সাম্প্রতিক শিরোনাম

Menu

Browsing "Older Posts"

আপনি "beutician" বিভাগ ব্রাউজ করছেন

ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করতে ৭টি জরুরি বিষয়!

Sunday, July 5, 2015 / No Comments
how-to-remove-uneven-skin-tone

অতিরিক্ত মানসিক চাপ, বিরূপ আবহাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন, ত্বকের সঠিক যত্ন না নেয়ার ফলে অনেকের বয়স ৩০ পার না হতেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়ার এই সমস্যায় ভোগেন নারী পুরুষ অনেকেই। কিন্তু নিজের সতর্কতায় ত্বক থেকে এই বয়সের ছাপ, রিংকেল এবং ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে পারেন। আপনাকে তেমন কিছুই করতে হবে না শুধু মেনে চলুন জরুরি কিছু বিষয়।

১) প্রথম ও প্রধান যে বিষয়টি মনে রাখবেন তা হলো সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা পুরো বছরই ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন। কারণ ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি।

২) ত্বক যতোটা ময়েশ্চারাইজার ও হাইড্রেট রাখতে পারবেন ততোই ত্বকে বয়সের ছাপ কম পড়বে। আর এ কারণে ব্যবহার করুন ভালো ময়েশ্চারাইজার। যদি ত্বকে ভালো কোনো ক্রিম স্যুট না করে তাহলে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যেমন, অলিভ অয়েল, বাটার ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।

৩) দেহকে হাইড্রেট রাখুন সব সময়। ত্বক ফেটে যাওয়ার সমস্যা থেকেই ত্বক কুঁচকে যাওয়া ও রিংকেলের সমস্যা তৈরি হতে থাকে। প্রচুর পরিমাণে পানি এবং পানি জাতীয় খাবার খান প্রতিদিন। এতে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ হবে।

৪) ত্বকে রিংকেলে এবং অন্যান্য বয়সের ছাপ পড়ার আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও রাগ। এই দুটি বিষয় যতোটা দূরে রাখতে পারবেন আপনার ত্বক ততোটাই ইয়াং থাকবে। হাসিখুশি থাকার বিষয়টিও ত্বকের তারুণ্য নিশ্চিত করবে।

৫) ওমেগা ৩ ফ্যাটি আসিড সমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন ই এবং ডি এইসবই ত্বকের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই খাদ্যতালিকা নির্বাচন করুন বুঝে শুনে। এমন খাবার খাবেন না যা ত্বকের জন্য ক্ষতি ডেকে আনবে।

৬) পরিমিত বিশ্রাম ত্বকের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। আপনার যদি বিশ্রাম ঠিকমতো না হয় তাহলে তার প্রভাব আপনার ত্বক এবং দেহ দুটোর উপরেই পড়ে। এতে করে অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যাবেন আপনি। তাই রাত জাগা বা অল্প বিশ্রাম নয়।

৭) মেকআপ নারীরা খুব শখ করেই করে থাকেন। তবে এই শখটিকে প্রতিদিনের কাজ হিসেবে নিয়ে ফেলবেন না। যতো কম মেকআপ ব্যবহার করবেন ত্বকে বয়সের ছাপ ততো ধীরগতিতে পড়বে।

কি ভাবে সারিয়ে তুলবেন ব্রণের ক্ষত?

Monday, June 29, 2015 / No Comments
ever-wondered-how-to-cure-acne-lesions

ব্রণ ত্বকের একটি পরিচিত সমস্যা। পরিছি ছেলে মেয়ে উভয়ের একটি বয়স সীমা পয়ার হবার পরে মুখে ছোট ছোট ব্রণ উঠে। আর এই সমস্যাটির সাথে যুদ্ধ করেন নি এমন মানুষ কমই আছে। ব্রন যেকোন বয়সের মানুষের ত্বকেই দেখা দিয়ে থাকে বিশেষ করে টিনএজারদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
এরপর হয়তো একটি সময় ব্রন সমস্যা রোধ হয় কিন্তু পুরোপুরি রোধ হয় না। তৈলাক্ত ত্বকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্রন হতে দেখা যায়।ব্রন স্বাভাবিক ভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে থাকে কিন্তু সবচেয়ে বেশি খারাপ তখনই লাগে যখন ব্রণের ক্ষত দাগ আমদের ত্বকে রিয়ে যায় যাকে মূলত একনে স্কার বলা হয়।
ব্রন হাত দিয়ে খুঁটলে এমন দাগ দেখা দেয় ত্বকে। আর এই ক্ষত দাগগুলোকে ত্বক হতে খুব সহজে রোধ করা যায় না। কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে এই দাগগুলো সারিয়ে তোলা যায় কিন্তু এটি অনেক সময়ের ব্যাপার। তাই চলুন জেনে নিই ব্রণের ক্ষত দাগ সারাতে কী করবেন।
আলুর রস
নানা ধরণের পুষ্টি ও মিনারেলে ভরপুর সবজি হল আলু। আর এই আলু আমাদের দেহ ও ত্বক উভয়ের জন্যই ভালো। ত্বক থেকে ব্রণের ক্ষত দাগ সারাতে আলুর জুস ব্যবহার করুন। একটি আলু নিয়ে কেটে স্লাইস করে নিন তারপর সরাসরি ত্বকের ক্ষত দাগের ওপর দিয়ে রাখুন।
এছাড়াও আলু কেটে ব্লেন্ড করে তা থেকে রস নিয়ে ত্বকে ম্যাসেজ করতে পারেন এবং আরও ভালো ফল পেতে আলুর রস ত্বকে দিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার এইভাবে ত্বকে আলুর রস ব্যবহার করুন।
চিনি দিয়ে স্ক্রাব
যাঁদের ত্বকে ব্রনের অনেক ক্ষত দাগ রয়েছে তারা চিনি ব্যবহার করতে পারেন দাগ রোধ করতে। কারণ চিনিতে আছে গ্লাইকলিক এসিড( glycolic acid) ও AHA উপাদান যা ত্বকের মৃত কোষ রোধ করে এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। পরিমাণ মতো চিনি নিয়ে তাতে সামান্য অলিভ ওয়েল ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন।
তারপর ত্বকে ম্যাসেজ করুন। ১০/১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে ২/৩ বার ত্বকে চিনির এই পেস্ট ব্যবহার করুন। কিন্তু ত্বক পরিষ্কার করে ফেলার পর ময়শ্চার লাগাতে ভুলবেন না।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল
ত্বকে ব্রণের ক্ষত রোধ করতে সবচেয়ে সহজ উপায় হল ভিটামিন ই। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্রণের ক্ষত দাগা সারাতে খুব ভালো কাজ করে। প্রতিদিন ময়শ্চারাইযার হিসেবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকে ব্যবহার করুন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের ক্ষত দাগ তো রোধ করেই সাথে ব্রণও রোধ করে।

ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার দারুণ কার্যকরী ২ প্রাকৃতিক উপায়

/ No Comments
the-natural-way-to-brilliant-color-of-the-skin-is-very-effective

প্রাচীনকালের মানুষেরা প্রাকৃতিক উপাদানের উপরেই ভরসা করতেন। তাই ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং একই সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক উপাদান। আজকে জেনে নিন ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার খুবই সহজ এবং দারুণ কার্যকরী ২ টি প্রাকৃতিক উপায়।
১) দইয়ের ব্যবহার
দইয়ে রয়েছে ল্যাকটিক এসিড, যা খুব ভালো ব্লিচিং উপাদান। দই ব্যবহারের ফলে ত্বক ব্লিচ হয় যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে কোনো ধরণের কেমিক্যাল ছাড়াই। ত্বকের জন্য টকদইয়ের ব্যবহার অনেক বেশি কার্যকরী।
– প্রথমে ২-৩ টেবিল চামচ টকদই নিয়ে খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন।
– এরপর টকদই মুখের ত্বক, ঘাড়, গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। চাইলে হাত পায়েও লাগিয়ে নিতে পারেন।
– এবারে শুধুমাত্র ৫ মিনিট রাখুন এই দই ত্বকের উপর। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ভালো করে ধুয়ে নিন।
– সপ্তাহে ৩ দিন অর্থাৎ ১ দিন পরপর এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন। ভালো ফলাফল পাবেন।
– ত্বকের উজ্জ্বলতার পাশাপাশি বয়সের ছাপও প্রতিরোধ করবে দইয়ের ব্যবহার।
২) কমলা লেবুর ব্যবহার
কমলা লেবুও খুব ভালো ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও কমলা লেবুর ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা ভেতর থেকেই বাড়াতে সহায়তা করে।
– কমলার কোয়া খুলে শুধুমাত্র কমলার পালপ নিন। ২ টেবিল চামচ কমলার পালপের সাথে ১ চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। কাঁচা হলুদ বাটা হলে সবচাইতে ভালো হয়।
– এরপর এই মিশ্রণটি মুখের ত্বকে লাগিয়ে ঘুমুতে চলে যান। কষ্ট হলেও এই পদ্ধতিটি অনেক বেশি কার্যকরী।
– পরের দিন সকালে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে মাত্র ১ দিন ব্যবহার করুন এই পদ্ধতিটি।

ব্রণ ও তার সমাধান

Tuesday, June 23, 2015 / No Comments

কমবেশি অনেকেই এর শিকার হন। সাধারণত ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে ব্রণ একটি সাধারণ অসুখ। তবে যে কোনো বয়সেই ব্রণ হতে পারে। ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে ২০ শতাংশ এবং ৪০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে ৫ শতাংশ ব্রণ সমস্যায় ভোগেন। ব্রণে আক্রান্ত হলে যুবক-যুবতীদের মানসিক অশান্তির শেষ থাকে না। চমৎকার একজন মহিলা। প্রশংসা করার মতো তার দেহসৌষ্ঠব অথচ মুখের বিশ্রী ব্রণ তার জীবনটাকে দুঃসহ করে তুলতে পারে।
ব্রণ দেখতে বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন ছোট ছোট গোল ফুসকুড়ি, লালচে ছোট ছোট গোটা, আবার পুঁজপূর্ণ বড় বড় চাকাও হতে পারে। ব্রণটি পরে ভাতের দানার মতো বের হয়ে আসে। অনেকের ব্রণ খুব যন্ত্রনাদায়ক হয়। ব্রণের ফলে ত্বকে ছদ্র দেখা দিতে পারে।
কারো কারো মুখে ব্রণের তীব্রতা বেশি থাকলে তা এবড়ো থেবড়ো দেখায়। ব্রণ বেশি টেপা টিপি করলে সেখানে কালো দাগ সৃষ্টি হয়। ব্রণের চিকিৎসায় কতজনের কত না আয়োজন। অনেকে অনেক কসমেটিকের বিজ্ঞাপনে অকৃষ্ট হয়ে তা ব্যবহারও করে থাকে এবং দেখা যায় এসব কসমেটিকস প্রকৃতপক্ষে বাড়িয়ে তুলছে ব্রণের তীব্রতা।
ব্রণ কোথায় হয়: ব্রণ সাধারণত মুখেই বেশি হয়। বিশেষ করে গাল, নাক, কপাল ও থুতনিতে। তবে ঘাড়, কাঁধ, বুক, পিঠ, স্তন, নাভি ও উরুতেও ব্রণ হয়ে থাকে।
ব্রণ কেন হয়: আমাদের ত্বকে অনেকগুলো ‘সিবাসিয়াস গ্রন্থি’ থাকে, যা থেকে সব সময় ‘সিবাম’ নামক এক ধরনের তৈলাক্ত রস নিঃসৃত হয়। লোমকূপ দিয়ে এই সিবাম বের হয়ে ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে বিধায় ত্বকে নরম, মসৃণ ও তৈলাক্ত ভাব আসে। যদি কোনো কারনে ‘সিবাম’-এর নিঃসরণবৃদ্ধি পায় এবং লোমের গোড়ায় বিদ্যমান ‘কেরাটিন’ (এক ধরনের প্রোটিন জাতীয় পদার্থ) ধুলোবালির সাঙ্গে মিশে সেখানকার ছিদ্রপথ বা নির্গমণের পথ বন্ধ করে দেয়-ফলে সিবাম বের হতে না পেরে জমা হয়ে ব্রণ হিসেবে প্রকাশ পায়। এই ব্রণ ‘প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম একনিস’ নামক এক ধরনের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়ে পরে তা আরো তীব্রতা লাভ করে। উল্লেখ্য, সিবাসিয়াস গ্রন্থি শরীরের মধ্যে মুখের ত্বকে বেশি থাকে।
তাই ব্রণও মুখের ত্বকে সবচেয়ে বেশি হয়। ‘এনড্রোজেন’ নামক এক প্রকার হরমোনের প্রভাবে ‘সিবামের’ উৎপাদন ও নিঃসরণ বেড়ে যেতে পারে। যাদের ‘এনড্রোজেন’ হরমোন বেশি নিঃসৃত হয় তাদের ‘সিবামের’ নিঃসরণের মাত্রাও বেড়ে যায়। ফলে এখান থেকে ব্রণ সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে ব্রণের তীব্রতাও উঠানামা করতে পারে। মানসিক অশান্তি, অতিরিক্ত চিন্তা এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রতিবার মাসিকের আগে ব্রণের তীব্রতা বেড়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য, কৃমি, শরীরে পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আতিরিক্ত গরম এবং বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হলেও ব্রণ হতে পারে। যারা অতিরিক্ত প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করেন তাদেরও ব্রণ হতে পারে। দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ওষুধ ব্যবহার ব্রণ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলেও ব্রণ হতে পারে।
ব্রণের চিকিৎসা : সব ধরনের প্রসাধন বর্জন করতে হবে। নখ দিয়ে ব্রণ খোঁটাখুঁটি করা যাবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্রণ আপনা আপনি সেরে যায়। দিনে অন্তত তিনবার ‘নিউট্রাজিনা’ সাবান দিয়ে মুখ ধুতে হবে। অনেকে ব্রণ হলে মুখে সাবান ব্যবহার বন্ধ করে দেন অথচ এ সময় সাবান দিয়ে মুখ ধুলে উপকার হয়, কেননা সাবান মুখের তৈলাক্ততা দূর করে এবং লোমকূপ পরিষ্কার রাখে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবহার করবেন।

মাত্র ১০ মিনিটের প্রচেষ্টায় চিরকালের স্নিগ্ধ ত্বক

/ No Comments

ত্বকের যত্নে আমরা অনেক কিছুই করে থাকি। কারণ সুস্থ সুন্দর ত্বক আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে অনেকাংশেই। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কোন সময়টাতে ত্বকের যত্ন নিলে আমরা সব চাইতে ভালো ফলাফল পেতে পারি। স্কিন এক্সপার্টদের মতে রাতের বেলার যত্ন আমাদের ত্বকের ওপর সব চাইতে ভালো প্রভাব ফেলে। কারণ রাতে আমরা যত্ন নিলে তা সারারাত আমাদের ত্বকের ওপর কাজ করতে থাকে। এতে করে সব সময়েই আমাদের ত্বক থাকে ভালো।

কিন্তু অনেকেই রাতের বেলা আলসেমি করে ত্বকের যত্ন নিতে চান না। এই ভুলটি করবেন না। মাত্র ১০ টি মিনিট সময় বের করে নিয়ে একটু যত্ন করুন। দেখবেন ত্বকের নানা সমস্যা থেকে চিরকালের জন্য মুক্তি পেয়ে গিয়েছেন।

১) স্ক্রাব করুন মাত্র ১ মিনিটে:

কেমিক্যালের স্ক্রাব প্রতিদিন ব্যবহার করা উচিৎ নয়। তাই ঘরে সামান্য চালের গুঁড়ো এবং দুধ মিশিয়ে তৈরি করে নিন প্রাকৃতিক স্ক্রাবার। এটি দিয়ে মাত্র ১ মিনিট ত্বক স্ক্রাব করে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। অনেক উপকার পাবেন।

২) ৫-৭ মিনিটের ফেসিয়াল মাস্ক:

চা চামচ মধু, অর্ধেক পাকা কলা পিষে এবং একটু দুধ মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগান ম্যাসেজ করে। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসেজ করে নিন। এতে ত্বকের নিচে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। ফলে ত্বকের নানা সমস্যা দূর হবে। মাত্র ৫-৭ মিনিট মুখে রেখে দিন। এরপর তা আলতো ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ভালো করে।

৩) মুছে নিন ত্বক:

মাস্কটি ভালো করে ধুয়ে নেবেন ত্বক থেকে। যেন একটুও রয়ে না যায় ত্বকে। এরপর একটি পাতলা সুতি তোয়ালে দিয়ে মুখ চেপে চেপে মুছে ফেলুন। ঘষে মুছবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হয়। এভাবে সারারাত থাকুন। কারণ মধু ব্যবহার পর কোনো ধরণের প্রসাধনী ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না।

ব্যস, মাত্র ১০ মিনিটে হয়ে গেলো রাতের বেলার ত্বকের যত্ন। নিয়মিত এই রুটিন মেনে চললে ত্বকের নানা সমস্যা থেকে চিরকালের জন্য মুক্তি পাবেন।

ডিম দিয়ে ত্বকের যত্ন

Sunday, June 21, 2015 / No Comments
skin-care-with-eggs

আমাদের বয়স যতো বাড়তে থাকে ত্বকের টানটান ভাব ততো কমতে থাকে। যার ফলে চামড়া কুঁচকে যাওয়া, ভাজ পরা বা ঝুলে যাওয়া ইত্যাদি নানা সমস্যা তৈরি হয়।

অবসর সময়ে ডিমের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে পারলেই চকচকে, মসৃন ত্বক পেয়ে যাবেন আপনি। ডিমের তৈরি কয়েকটি মাস্ক আপনার ত্বক নতুনের মতো করে দিতে পারে।

* এক চামচ দই, এক চামচ মধুর সঙ্গে একটি ডিম ফেটিয়ে মুখে মেখে নিন। শুকোতে দিন কয়েক মিনিট। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা আবার ফিরে আসবে।

* রুক্ষ ত্বক মসৃণ করতে ডিমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এক চামচ মধুতে একটি ডিম ফেটিয়ে মুখে মেখে নিন। মাস্ক শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের মসৃণভাবে ফিরে আসবে।

* এ ছাড়া ছুটির দিনে বাড়িতে বসে ত্বকের স্বার্থে একটি উপকারী মাস্ক তৈরি করতে পারেন। ছোটো একটি বাটিতে একটি ডিম, এক চামচ ওটমিল, এক চামচ মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন। প্রথমে ডিম ভালো করে ফেটিয়ে ফেনা ফেনা তৈরি করুন। তারপর সেই ফেনাওয়ালা মিশ্রনে ওটমিল আর মধু মিশিয়ে দিন। স্ক্রাবটি তৈরি হলে মুখে ভালো করে মাখিয়ে ১৫ মিনিট শুকোতে দিন। হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন।

ব্রণ থেকে রেহাই পাওয়ার উপায়

Monday, June 15, 2015 / No Comments
exemption-from-acne-way

ব্রণের সমস্যা  ত্বক সমস্যাগুলোর মধ্যে সবচাইতে যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ কোনো দিনের আগে ত্বকে ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার যন্ত্রণায় পড়ে যান অনেকেই। কিন্তু বুঝতেই পারেন না ঠিক কি কারণে ব্রণের সমস্যা পিছু ছাড়ছে না। 

তাহলে জেনে রাখুন এমন কিছু অদ্ভুত কারণ যার ফলে আপনার ত্বকে ব্রণের উপদ্রব বেড়েই চলেছে। প্রয়োজনে এ কারণগুলো দূর করার চেষ্টা করুন এবং ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পান।

আবহাওয়ার বাজে প্রভাব
অনেক সময় অতিরিক্ত গরমের কারণে দেহে র‍্যাশ উঠে, তেমনই আবহাওয়ার হুটহাট পরিবর্তনের ফলে ত্বকে ব্রণ সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় এ সমস্যা নজরে পড়ে।

বাজে খাদ্যাভ্যাস
আপনি কি ফাস্টফুড খেতে বেশি পছন্দ করেন? বা আর্টিফিশিয়াল খাবার? তাহলে জেনে রাখুন এগুলো আপনার ব্রণ সমস্যার জন্য দায়ী। এছাড়াও দুগ্ধজাত খাবার, ক্যাফেইন, চিনি বা বাদাম ত্বকে ব্রণের জন্য দায়ী।

ওষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
যদি আপনি আপনার ত্বকের ব্রণ সমস্যা সম্পর্কে একেবারেই কোনো কারণ খুঁজে না পান তাহলে আপনার ওষধগুলোর দিকে একবার নজর দিন। কারণ ওষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ব্রণ সমস্যা হয়ে থাকে।

মেকআপের ব্যবহার
অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহারে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয় মেকআপের কসমেটিকসের কারণে এবং সঠিকভাবে মেকআপ না তোলার কারণেও ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকে।

ঘুমের সমস্যা
আপনার যদি ঘুমের সমস্যা থেকে থাকে বা অনিদ্রায় ভোগেন তাহলে দেহে কর্টিসোলের মাত্রা বেড়ে যায় যা ত্বকে ব্রণ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।

টুথপেস্টের কারণে
অবাক হলেও এটি সত্যি যে আপনার টুথপেস্ট আপনার ব্রণের জন্য দায়ী হতে পারে। টুথপেস্টের কেমিক্যাল যদি আপনার স্যুট না করে তাহলে মুখের চারপাশে ব্রণের মাত্রা বেড়ে যায়।

চুলের প্রোডাক্টের কারণে
যদি দেখেন চুলের কাছাকাছি ত্বকে অনেক বেশি ব্রণের উপদ্রব হচ্ছে তাহলে নজর দিন আপনার চুলের জন্য ব্যবহার করা হেয়ার প্রোডাক্টগুলোর দিকে। কারণ এতে থাকা কেমিক্যালের জন্যই ব্রণ পিছু ছাড়ছে না।

মানসিক চাপ
লক্ষ্য করলে দেখবেন গুরুত্বপূর্ণ কোনো মিটিং বা উৎসবের আগে আপনার ত্বকে ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যায়। এর মূল কারণ হচ্ছে আপনার মানসিক চাপ বা চাপা উত্তেজনা। এ মানসিক দিকটি দেহের হরমোনের নিঃসরণ করে যার ফলে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়।

মুখ সঠিকভাবে না ধোয়া
ত্বকে ব্রণের উপদ্রব তখনই বাড়ে যখন ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। আর এর মূল কারণ হচ্ছে সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন না নেয়া ও ভুলভাবে মুখ ধোয়ার অভ্যাস।

ছোট্ট ১ টি কাজে দূর করুন ঠোঁটের কালচে ভাব

/ No Comments
1-to-remove-a-small-lip-on-the-nigrescent
সুন্দর গোলাপি ঠোঁট মুখের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে। প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যকর গোলাপি ঠোঁটের জন্য বাড়তি কোন কিছুর দরকার পরে না। তাই সুন্দর, স্বাস্থ্যকর একজোড়া গোলাপি ঠোঁট কমবেশি সবারই কাম্য।
কিন্তু খাদ্যাভ্যাসে সমস্যা, ধূমপান করা এবং অতিরিক্ত কেমিক্যাল সমৃদ্ধ লিপ প্রোডাক্ট ব্যবহারে কারণে ঠোঁট কালচে হয়ে আসে। যা খুবই অস্বস্তিকর। কিন্তু এই সমস্যারও সমাধান রয়েছে। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে ঠোঁটে পুনরায় গোলাপি আভা আনতে আছে কিছু প্রাকৃতিক ও সহজ পদ্ধতি। ঘরের কিছু টুকিটাকি ব্যবহার করে ফিরে পেতে পারেন স্বাস্থ্যকর গোলাপি ঠোঁট।
যা যা লাগবেঃ
– ১ চা চামচ মধু
– ৩ চা চামচ ব্রাউন চিনি (সাধারণ সাদা চিনি হলেও চলবে)
– অর্ধেকটা লেবুর রস
– কাঠবাদামের তেল (আমন্ড অয়েল)


পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধিঃ
– প্রথমে মধুতে চিনি খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন যেনো চিনি কিছুটা গলে যায়। এতে করে মিশ্রণটি মসৃণ হবে।
– এরপর একটি লেবুর অর্ধেকটা চিপে তাজা রস বের করে নিন এবং মিশ্রনে দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। প্রায় পেস্টের মতো হয়ে যাবে, তবে চিনি কিছুটা আস্ত থাকবে।
– প্রথমে ঠোঁট খুব ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন। এরপর মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে নিন।
– এরপর প্রায় ১ মিনিট এই স্ক্রাবটি ঠোঁটে আলতো করে ঘষে নিন। খুব বেশি জোরে ঘষবেন না।
– তারপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ভালো করে মুছে নিন। সব শেষে সামান্য আমন্ড অয়েল ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন পুরো রাত।
– ব্যস, এই সামান্য কাজটুকু প্রতিরাতে করুন কয়েক সপ্তাহ আর এতেই আপনি পেয়ে যাবেন শিশুদের মতো নরম, কোমল, গোলাপী ঠোঁট।
– এই মিশ্রণটি বেশি তৈরি করে রেখে দিতে পারেন ফ্রিজে। অনেকটা সময় ভালো থাকবে।
স্ক্রাবটির কার্যকারিতা
– চিনি খুব ভালো প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে, যা আপনার ঠোঁটের উপরের মরা চামড়া দূর করে ঠোঁটের ভেতরের গোলাপী আভা ফুটিয়ে তোলে।
– মধু প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার। এতে করে আপনার ঠোঁট অনেক নরম ও কোমল হবে।
– লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং এফেক্ট ঠোঁটের কালচে ভাব একেবারেই দূর করে দিয়ে ঠোঁটের রঙ উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।
– আমন্ড অয়েলের ত্বকের রঙ ফর্সা করার কার্যকরী ক্ষমতা রয়েছে, এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।

সৌন্দর্য বাড়াতে কখনো মুখে লাগাবেন না যেসব জিনিস

Sunday, June 14, 2015 / No Comments
সৌন্দর্য ধরে রাখতে বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন প্রসাধনীর আশ্রয় নেয় সৌন্দর্য পিপাসুরা। কোন অনুষ্ঠান কিংবা উৎসবে যাওয়ার সময় তাদের কেউ কেউ মুখে আল্পনা এঁকে নেয়। কেউ কেউ আবার ত্বকে লোশনও ব্যবহার করে। এগুলো ঠিক নয়। এতে সাময়িকভাবে নিজেকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগলেও কিন্তু এগুলো ত্বকের ক্ষতি করে বেশি।

এর ফলে অকালে বলিরেখা পড়াসহ ত্বকের আরও নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। কাজেই সৌন্দর্য ধরে রাখতে কিছু জিনিস মুখে না লাগানোই বেশি ভালো।

জেনে নিন মুখে লাগাবেন না যেসব জিনিস-

হেয়ার স্প্রে
এটি যদি একান্তই ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে তা মুখ ঢেকে ব্যবহার করুন। কারণ এর অ্যালকোহল ত্বককে শুধু রুক্ষ্মই করে তোলে না, একইসঙ্গে অকালে বলিরেখা ও অ্যালার্জির মতো সমস্যাও সৃষ্টি করে।

রঙ
চুলে রঙ করতে গিয়ে খেয়াল রাখুন যেন রঙ মুখে না লাগে। এগুলোও ত্বকের নানা সমস্যা সৃষ্টির জন্য দায়ী।

ঘি
ডালডা বা ঘি জাতীয় কোন দ্রব্য কখনই মুখে লাগানো ঠিক নয়। এগুলো মুখের জন্য অত্যন্ত ভারী হওয়ায় লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। তখন ব্রণসহ ত্বকের আরও নানা সমস্যা দেখা দেয়।

ডিওডোরেন্ট
কম ঘামার জন্য মুখে কখনই ডিওডোরেনট স্প্রে করা ঠিক নয়। এই কাজটিতেও সৌন্দর্য হানি ঘটে।

শ্যাম্পু
মাথার ত্বক ও চুলকে পরিষ্কার রাখে শ্যাম্পু। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এটা মুখের ত্বকের জন্যও ভালো। কাজেই যতটা পারা যায় এটি মুখে লাগানো থেকে দূরে থাকুন।

লোশন
আমাদের দেশে অনেকেই বডি লোশন মুখে মেখে থাকেন। এটা কিন্তু ঠিক নয়। লোশনে নানা রকম সুগন্ধী উপাদান থাকে যা মুখের জন্য ভালো নয়। কাজেই তা মুখে ব্যবহার করলে তা কোমল ত্বকের অনেক ক্ষতি করে।

ভ্যাসলিন
ভ্যাসলিন জাতীয় কোন পণ্যও ভুল করে মুখে লাগানো ঠিক নয়। এতে অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

নেইলপলিশ
অনেককে নেইলপলিশ দিয়ে কপালে টিপ আঁকতে দেখা যায়।এই কাজটিও করা ঠিক নয়। এতে অনেক রাসায়নিক উপাদান থাকে যা মুখের ত্বকের অনেক ক্ষতি করে।

মেয়নিজ
মেয়োনিজ তৈরি হয় ডিম, তেল আর ভিনেগারের সংমিশ্রণে। এ উপাদানগুলো রুক্ষ চুলের জন্য খুবই উপকারী হলেও তা মুখের ত্বকের জন্য ভালো নয়। কাজেই এটিও ব্যবহার না করাই ভালো। 

ভিনেগার
অনেক ঘরোয়া চিকিৎসায় এটি কাজে লাগলেও তা মুখের জন্য ভালো নয়। শুধু তাই নয়, ভিনেগার ব্যবহারের পর হাত ভালো করে ধুয়ে তবেই মুখে হাত দিন।

অ্যালোভেরার যত গুণ

/ No Comments
how-to-use-aloevera-tree-home-remedies

মিসরের রানি ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্যের গোপন রহস্য জানেন কি? ভাবতেই পারবেন না উত্তরটা কী হবে? এটি হলো এক ছোট সবুজ উদ্ভিদ।

মিসরীয় লোককাহিনিতে রয়েছে এসব তথ্য। সৌন্দর্যবর্ধন করে বলে এই প্রকৃতি-কন্যার নামটি হলো কুমারী। লাতিন ভাষায় যাকে বলে অ্যালোভেরা। বাংলায় এটি পরিচিত ঘৃতকুমারী হিসেবে। 

চিকিৎসা শাস্ত্রে অ্যালোভেরার ব্যবহার পাওয়া যায় সেই খৃীষ্টপূর্ব যুগ থেকেই। তখন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অ্যালোভেরার অনেক গুণের কথা আবিষ্কৃত হয়েছে। যারা ওজন কমাতে চাই ,হজম শক্তি বাড়াতে চায়, তাদের জন্য বলছি, ওজন কমানোর বিষয়টি নিয়মিত জিম করার ওপর নির্ভর করে মাত্র ১০ শতাংশ। আর বাকি ৯০ শতাংশ নির্ভর করে আমরা যে খাবারগুলো খাচ্ছি তা ঠিকভাবে হজম হয়ে আমাদের দেহে শক্তি হিসেবে যোগ হচ্ছে না বাড়তি মেদ জমিয়ে আরও মোটা করে তুলছে। 

প্রতিদিন সকালে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস পানি দিয়ে মিশিয়ে পান করুন। এতে হজম শক্তি বাড়বে, পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। আর ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ত্বক: অ্যালোভেরা পাতার রস নিয়মিত ত্বকে ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং রোদে পোড়াভাব দূর হয়।এটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারি, কারণ এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অতি সংবেদনশীল ত্বক কিংবা ব্রণ ওঠার প্রবণতা যাদের বেশি, তারা এর থেকে অনেক বেশি উপকার পাবেন। বিশেষ করে ত্বক কোমল ও মসৃণ করতে এবং ত্বকে ব্রণের দাগ দূর করতেও অ্যালোভেরার রস দারুণ কাজে দেয়। তুলার বল দিয়ে অ্যালোভেরার রস ত্বকে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।

চুল: খুশকি দূর করতে মেহেদিপাতার সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন চুলে। মাথা যদি সব সময় গরম থাকে তাহলে পাতার শাঁস প্রতিদিন একবার তালুতে নিয়ম করে লাগালে মাথা ঠাণ্ডা হয়৷ অ্যালোভেরার রস মাথার তালুতে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে। শ্যাম্পু করার আগে আধা ঘণ্টা অ্যালোভেরার রস পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। শ্যাম্পু করার পর… চুল থেকে হাত সরাতেই মন চাইবে না।

চুল লম্বা করার ৩ টি পদ্ধতি

Friday, June 5, 2015 / 1 Comment
how-to-make-your-hair-grow-faster-and-longer-naturally

লম্বা চুল কে না পছন্দ করে, যুগ যুগ ধরে নারীদের সৌন্দর্যের মূল কথা হচ্ছে লম্বা চুল। নারীরা চুল লম্বা করতে কি না করে। কিন্তু ঘরে বসে সহজ কিছু চর্চার মাধ্যমেও চুল লম্বা কিরা যায়।  চলুন জেনে নেই পদ্ধতি গুলো:

পদ্ধতি ১:

একটি মাঝারি আকৃতির আলু ঝুরি করে চিপে এর থেকে রস বের করে নিন। এরপর একটি বাটিতে আলুর রস, একটি ডিমের সাদা অংশ ও ১ চা চামচ মধু খুব ভালো করে মেশান। খুব ভালো করে মিশে গেলে, মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায় আলতো ঘষে লাগিয়ে নিন। এভাবে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। ২ ঘণ্টা পর একটি মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো ভাবে ধুয়ে নিন।

পদ্ধতি ২:

গ্রীণ টি কম বেশি সবাই বানাতে জানি। বাজারে গ্রীণ টি পাওয়া যায়। প্রথমে গ্রীণ টি বানিয়ে নেবেন। অনেকেই গ্রীণ টিতে মধু বা চিনি দিয়ে থাকেন। কিন্তু চুলে ব্যবহারের জন্য গ্রীণ টি তে চিনি বা মধু দেবেন না। এক কাপ পরিমাণ গ্রীণ টি নিয়ে হালকা গরম থাকতেই পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগাবেন। ১ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

পদ্ধতি ৩:

প্রথমে একটি বাটিতে একটি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল (জলপাই তেল) ও ১ চা চামচ মধু নিন (চুলের দৈর্ঘ্য ও পরিমাণ অনুযায়ী অলিভ অয়েল ও মধুর পরিমাণ বাড়াতে পারেন)। তারপর উপকরণগুলো খুব ভালো করে মেশান। যখন এটি মসৃণ পেস্টের আকার ধারন করবে তখন এত ব্যবহার উপযোগী হবে। মসৃণ পেস্টের মত হয়ে গেলে মাথার ত্বকে আলতো ঘষে মিশ্রণটি লাগিয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট পর প্রথমে ঠাণ্ডা পানি ও পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ভালো ফল পাবেন।

ছয় উপায়ে দীর্ঘস্থায়ী করুন লাস্যময়ী ‘ঠোঁটের’ লিপষ্টিক

/ 1 Comment
how-to-make-long-lasting-lipstick.
সাজগোজ যাই করুন ঠোঁটে লিপস্টিক মাস্ট৷ কিন্তু পার্টিতে গিয়ে একবার গ্লাসে চুমুক দিতেই লিপষ্টিক হাওয়া৷ এই সমস্যা বোধ হয় প্রত্যেক মেয়ের জীবনেই রয়েছে৷ কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে লিপষ্টিক লাগালে দীর্ঘস্থায়ী হতে আপনার লাস্যময়ী ঠোঁটের রং ৷ পার্টির শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লিপস্টিক টিকিয়ে রাখাতে কী কী করবেন? জেনে নিন ছয়টি সহজ উপায়৷
 *আপনার ঠোঁটের ত্বক যদি শুষ্ক ও রুক্ষ হয় তাহলে লিপষ্টিকের রঙ দীর্ঘস্থায়ী হতে চায় না৷ তাই আগে ঠোঁটকে আর্দ্র রাখার চেষ্টা করতে হবে৷ লিপষ্টিক লাগানোর আগে একটু মধু ও চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন৷ তাতে ঠোঁট আর্দ্র থাকে৷ এরপর ঠোঁটে লিপষ্টিক লাগালে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে৷
* লিপ বাম লাগালে ঠোঁটের ত্বক মসৃণ হয়৷ তাই লিপষ্টিক লাগানোর আগে লিপ বাম লাগিয়ে নিলেও ভালো ফল পাওয়া যায়৷

*ফাউন্ডেশন শুধু মুখে নয়, ঠোঁটের ত্বকেও ব্যবহার করতে হবে৷ তাতে ঠোঁটে লিপষ্টিক লাগানোর আগে একটি ভিত তৈরি হয় যার ফলে লিপষ্টিক বেশিক্ষণ একইরকম থাকে ঠোঁটে৷ এছাড়াও পুরো ঠোঁটে ভালোভাবে মিশেও যাবে লিপষ্টিকের রঙ৷
*গাঢ় রঙের লিপষ্টিক লাগানোর আগে অবশ্যই মনে করে কনসিলার দিয়ে ঠোঁটের রেখা এঁকে নিতে হবে৷ তা না হলে ঠোঁটের চারপাশে লিপষ্টিকের রঙ ছড়িয়ে যেতে পারে৷
*সবসময় লিপষ্টিক লাগানোর আগে লিপ লাইনার ব্যবহার করে ঠোঁটের রেখা এঁকে নিতে হবে৷ তারপর রেখার ভিতরের অংশ ভর্তি করে নিতে হবে লিপষ্টিকের রঙ দিয়ে৷
*সব শেষে লিপষ্টিক লাগানোর পরে ঠোঁটের ওপর টিস্যু পেপার রেখে তার ওপর পাউডার ব্রাশ করে নিতে হবে৷ এতে পার্টির শেষ পর্যন্ত একই রকম থাকবে আপনার লিপস্টিক৷

৫টি উপায়ে দূর করুন ব্রণ ও ব্রণের দাগ

Thursday, June 4, 2015 / No Comments
five-ways-to-get-rid-of-acne-and-acne-marks
ব্রণ এবং ব্রণ জনিত দাগের কারণে বিরক্ত অনেকেই। বাজারের যতো ভালো ক্রিমটিই ব্যবহার করা হোক না কেন ব্রণের সমস্যা বাড়তেই থাকে, কমে না। সেই সাথে দাগ পড়ে যায় ত্বকে। কিন্তু খুব সহজেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই ব্রণ এবং ব্রণের দাগের সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারেন। আজকে জেনে নিন এমনই দারুণ ৮ টি উপায়।

১) অলিভ অয়েল
ব্রণের কারণে ত্বকে যে ক্ষতি হয় এবং দাগের সৃষ্টি করে তা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী এই অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েলের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে ত্বকে লাগান। দেখবেন ব্রণের সমস্যা ও সেই সাথে ব্রণের ও অন্যান্য দাগ ত্বক থেকে দূর হয়ে যাবে।

২) শসা
শসার প্রায় ৯০% পানি যা ত্বকের রোমকূপে জমে থাকা ময়লা দূর করতে বিশেষভাবে সহায়ক। শসার রোদ ভালো করে মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে করে রোমকূপের ময়লা, অতিরিক্ত তেল এবং মরা কোষ চলে যাবে। এতে করে আপনি রেহাই পাবেন ব্রণের হাত থেকে।


৩) রসুন
রসুনের অ্যালিসিন, জিংক, সালফার এবং ক্যালসিয়াম ত্বকের জন্য বেশ ভালো উপাদান। এছাড়াও রসুনের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান ব্রণের সংক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে। আপনি কাঁচা রসুন খেতে পারেন, এতে করে ত্বক ভেতর থেকে পুষ্টি পাবে ও ব্রণের উপদ্রব কমবে।

৪) লেবুর রস
লেবুর রসের ভিটামিন সি, সাইট্রিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণের সমস্যা চিরতরে দূর করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ বলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ১ চামচ মধু ও ১ চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে নিন। প্রতিদিনের ব্যবহারে ব্রণের সমস্যা খুব সহজেই দূর হবে। তবে যদি লেবুতে অ্যালার্জি থাকে তাহলে এই পদ্ধতি থেকে দূরে থাকুন।


৫) মধু ও দারুচিনি
মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণের সমস্যা দূর করে এবং সেই সাথে ত্বকের দাগ দূর করতেও সহায়তা করে। দারুচিনি প্রদাহ এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া রোমকূপ খুলতে সহায়তা করে। মধু ও দারুচিনি গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন প্রতিদিন। বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।


সূত্রঃ হেলথ ডাইজেস্ট

চুল পড়া কমবে এই ছোট্ট ফর্মুলায়

Wednesday, June 3, 2015 / No Comments

how-to-reduce-hair-fall-naturally
সৌন্দর্যের অন্যতম একটি বিষয় হলো মাথার চুল। মাথায় যদি চুল না থাকে তবে দেখতে খুবই বাজে লাগে। দ্রুত চুল কমে গেলে আশঙ্কা থাকে শীঘ্রই একটা চকচকে টাক দেখা দেবে মাথায়? এই রকম হলে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার কথাই বলবো। টাক সমস্যা সমাধান হয়তো চিকিৎসকই করতে পারেন। তবে আপনার চুল পড়া কমানোর জন্য আমরা আপনাকে প্রাকৃতিক উপায়ে একটি কন্ডিশনার তৈরির পদ্ধতি বলে দিতে পারি যা সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়া কমে যাবে শতকরা ৭০ ভাগেরও বেশি।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:
# দশটি জবা ফুল
# একটা পাকা কলা
# আধা কাপ নারকেল তেল
# এক টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল
# এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস
# দুইটি ডিমের কুসুম
# এক টেবিল চামচ লেবুর রস
# এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
# এক টেবিল চামচ ঘৃতকুমারী পাতার নির্যাস
# দুই ফোটা ল্যাভেন্ডার বা গোলাপের সুগন্ধ


অন্যান্য পোষ্ট সমূহ



তৈরি পদ্ধতি ও ব্যবহার:
সবগুলো উপকরণ এক সঙ্গে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ভালো ভাবে মেশাবেন। প্রয়োজনে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। পেস্ট তৈরি হওয়ার পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিয়ে চুলের গোড়া থেকে ভালো ভাবে পেস্টটা মাখিয়ে নিন। পেস্ট চুলে যত্ন নিয়ে মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন।

এভাবে সপ্তাহে ২ দিন করে এক মাস ব্যবহার করে দেখুন। দেখবেন আপনার চুলপড়া কমে যাবে শতকরা ৭০ ভাগেরও বেশি। পুষ্টিকর খাবার, শাকসবজি, ফলমূল খাওয়া, পরিমাণ মতো পানি পান আর নিয়মিত ঘুম ও হালকা ব্যায়ামের কথা ভুলে যাবেন না। আপনার হোক স্বাস্থ্যকর চুল ও সুস্থ থাকুন।