঁচকি উঠা শুরু হলে খুব জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে দম বন্ধ করে রাখুন ১০-১৫ সেকেন্ডের মতো। এভাবে ৩/৪ বার করুন। দেখবেন হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রথম দফায় বন্ধ না হলে মিনিট ৫ পাঁচেক পর আবার একইভাবে চেষ্টা করুন। হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।
পলিথিন ব্যবহার করুন: খুব হেঁচকি উঠছে। কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। এর কারণ হচ্ছে রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে যাওয়া। রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে গেলেই হেঁচকি ওঠা শুরু হয়। একটি কাগজ অথবা পলিথিনের ব্যাগ মুখের সামনে নিয়ে এসে ওর মধ্যে মুখটা ঢুকিয়ে নিঃশ্বাস নিন ও ছাড়ুন।
এতে আপনার রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাবে। যখন রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ঠিক হবে তখন আপনাআপনিই আপনার হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে।
খুব ঠান্ডা পানি পান করুন: একটি গ্লাসে খুব ঠান্ডা পানি নিয়ে থুতনি উঁচু করে অল্প অল্প করে চুমুক দিতে থাকুন। ২ মিনিটের মধ্যেই হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে যাবে। তবে পানি অনেক বেশি ঠান্ডা হতে হবে।
হাঁটু ভাঁজ করুন: হাঁটু ভাঁজ করে নিয়ে বুকের কাছে শক্ত করে দুহাত জড়িয়ে ধরে রাখুন। বড় বড় নিঃশ্বাস নিন ও ছাড়ুন। দ্রুত হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে যাবে।
ভিনেগার ব্যবহার করুন: ভিনেগার একটি ভালো জিনিস হেঁচকি ওঠা বন্ধের। হেঁচকির সমস্যা থেকে মুক্তি চাইলে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মুখের ভেতর দিয়ে রাখুন। দেখবেন হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে মুখে গন্ধ হয় বলে এই কাজটি কেউ সহসা করতে চান না।
নাক টিপে ঢোক গিলুন: একহাতে নাক টিপে ধরে ঢোক গিলুন। এভাবে ঢোক গিলতে থাকুন ৩০ সেকেন্ড পর পর। দু মিনিটেই হেঁচকি উঠা বন্ধ হবে।

অতিরিক্ত পাকা কলাটিকে করুন নতুনের মতো তরতাজা

Sunday, June 21, 2015 / No Comments
অনেকেরই পছন্দের ফলগুলোর মধ্যে কলা অন্যতম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কলা ঘরে বেশীদিন কিনে রাখা যায় না। কারণ কলা দুই দিনের মধ্যেই অতিরিক্ত পেকে একেবারেই কালচে হয়ে যায় খোসা। অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলা পরবর্তীতে কেউই খেতে চান না। অনেকে এই অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলা অন্যান্য খাবারে ব্যবহার করেন অথবা ফেলেও দেন। কিন্তু আজ থেকে দুটোর কোনটাই করতে হবে না। কলা অতিরিক্ত পেকে গেলেও খুব সহজ উপায়ে একেবারে নতুনের মতো তরতাজা করে ফেলতে পারবেন।

মনে করছেন এটা আবার সম্ভব কি করে! বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক ছোট্ট একটি ভিডিও। নিজের চোখেই দেখে শিখে নিন জাদুকরী খুবই সহজ এই পদ্ধতিটি।

যা যা লাগবে :
- অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কালচে ধরনের কলা
- একটি জিপলক ব্যাগ
- ১ ব্যাগ চাল
- ১ টি হেয়ার ড্রায়ার

পদ্ধতি :

- প্রথমে অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলাটি একটি চাল ভর্তি জিপলক ব্যাগের ভেতরে ঢুকিয়ে নিন।

- লক্ষ্য রাখবেন ব্যাগের ভেতরে যেন বাতাস না থাকে। যতোটা সম্ভব বাতাস বের করে ব্যাগের মুখ বন্ধ করে নিন।

- এরপর এই ব্যাগ রেখে দিন ১ ঘণ্টা। এতে কলার বাড়তি ময়েশ্চারেজার শুষে নিবে।

- এরপর একটি হেয়ার ড্রায়ার ওয়ার্ম পয়েন্টে সেট করে গরম বাতাস কলাটিতে দিতে থাকুন। এবং দেখুন ম্যাজিক। একেবারেই জাদুমন্ত্রের মতো কলার গায়ের কালচে ভাব দূর হয়ে নতুনের মতো হলদে রঙ চলে আসবে।

- এভাবে পুরো কলাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গরম বাতাস লাগিয়ে কলার গায়ের দাগ দূর করে ফেলুন। এরপর কলা ছিলে একেবারে নতুনের মতো তরতাজা কলার স্বাদ নিন।

- এভাবে বেশ কয়েকটি অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলাও একেবারে তরতাজা করে ফেলতে পারেন নিমেষেই। নিজেই চেষ্টা করে দেখুন একবার।

বৃষ্টির স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ঘর থেকে দূর করে দিন সহজেই

Saturday, June 20, 2015 / No Comments

একটু দেরিতে হলেও শুরু হয়ে গেলো বর্ষা। গত ২ দিনের টানা বৃষ্টিতে গরমের যন্ত্রণা কমলেও আরেকটি যন্ত্রণা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, আর তা হচ্ছে টানা বৃষ্টিয় ফলে ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ। বৃষ্টি ও বৃষ্টির গন্ধ ভালো লাগলেও টানা বৃষ্টির এই গন্ধ ও স্যাঁতস্যাঁতে ভাবের যন্ত্রণা নিশ্চয়ই ভালো লাগে না। তবে চিন্তা করবেন না। খুব সহজেই বৃষ্টির স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও গন্ধ দূর করে দিতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক কৌশলগুলো।

১) লেবুর রসের ব্যবহার

লেবুর রসের অ্যাসিডিক ফরমেশন ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস জনিত স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও গন্ধ দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ২:১ অনুপাতে লেবুর রস ও পানি মিশিয়ে যেসকল স্থানে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও গন্ধ বেশি হয় সে স্থান মুছে নিন ভালো করে। আর তাজা লেবুর রস ঘরের কোণে স্প্রে করে দিলে গন্ধও দূর হয়ে যাবে নিমেষেই।

২) ভিনেগারের ব্যবহার

স্যাঁতস্যাঁতে ভাবের মূল কারণ হচ্ছে টানা বৃষ্টিতে অনেকটা সময় ধরে ভেজা থাকা স্থান ও ভেজা থাকার ফলে সেই স্থানে ফাঙ্গাসের উৎপত্তি। আর এই সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করতে পারে ভিনেগার। পানিতে সমপরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে ঘর মুছে নিন। এরপর ফ্যানের বাতাসে ঘর শুকিয়ে নিন। ভিনেগারের গন্ধ দূর করতে ভালো কোনো এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করুন বা লেবুর রসই স্প্রে করে দিন। দেখবেন ঘর অনেকটাই ফ্রেশ লাগবে।

৩) বেকিং সোডার ব্যবহার

বেকিং সোডাও অ্যাসিড জাতীয় একটি উপকরণ যা স্যাঁতস্যাঁতে ভাব নিমেষেই দূর করে দিতে পারে। এছাড়াও বেকিং সোডার গন্ধ শুষে নেয়ার ভালো একটি গুণ রয়েছে। ঘরের যেসকল স্থানে স্যাঁতস্যাঁতে ভাবটা বেশি এবং গন্ধ বেশি হয়ে আছে, সেখানে বেকিং সোডা ছিটিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। দেখবেন বেকিং সোডা গন্ধ শুষে নিয়েছে। পড়ে বেকিং সোডা সরিয়ে ফেললেই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।

জেনে রাখুন কিছু কার্যকরী টিপসঃ

- বৃষ্টির দিনে ঘর মুছে ফ্যানের বাতাসে ঘর ভালো করে শুকিয়ে নিন। এতে গন্ধ হবে না।
- বৃষ্টি হলে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে থাকেন অনেকেই। তবে বৃষ্টি শেষ হওয়ার সাথে সাথে দরজা জানালা খুলে তাজা বাতাস ঘরে ঢুকতে দিন। এতে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও গন্ধ অনেকটাই কমে যাবে।
- ভালো এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করুন বা ঘরে রাখুন তাজা ফুল।

ডিম নষ্ট হবে না ১ বছরেও!

Thursday, June 18, 2015 / No Comments



শিরোনাম পড়ে অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন স্বাদ এবং পুষ্টির বিন্দুমাত্র হেরফের না করেই এক বছর পর্যন্তও কি ডিম রাখা সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ডিমকে সংরক্ষণ করতে পারবেন প্রায় এক বছর পর্যন্ত। সে ডিমে তৈরি হতে পারে পছন্দের যে কোন খাবারই। কিন্তু কীভাবে? জেনে নিন ছোট্ট একটি কৌশল।

যে ডিমগুলো সংরক্ষণ করতে চান সেগুলো আলাদা করে নিন। এবার পরিষ্কার একটি পাত্রে ডিম ভেঙে নিন। সামান্য একটু লবণ দিয়ে ডিমগুলো ফেটিয়ে নিতে হবে। তবে খুব বেশি ফেটানোর প্রয়োজন নেই। এবার এই ডিম গুলোকে ছোট ছোট বক্সে বা বাটিতে ভরে সংরক্ষণ করুন। বরফ জমানোর ট্রেতে আইস কিউব আকারেও সংরক্ষণ করতে পারেন। গোলানো ডিম কিউব আকারে জমে গেলে তা বের করে প্লাস্টিকের ব্যাগে সংরক্ষণ করতে পারেন। এতে ফ্রিজের জায়গা বাঁচবে।

ডিম না ফেটিয়ে কুসুম অক্ষুন্ন রেখেও ডিম সংরক্ষণ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ছোট কাপের ভেতর ডিম ভেঙে দিন। এমনভাবে ভাঙতে হবে যেন কুসুম আস্ত থাকে। এবার ডিমটি ডিপ ফ্রিজে রাখুন। জমে গেলে বের করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে রাখুন। এই ডিম দিয়েও আপনি যে কোন খারাপ তৈরি করতে পারবেন অনায়াসে।

জেনে নিন ফ্রিজে রাখা কাঁচা মাছের স্বাদ অটুট রাখার পদ্ধতি

Tuesday, June 16, 2015 / No Comments
check-refrigerated-raw-fish-taste-maintaining-procedures
অনেকেই একদিনে পুরো মাসের বাজার করে ডীপ ফ্রিজে কাঁচা মাছ রেখে দেন। শুধু তাই নয় কিছুদিন ফ্রিজে মাছ রেখে দিলেই মাছের স্বাদ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। খেতে শুকনো লাগে এবং গন্ধ বেশি লাগে। বেশীদিন রেখে দিলে মাছ খাওয়াই যায় না, ফেলে দিতে হয়।  কিন্তু এই সমস্যার রয়েছে খুবই সহজ ছোট্ট একটি সমাধান। আপনি চাইলেই মাছের তাজা ভাব ফিরিয়ে আনতে পারেন খুব সহজে। তাহলে জেনে নিনঃ
মাছের তাজা স্বাদ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে দুধ। প্রথমে ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে ঠাণ্ডা ছাড়িয়ে নিন। এরপর মাছের পিসগুলো একটি বড় বাটিতে দুধ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ৩০ মিনিট।
তারপর স্বাভাবিক ভাবে ধুয়ে রান্না করুন। দেখবেন মাছের তাজা স্বাদ ফিরে এসেছে এবং আঁশটে গন্ধও নেই একেবারে।

শসার ব্যতিক্রমী ব্যবহার

Friday, June 5, 2015 / No Comments
exceptional-use-of-cucumber

শসা অনেকেরই প্রিয় খাবার, বিশেষ করে গরমের সময়। শসার নানা গুণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শসা শরীর ঠাণ্ডা রাখতে পারা। আর এ কারণেই গরমে শসার কদর একটু বেশিই বেড়ে যায়। কিন্তু শসা শুধুই খাওয়ার কাজে নয় অন্যান্য অনেক কাজেও ব্যবহার করা যায়। শসার আরও নানা ব্যতিক্রমী ব্যবহার রয়েছে যা নিঃসন্দেহে অবাক করবে আপনাকে।

১) মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে শসা
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে অনেক কার্যকরী পুদিনা, দারুচিনি ও লবঙ্গ। কিন্তু এগুলো ছাড়াও আপনি খেয়ে নিতে পারেন শসা। এতে মুখের দুর্গন্ধ থাকবে না।

২) মাথা ব্যথা দূর করে
একটানা কাজ করে গেলে মাথাব্যথা হওয়াই স্বাভাবিক যদি মাঝে একেবারেই চোখও বন্ধ না করা হয়। এই ধরণের মাথা ব্যথা দূর করতে কয়েক টুকরা শসা খেয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন অন্তত ৫ মিনিট। দেখবেন মাথা ব্যথা সেরে যাবে।

৩) ঢিলে হয়ে যাওয়া চামড়া টাইট করতে
শসা আমাদের ত্বকের কোলাজেন টিস্যুর ক্ষতি পূরণ করতে সহায়তা করে এবং ত্বকের ইলাস্টিসিটি ফিরিয়ে আনে। শসা খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকে শসা বা শসার রস ঘষে নিলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

৪) জিনিসপত্রের মরিচা দূর করতে
কাটাকাটি করার ছুরি বা এ ধরণের জিনিসগুলো অনেক দিন ব্যবহার না করলে মরিচা পড়ে যায়। এই মরিচা দূর করতে এক টুকরা শসা কেটে নিয়ে ঘষে নিন ভালো করে। ব্যস সমস্যার সমাধান এবং সেই সঙ্গে ধাঁরও বেড়ে যাবে।

৫) ক্যালরি ছাড়াই ক্ষুধা দূর করবে, কমাবে ওজন
ক্ষুধার সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ক্যালরি বাড়ানোই ওজন বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ। তাহলে এক কাজ করুন ক্ষুধা পেলেই শসা খেয়ে নিন। এতে ক্যালরি একেবারেই নেই যার ফলে ওজনটা বাড়বে না একেবারেই।

৬) বাগানকে পোকামাকড়ের অত্যাচার থেকে রক্ষা করতে
শখ করে বাগান করলে পোকামাকড়ের যন্ত্রণায় তা টিকিয়ে রাখাই দায়। এক কাজ করুন, একটি এ্যালুমিনিয়াম কৌটোয় কয়েক টুকরো শসা রেখে দিন। এ্যালুমিনিয়ামে শসা রাসায়নিক বিক্রিয়া করে এমন গন্ধের সৃষ্টি করবে যা মানুষের কোনো সমস্যা না করলেও পোকামাকড়কে বাগান ঠেকে দূরে রাখবে।

৭) আয়না ঝকঝকে পরিষ্কার করতে
বাথরুমের শাওয়ার গ্লাস বা বেসিনের আয়নাটাতে ধোঁয়াটে ধরণের দাগের সৃষ্টি হলে তা সহজে উঠতে চায় না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এক টুকরো শসা নিয়ে ঘষে দেখুন। খুব সহজেই ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৮) দরোজার শব্দ বন্ধ করতে
একটু পুরনো হলে বা দরজার নব ঠিক না থাকলে ক্যাঁচকোঁচ করে মাথা ধরিয়ে দেয়। দরোজার কবজায় এক টুকরা শসা নিয়ে ঘষে দিন। বিরক্তিকর শব্দ বন্ধ হয়ে যাবে।

৯) জুতা পরিষ্কার করতে
জুতো ময়লা হয়ে গিয়েছে কিন্তু ঘরে পলিশ নেই? একেবারেই ভাববেন না। জুতো পরিষ্কার করে নিন এক টুকরো শসা দিয়ে। একেবারে চকচক করবে।

১০) দেয়ালের দাগ পরিষ্কার করতে
বাসায় ছোটো শিশু থাকলে দেয়ালে কালি, রঙ বা ক্রেয়নের দাগ তো থাকেই। এই সমস্যা দূর করতে শসার খোসা নিয়ে দাগগুলোতে আলতো করে ঘষে তুলে ফেলুন। দেখবেন খুব সহজে উঠে গিয়েছে।

কিভাবে কাপড় থেকে মেহেদীর দাগ তুলবেন

Tuesday, May 26, 2015 / No Comments
how to clean  cloth from Mehedi
মেহেদীতে হাত রাঙানো কার না পছন্দ বলুন। কিন্তু সমস্যা হাত রাঙানোতে নয়। সমস্যা শুরু হয় যখন মেহেদীর লাল রঙ পছন্দের কাপড়ে বা বেড শিট অথবা ঘরের অন্যান্য কাপড়ে মেহেদীর রং লেগে যায়। বিশেষ করে যদি বাচ্চারা মেহেদী লাগানোর গোঁ ধরে তাহলে নিশ্চিত থাকুন কাপড়ে লাগবেই। আর যদি মেহেদী লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে সকালে উঠে কাপড়ে দাগ দেখে কষ্টই লাগার কথা, কারণ মেহেদীর দাগ কাপড় থেকে তোলা সবচাইতে কষ্টকর একটি ব্যাপার। তবে খুব বেশি চিন্তা করবেন না, এই মেহেদীর দাগ তোলারও সহজ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। চলুন আজকে তবে জেনে নেয়া যাক কাপড় থেকে মেহেদীর দাগ তোলার কৌশলগুলো।
১) ডিটারজেন্ট পদ্ধতি
মেহেদী কাপড়ে লাগার সাথে সাথে মেহেদীটুকু তুলে নিয়ে একটি নরম কাপড় ডিটারজেন্টে ডুবিয়ে আলতো করে গোল গোল করে ঘষে নিন ভালো করে। এতে রঙ অনেকটাই উঠে যাবে।
২) দুধের ব্যবহার
মেহেদী লাগা কাপড়টিতে যদি আরও দাগ থাকে তাহলে দুধ গরম করে নিন (খুব বেশি গরম নয়)। এরপর দাগ লাগা অংশ দুধে চুবিয়ে রাখুন ২০-৩০ মিনিট। এরপর নরম কাপড় অথবা পুরনো টুথব্রাশ দিয়ে আলতো ঘষে পরিষ্কার করে নিন। দাগ উঠে যাবে।
৩) বেকিং সোডার ব্যবহার
পানি ও বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে দাগের উপরে দিন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। এতেও মেহেদীর দাগ অনেকটাই চলে যাবে।
৪) ভিনেগারের ব্যবহার
যদি মেহেদীর দাগ পুরোপুরি না চলে যায় তাহলে ভিনেগার ও বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাগের উপর দিয়ে রাখুন। শুকিয়ে যেতে দিন এবং তারপর শুকিয়ে যাওয়া পেস্ট ব্রাশ করে তুলে ফেলুন এবং ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। দাগ একেবারে উঠে যাবে।
* মেহেদীর দাগ কখনোই গরম পানিতে ধোবেন না, এতে দাগ আরও বসে যায়। সব সময় ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন।

পিঁপড়া থেকে মুক্তি পাবার সহজ কিছু উপায়

Monday, May 18, 2015 / No Comments
প্রবাদ আছে 'যে ভোগে সে বুঝে' কথাটা মিথ্যা কিছু নয়। তেমনই একটা উপদ্রব পিঁপড়ার উপদ্রব। এ উপদ্রব কতোটা যন্ত্রণাদায়ক তা একমাত্র ভুক্তভুগিরাই ভালো বুঝে। বিশেষ করে গৃহিণীরা অনেক বেশিই বিরক্ত থাকেন পিঁপড়ার যন্ত্রণায়। চিনির বয়ামগুলোর ঢাকনা ভালো করে আটকে রাখলেও পিঁপড়া উঠবেই।
আর যখন কোনো খাবার বা পানীয়তে চিনি ব্যবহার করতে যাওয়া হয় তখন খাবারে ভেসে উঠে পিঁপড়া যা খুবই বিরক্তিকর। কিন্তু এই বিরক্তিকর যন্ত্রণা থেকে বসহজেই মুক্তি পেতে পারেন ১০টি কার্যকরী উপায়ে।

ভিনেগারের ব্যবহার :
সমপরিমাণ পানি ও ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে নিন ভালো করে। একটি স্প্রে বোতলে মিশ্রণ ভরে নিয়ে ঘরের যে স্থান দিয়ে পিঁপড়া ঘরে ঢোকে সেসব স্থানে ভালো করে স্প্রে করে দিন। ব্যস, পিঁপড়া আর আসবে না।

লবণের ব্যবহার :
সবচাইতে কম খরচে পিঁপড়ার হাত থেকে রেহাই পেতে গরম পানিতে লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর তা স্প্রে বোতলে ভরে নিয়ে যেখানেই পিঁপড়া দেখবেন সেখানে স্প্রে করুন। ব্যস, সমস্যার সমাধান।

গোল মরিচের ব্যবহার :
গোল মরিচ গুঁড়ো করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে একই পদ্ধতিতে সব স্থানে স্প্রে করেও পিঁপড়ার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন।

সাবানের ব্যবহার :
সাবানের কেমিক্যাল পিঁপড়ার জন্য ক্ষতিকর। তাই স্প্রে বোতলে সাবান পানি ভরে নিয়ে পিঁপড়া ঢোকার সবস্থানে স্প্রে করে রাখুন।

লেবুর ব্যবহার :
লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড পিঁপড়া মারতে সক্ষম। লেবুর রসের সঙ্গে পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। যেখানেই পিঁপড়া দেখবেন স্প্রে করে দিন।

শসার ব্যবহার :
পিঁপড়া শসার স্বাদ একেবারেই পছন্দ করে না। সে সকল স্থান দিয়ে পিঁপড়া ঘরে ঢোকে সেসব স্থানে শসা কেটে রেখে দিন। পিঁপড়া আর ঢুকবে না।

বেবি পাউডারের ব্যবহার :
যেখানে পিঁপড়ার আনাগোনা বেশি দেখবেন সেখানে বেবি পাউডার ছিটিয়ে দিন। পিঁপড়া বেবি পাউডারের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। সুতরাং আপনি মুক্তি পাবেন।

রসুনের কোয়া এবং দারুচিনি :
রসুন ও দারুচিনির গন্ধও পিঁপড়া সহ্য করতে পারে না। তাই সব স্থানে রসুনের কোয়া বা দারুচিনি দিয়ে রাখুন। ঝামেলা থেকে রেহাই পাবেন।

কর্ণ ফ্লাওয়ারের ব্যবহার :
পিঁপড়া কর্ণফ্লাওয়ার হজম করতে পারে না। পিঁপড়ার উপরে কর্ণফ্লাওয়ার খানিকটা ছিটিয়ে দিলে পিঁপড়া খাবে ঠিকই কিন্তু হজম করতে পারবে না। এতে করেও রেহাই পাবেন যন্ত্রণা থেকে।

পারফিউমের ব্যবহার :
পিঁপড়া পারফিউমের কড়া গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তাই একটি তুলোর বলে পারফিউম স্প্রে করে পিঁপড়া ঢোকার স্থানে রেখে দিন। ব্যস, ঝামেলা থেকে মুক্তি।

লেবুর ছালের নানাবিধ ব্যবহার

Wednesday, May 13, 2015 / No Comments
Using a range of lemon peel
বারোমাসি ফলের মধ্যে লেবুর কোন জুড়ি নেই। রসালো আর অসাধারণ ঘ্রানের জন্যই সকলের কাছেই লেবু প্রিয় ফল। লেবুর ফেলনা অংশ, যেমনঃ ছাল আর চিপে রাখা লেবু আমরা ফেলে দেই, কিন্তু লেবুর এই ফেলনা অংশ খুবই দরকারি কাজে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে ঘষা-মাজা আর তৈজস পরিষ্কারে অসাধারণভাবে কাজে লাগাতে পারেন লেবুর ছালকে। ফেলনা লেবু কাজে যাতে লাগাতে পারেন তার জন্য কিছু টিপস আপনাদের জন্য নিম্নে দেওয়া হলোঃ
১. মাইক্রোওয়েভ ওভেনপরিষ্কারের কাজে :
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভেতরে জমে থাকা ময়লা-দাগ পরিষ্কারেও বাজারের রাসায়নিক ক্লিনার ব্যবহার না করে লেবু ব্যবহার করতে পারেন। মাইক্রোওয়েভের সেফ বোলের অর্ধেকটা জল দিয়ে ভর্তি করে তাতে কিছু লেবুর ছাল ছেড়ে দিন। উচ্চ তাপে পাঁচ মিনিট সেদ্ধ করুন, যাতে মাইক্রোওয়েভের ভেতরের সবদিকে ফুটন্ত জলের বাষ্প ভালো করে ছড়িয়ে যায়। জলের বোল সরিয়ে নিয়ে একটা নরম তোয়ালে দিয়ে ভালো করে ভেতরটা মুছে নিন। এতে শুধু ময়লা দাগ নয়, মাইক্রোওয়েভের ভেতরে জমে থাকা গন্ধও দূর হবে।

২. আর্দ্রতা বাড়াতে, সুবাস ছড়াতে :
 শীতকালে অনেক সময় ঘরবাড়ি বেশি শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, আর্দ্রতা বেশি কমে যেতে পারে। এমন হলে এক কেটলি পানিতে কিছু লেবুর টুকরো ছেড়ে দিয়ে হালকা আঁঁচে তা চুলায় বসিয়ে দিন। পানি সেদ্ধ হতে থাকবে আর তা ঘরময় হালকা লেবুর সুবাস ছড়ানোর পাশাপাশি ঘরের আর্দ্রতাও বাড়িয়ে দেবে।

৩. তৈলাক্ত ময়লা পরিষ্কার :
 হাঁড়ি-পাতিল বা থালা-বাসনে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ময়লা রয়ে গেছে কিংবা অনেক দিন ধরে চুলার ওপরে জমা ময়লা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। বাজারের ক্লিনার ব্যবহারের আগে লেবুর খোসা দিয়ে ময়লা পরিষ্কারের চেষ্টা করে দেখুন। শরবত বানানোর পর চিপে রস নিংড়ে নেওয়া লেবুগুলো নিন, টুকরো টুকরো লেবুতে একটু করে লবণ নিয়ে রাখুন। থালা-বাসন থেকে আলগা ময়লা যতটা সম্ভব জল দিয়ে পরিষ্কার করে নিন আগে, এবার লেবু-লবণ দিয়ে মাজতে শুরু করুন। মাজা হয়ে গেলে একটা পুরোনো কাপড় দিয়ে ঘষে থালা-বাসন ধুয়ে নিন। চুলা এবং রান্নাঘরের টাইলসে জমে থাকা তৈলাক্ত ময়লাও এভাবে পরিষ্কার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত অ্যাসিডে ক্ষতি হয় এমন কিছু বেশি লেবু দিয়ে মাজা যাবে না।

৪. কাটিং বোর্ড পরিষ্কারে :
 লেবুতে থাকা জৈবিক অ্যাসিডের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের ক্ষমতা আছে। হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন মাজার মতোই আপনার রান্নাঘরের সবজি বা মাছ-মাংস কাটার বোর্ডটা পরিষ্কার করতেও লেবু ব্যবহার করতে পারেন। কাটিং বোর্ডটা ধুয়ে রাখার সময় তাতে অর্ধেকটা লেবু ভালো করে ঘষে মিনিট খানেক রেখে দিন। এবার ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে রাখুন।
৫. চা-কফির কেটলি-পট মাজুন : চা-কফির কেটলি বা পটে জমা হতে থাকা লালচে দাগ পরিষ্কারে কাজেও লাগাতে পারেন চিপে রাখা লেবু। লেবুর ছাল ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। কেটলিতে জল নিয়ে তাতে লেবুর ছালগুলো ফেলে একটু সেদ্ধ বসিয়ে দিন। পানি ফুটে গেলে ওই অবস্থাতেই ঘণ্টা খানেক রেখে দিন। এরপর ভালো করে ঘষে তা পরিষ্কার করুন। কফি পটের ক্ষেত্রে লেবুর সঙ্গে একটু লবণ এবং বরফ সঙ্গে নিয়ে খালি পটটা ভালো করে ঘষুন। দুই-তিন মিনিট মেজে জল  দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
৬. তামা-কাঁসা বা স্টিলের পাত্র পরিষ্কারে : 
পিতল, তামা, কাঁসা বা স্টেনলেস স্টিলের পাত্র, থালাবাসন পরিষ্কারে লেবু ব্যবহার করতে পারেন। একটা লেবু আড়াআড়িভাবে অর্ধেকটা কেটে নিয়ে তাতে কিছুটা লবণ বা বেকিং পাউডার নিন। এবার লেবুটা নিয়ে পাত্র বা থালাবাসনের দাগ পড়া অংশে ভালো করে ঘষুন। মাজা-ঘষা হলে মিনিট দশেক তা ফেলে রাখুন। এবার পুরো পাত্রটা দুয়েকবার ঘষে ভালো করে ধুয়ে নিন। আপনার ধাতব পাত্রটা ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৭. পোকা-মাকড় দূরে রাখতে : 
অনেক পোকা-মাকড়ই লেবুর অ্যাসিড পছন্দ করে না। লেবু পাতলা করে টুকরো টুকরো করে নিন। রান্নাঘরের শেলফে, নানা ফাঁকফোকরে, মেঝেতে যেসব জায়গায় বেশি পোকা-মাকড়ের আনাগোনা থাকে, সেই সব স্থানে লেবুর টুকরোগুলো রেখে দিন। তবে পরদিন সকালে অবশ্যই এগুলো সরিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে, নইলে লেবু পচে নোংরা হতে পারে।

৮. ময়লার পাত্র মাজার ব্যবহারে :
 রান্নাঘরে খাবারদাবারের কাঁচা ময়লা জমিয়ে রাখার পাত্রটাও ঠিকঠাক পরিষ্কার করা চাই মাঝেমধ্যেই। নইলে তাতে আঁঁশটে গন্ধ জমে থাকতেই পারে। জলেতে কিছু লেবুর ছাল ফেলে দিয়ে একটু গরম করে নিন। ময়লার পাত্র থেকে ময়লা ফেলে দিয়ে গরম লেবু-জল দিয়ে পাত্রটা ধুয়ে নিন।

গৃহস্থালীর টুকিটাকি শর্টকাট টিপস

Thursday, May 7, 2015 / No Comments


গৃহস্থালীর টুকিটাকি টিপস জানা থাকলে যে কোন সময় কেউ এরকম সমস্যায় পড়লে তাকে সাহায্য করা যাবে । এগুলো সবারই কমবেশী জানা প্রয়োজন । অনেকেই হয়তো অনেক কিছু জানেন । তারপরও নতুন কিছু জানাবার চেষ্টা করলাম ।
# ছুরি বা কাঁচি থেকে মরচে দাগ তোলার জন্য ছুরি ভিনেগারে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে এরপর আধা ঘণ্টা ফুটিয়ে নিন।
# কম্পিউটারের কি-বোর্ড বা মাউসে ময়লা জমলে তুলার প্যাডে কয়েক ফোঁটা নেইল রিমুভার দিয়ে ময়লার ওপর বুলিয়ে নিন। সব ময়লা উঠে যাবে।
# অনেক সময় বাসনের স্টিকার সহজে তোলা যায় না। তুলতে গেলেও আঠালো ভাব লেগে থাকে। তাই হাত দিয়ে না তুলে একপাশে মোমবাতি ধরুন। এরপর মোমবাতি সরিয়ে এককোণ থেকে স্টিকার তুলে ফেলুন।
# রান্না করার পর প্রেশার কুকারে অনেক সময় হলদে দাগ পড়ে। এই দাগ তুলতে কুকারে লেবুর রস ও লেবু একসঙ্গে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। দাগ থাকবে না। ভিনেগার দিয়ে ফোটালেও দাগ থাকবে না।
# বালতি বা অন্য কোনো প্লাস্টিকের জিনিসে মরচের দাগ পড়লে তারপিন তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন। দাগ নিমেষে উঠে যাবে।
# কাপড়ের কালো দাগ তোলার জন্য দাগের ওপর কেরোসিন ঘষুন। এরপর এক টুকরা লেবু ঘষে দিন। সাবান দিয়ে কাপড় কেচে রোদে মেলে দিন।
# পিতলের কালচে দাগ তুলতে ময়দা, লবণ ও ভিনেগারের পেস্ট বানিয়ে পিতলের কালো দাগের ওপর মাখিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর নরম কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। চকচকে হয়ে যাবে।
# রুপার গয়না কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে গয়না রেখে জল দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন। ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে জল থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন।
# কাঁচা শাকসবজি ও কাঁচামরিচ বাজার থেকে আনার পর এগুলোকে ছড়িয়ে রেখে বাতাসে জল শুকিয়ে গেলে শুকনা পলিপ্যাক, কাগজের ঠোঙায় , কাপড়ের ব্যাগে বা কনটেইনারে করে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। পলিপ্যাকে ছিদ্র করেও রাখা যেতে পারে, যেন বাতাস বের হয়ে যায়।
# কাঁচামরিচের বোঁটা ফেলে জল শুকিয়ে কাপড়ের ব্যাগ বা কাগজের ব্যাগ এ সংরক্ষণ করলে বেশি দিন ভালো থাকবে ।
# বাজার থেকে শাক বা ধনে পাতা আনলে পরিষ্কার করে বেছে শুকনা পলিপ্যাক বা কনটেইনারে রাখতে হবে।এ ক্ষেত্রেও কাপড়ের ব্যাগ বা কাগজে মুড়িয়ে রাখলে বেশি সময় ভালো থাকে ।
# মাছ ও মাংস রান্না করার জন্য রেফ্রিজারেটর থেকে নামালে বরফ গলিয়ে বেশিক্ষণ বাইরে রাখা যাবে না। তাতে গরমে সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
# চিকেন ফ্রাই, চিকেন রোল—এসব খাবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে নিলে নষ্ট হবে না।
# গরম চা চট করে মুখে নিয়েছেন জিহবা পুড়ে গেলো তাইনা ।
কিংবা কিছু রান্না করছেন লবন টেস্ট করার জন্য তাড়াহুড়ো করে ঝোল মুখে নিলেন । উহু জিহবা পুড়ে গেলো । সাথে সাথে আধা চা চামচ পরিমাণ চিনি জিহবা র পোড়া জায়গায় রেখে একটু একটু করে খেয়ে নিতে পারেন । তবে জিহবাতে রেখেই খাবেন । দেখবেন জিহবার জ্বালা পোড়া কমে যাবে ।

# সালাদ , ভর্তা এর জন্য কাচামরিচ কুচি করেছেন । হাতের মধ্যে ঝাল রয়ে গেছে । ভুলে সেই হাত চোখে লাগলে তো কথাই নেই ।কিংবা রান্না করার সময়ে মরিচের গুড়া ব্যবহার করার কারণে অনেক সময় মরিচের ছিটে এসে চোখে পড়লে চোখ জ্বালা করে ।এক চিমটি লবন খেয়ে নিন ।সাথে সাথে চোখের জ্বালা চলে যাবে । আরেকটা কথা চোখ একবার ধুয়ে নিবেন ।
# পান খাওয়ার খুব অভ্যাস নয়তো মাঝে মাঝে পান খেতে পছন্দ করেন । পান ভালো করে না ধুলে পানের মাঝে লেগে থাকা মাকড়ের নির্যাস জিহবা তে লেগে যায় ।
অনেক সময় পান না খেলেও ঘরে থাকা মাকড়ের জাল থেকেও এই সমস্যা হয়ে থাকে ।
মাকড়ের নির্যাস জিহবা তে লাগলে জিহবার মধ্যে কাটা কাটা ব্যাথা অনুভূত হয় । কোন কিছু খেতে গেলে খোচা খোচা লাগে । একটা পরিস্কার পান পাতা তে শরিসার তেল মাখিয়ে সেই পান পাতা জিহবার সেই জায়গায় ভালো করে ঘষুন । মাকড় দূর হয়ে যাবে ।মাকড় ছিলো কিনা বা গেছে কিনা সেটা বুঝার জন্য সেই পানপাতা টা চুলায় আগুন ধরিয়ে আগুনে পুড়িয়ে নিন । পট পট পট করে শব্দ করে মাকড় পুড়ে যাবে । শব্দ না হলে বুঝবেন মাকড় ছিলো না ।

# বেগুন ও কাঁচকলা কেটে রাখলে কালো হয়ে যায়। জলতে সামান্য দই দিয়ে কাটা কাঁচকলা ও বেগুন ডুবিয়ে রাখুন কালো হবে না।
# পেঁয়াজ-রসুন কাটার পর হাতে গন্ধ থাকে। সামান্য লেবুর রস বা শর্ষের তেল মাখুন। তারপর হাত ধুয়ে নিন।
# মাছে লবণ, হলুদ ও সামান্য ভিনিগার দিয়ে ফ্রিজে রাখলে বাসি গন্ধ হবে না; ফ্রিজেও আঁশটে লাগবে না।
# অনেক সময় চিংড়ি মাছে গন্ধ লাগে। রান্না করার আধঘণ্টা আগে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মাখিয়ে রাখুন, এরপর পরিষ্কার করে ধুয়ে রান্না করুন। মাছ বা অন্যান্য সি-ফুড রান্নার সময় এভাবে লেবু-লবণ মাখিয়ে ধুয়ে নিন। আঁশটে গন্ধ হবে না।
# আচার শেষ বোতল পরিষ্কার করার পরও গন্ধ থাকে। ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে বোতলে ফেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখুন। কিছুক্ষণ পর সাবান-জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, গন্ধ থাকবে না।
# কাঁচা মুগডাল ভেজে জল দিয়ে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখবেন, তাহলে ডালের রং আর কালো হবে না। ধুয়ে রান্না করলে ডালটাকে দেখতে উজ্জ্বল দেখাবে এবং তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে চালের সঙ্গে মিশে যাবে।
# যেকোনো লেবুর খোসা ফেলে দেবেন না। ছোট টুকরো করে ডিটারজেন্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ডিটারজেন্টের খরচও কমবে, কাপড়ও ঝকঝকে হবে।
# বালতি কিংবা অন্য কোনো প্লাস্টিকের জিনিসে মরিচার দাগ পড়লে তারপিনের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন। দাগ নিমেষে উঠে যাবে।
# অনেক দিন আলু স্টোর করতে চাইলে প্যাকেটে একটা আপেল রাখুন, আলুতে চারা গজাবে না।
# পেঁয়াজ কাটার সময় চুইংগাম চিবুতে থাকুন, চোখ জ্বালা করবে না।
# মাছ ভাজতে কড়াইতে তেল গরম হলে মাছের ওপর সামান্য লবণ ছিটিয়ে দিন, তেলের ছিটা আসবে না।
# মাছ রান্না করে হাতের কাছে কাঁচা ধনিয়া পাতা থাকলে কুচি কটুকিটাকিরে কেটে বিছিয়ে দিন, স্বাদ বহুগুণ বেড়ে যাবে।
# ডাল যত বেশি সময় জ্বালানো হবে স্বাদ ততই বাড়বে। তাই ডাল রান্নার সময় বেশি জল দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে জ্বাল দিন।
# মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে দিন।
# মাংস রান্না করে শেষে নামানোর আগে বেরেস্তা (পেঁয়াজ কুচি ভাজা) দিয়ে দিন। স্বাদ বেড়ে যাবে।
# ডিম সিদ্ধ করতে জলতে সামান্য লবণ দিন। ডিম ফাটবে না আর খেতেও সুস্বাদু হবে। ডিম ঠাণ্ডা করে খোসা ছাড়ান, এতে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।
# রান্নায় খাদ্যমান ঠিক রাখতে যতটুকু সম্ভব তরকারি বড় বড় টুকরা করে কাটুন।
# রান্নায় গরম জল ব্যবহার করুন, তাড়াতাড়ি রান্না হবে।
# ফ্রিজের মধ্যে আঁশটে গন্ধ এড়াতে ফ্রিজে এক টুকরো কাঠ কয়লা রেখে দিন। আঁশটে গন্ধ থাকবে না।
# চিনিতে পিঁপড়া ধরলে চিনির পাত্রে কয়েকটি লবঙ্গ রাখুন, পিঁপড়া ছেড়ে যাবে।
# তরকারিতে লবণ বেশি হলে সামান্য টক অথবা সামান্য চিনি দিন, কিছুটা হলেও লবণাক্ত ভাব কমবে। ছোট একটি আলু কেটে দিলেও চলবে।
# ভাতের মাড় ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রেখে দিন। বাসন ধোয়ার সময় এই মাড় জলর সঙ্গে ব্যবহার করুন। কাচের ও স্টেনলেস স্টিলের বাসন ঝকঝকে হবে।
# হাতে রান্না করার সময় হলুদের দাগে ভরে গেছে। এক টুকরো লেবু ভালো করে হাতের তালুতে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকবে না।
# কচু কাটার পর হাত কালচে হয়ে যায়। হাত চুলকাতে থাকে। জল দিয়ে না ধুয়ে লবণ মেখে চুলার তাপে হাতটা কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। চুলকানো বন্ধ হয়ে যাবে।
# লেবু কেটে ফেললেই শুকিয়ে যায়। কাটা লেবু ফ্রিজে রাখতে না চাইলে এর ওপর সামান্য নারিকেল মাখিয়ে খোলা জায়গায় রাখুন।
# হিং অনেক দিন তাজা থাকবে যদি এর সঙ্গে কয়েকটা কাঁচামরিচ রাখেন। দুধে ভিজিয়ে রাখলেও তাজা থাকবে।
# কোল্ড ড্রিংকের ঝাঁজ বের হয়ে গেছে, ফেলে দেবেন না। ঘরের মেঝে, তেলতেলে কিচেন কাউন্টার ইত্যাদি পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করুন।
# আঠার টিউব যখন ব্যবহার করবেন না, তখন ফ্রিজে রাখুন। অনেক দিন চলবে, শুকাবে না।
# সাবান ছোট টুকরা হয়ে গেলে ফেলে দেবেন না। পুরনো মোজায় ভরে ড্রয়ারে বা আলমারিতে রাখুন। ভ্যাপসা গন্ধ হবে না। ফ্রেশনারও লাগবে না।
# মোমবাতি ফ্রিজে রাখবেন। অনেক দিন চলবে। তাড়াতাড়ি জ্বলে যাবে না।
# জুতার কালি যদি বেশি দিন পর পর ব্যবহার করেন তা হলে তা শুকিয়ে যায়। এতে দুই ফোঁটা অলিভ অয়েল দিয়ে রাখবেন; অনেক দিন ভালো থাকবে।
# দামি সেরাম শ্যাম্পু হাতের কাছে নেই। বাড়িতে বানিয়ে নিন সেরাম শ্যাম্পু। দুটো ডিমের সাদা অংশ বের করে নিয়ে এতে দুই টেবিল চামচ রেড়ির তেল মেশান। পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকিমুক্ত ঝলমলে চুল।
# বালতি বা প্লাস্টিকের কোনো জিনিসে মরচে দাগ পড়লে তারপিন তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন, দাগ চলে যাবে।
# চামড়ার জুতাতে ক্যাস্টার অয়েল আর সোল এ বার্নিশ (ম্যাট) লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। বৃষ্টিতে ভিজলেও নষ্ট হবে না।
# রুপোর গয়না কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে রেখে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে জল থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন, পরিষ্কার হয়ে যাবে।
# মোচা বা কচু কাটতে গিয়ে হাতে দাগ হয়ে যায়। কাটা শেষে আলুর ফালি আঙুলে ঘষে নিন, দাগ থাকবে না।
# বেগুন পোড়ার পর এর খোসা তুলতে অনেক সময় কষ্ট হয়। তাই বেগুন পোড়ার পর তা জলতে দুই মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর তুলে পানি ঝরিয়ে খোসা ছড়ান। সহজেই উঠে যাবে।
# ফুলকপি অনেক সময় পরিষ্কার হতে চায় না। তাই কাটার পর ভিনেগার মেশানো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। এরপর তুলে দেখবেন সব পোকা আর ময়লা বেরিয়ে গেছে।
# দই কি খুব টক হয়ে গেছে। পাতলা কাপড়ে ঢেলে ঝুলিয়ে রাখুন। তবে দইয়ের জলটা ফেলে দেবেন না। ময়দা মাখার সময় জলর পরিবর্তে ব্যবহার করুন। আর টকদই পরিবেশন বা রান্নার সময় একটু দুধ মিশিয়ে দেবেন।
# কাপড় থেকে কফির দাগ তুলতে হলে কাপড় ৩০ মিনিট জলতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কাপড় শুকিয়ে ড্রাইওয়াশ করে নিন।
# সোফার কাভার বা টেবিলক্লথে কফির দাগ হলে লিকুইড হ্যান্ডওয়াশের সঙ্গে দুই কাপ ঠাণ্ডা জল মেশান। ওই জলতে এক টুকরো পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে তা দি
য়ে দাগের ওপর ঘষে নিন। দাগ থাকবে না। এ ছাড়া কফির দাগ তোলার জন্য লিকুইড ডিটারজেন্ট ও ভিনেগার একত্রে মিশিয়ে দাগের ওপর ব্যবহার করুন। পরে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

# কার্পেটে চা বা কফি পড়ে গেলে এক টেবিল চামচ হ্যান্ডওয়াশ ও এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার দুই কাপ কুসুম গরম জলতে মেশান। ওই মিশ্রণ দিয়ে জায়গাটা ধীরে ধীরে মুছুন।
# জামাকাপড়ে সস পড়ে গেলে অতিরিক্ত সস ঝেড়ে ফেলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কার্পেটের ওপর সস পড়লে দুই কাপ কুসুম গরম জলতে এক টেবিল চামচ লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ মেশান। তারপর পরিষ্কার কাপড় ওই মিশ্রণে ডুবিয়ে সসের জায়গা মুছুন। এতেও দাগ না উঠলে এক টেবিল চামচ অ্যামোনিয়ার সঙ্গে দুই কাপ কুসুম গরম জল মিশিয়ে ওই মিশ্রণ দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে ফেলুন। তারপর আবার ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
# নেলপলিশের দাগের ওপর নেলপলিশ রিমুভার লাগিয়ে জায়গাটা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এক চা চামচ পি-এইচ ব্যালান্সড ডিটারজেন্ট পাউডার এক কাপ গরম জলতে মিশিয়ে কাপড় ডুবিয়ে নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
# রুপার গয়না কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে গয়না রেখে জল দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন। ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে জল থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন।
# ফ্রিজের গায়ে দাগ ধরে গেলে স্পঞ্জে টুথপেস্ট লাগিয়ে ঘষুন। দাগ উঠে যাবে। -
# জানালা, দরজার কাচ ঝকঝকে করে তুলতে মিহি চকগুঁড়ার সঙ্গে জল আর স্পিরিট অথবা কেরোসিন মিশিয়ে কিছুক্ষণ কাচের ওপর মাখিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে খবরের কাগজ দিয়ে মুছে নিন।
# ডিটারজেন্টের সঙ্গে একটা লেবুর রস ও এক চামচ ফিনাইল মিশিয়ে বাথরুমের টাইলস ঘষে দেখুন, কেমন ঝকঝক করে।
# গরম পোশাক বা সিল্কের পোশাক ধোয়ার পর যদি ইউক্যালিপটাস তেল মেশানো জলে ডুবিয়ে নেন তাহলে পোকায় কাটার ভয় থাকবে না। পোশাকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে। এক বালতি জলে তেলের পরিমাণ হবে দু’টেবিল চামচ।
# বাচ্চাদের জামাকাপড় বা কাঁথায় যদি তার বমির দুর্গন্ধ থেকে যায়, তবে কাচার পর জলে আধ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তাতে জামাকাপড় ডুবিয়ে নেবেন। দুর্গন্ধ দূর হবে।
# ফ্লাক্সের ভেতরের অংশ ভালভাবে ধুতে হলে ফ্ল্যাক্সে গরম জল ভর্তি করুন। তাতে কয়েক টুকরো কাগজ ফেলে দিন। ঘণ্টাখানেক পর ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিয়ে জল ফেলে দিন। ভেতরের যাবতীয় নোংরা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
# পাটালী গুড় শক্ত রাখতে চাইলে গুড়টি মুড়ির ভেতর রাখুন।
# আদা টাটকা রাখার জন্য বালির ভেতর রেখে দিন।
# কমলার খোসা শুকিয়ে গুড়া করে রাখুন। পুডিং বা কেক বানানোর সময় সামান্য পরিমান দিলে চমৎকার সুগন্ধ বের হবে।