সাম্প্রতিক শিরোনাম

Menu

Browsing "Older Posts"

আপনি "relation" বিভাগ ব্রাউজ করছেন

শাশুড়ির মন পেতে যে কাজ না করাই ভালো

Saturday, June 6, 2015 / No Comments
how to win over your mother in law

এক সময় বৌ-শাশুড়ির সম্পর্কটি অনেক স্বচ্ছ ও সুন্দর ছিল। শ্রদ্ধা, সন্মান করা হতো মায়ের মতোই। যদিও পৃথিবী যতো আধুনিক হচ্ছে মানুষের মানসিকতাও অনেক আধুনিক হচ্ছে। তবুও অনেকে এতো আধুনিক হতে পারেন নি যে একজন শাশুড়ি তার ছেলের বউকে নিজের মেয়ের মতো ভেবে তার জন্য চিন্তা করবেন।

কিছু ক্ষেত্রে উল্টোটাও ঘটে। অনেক মেয়েই শাশুড়িকে নিজের মায়ের মতো ভাবতে পারেন না। তবে সমস্যা যাই হোক না কেন, যারা ভালো মনের মানুষ তারা দুজন দুজনের মন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যান। তবে বউয়েরা শাশুড়ির মন পাওয়ার জন্য এমন কিছু করে বসবেন না যাতে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। এ সকল কাজ করলে বরং মন পাওয়ার চাইতে উল্টোটাও ঘটতে পারে।

# মিথ্যে কথা বলতে যাবেন না
শাশুড়ির মন পাওয়ার জন্য ভুলেও মিথ্যে বলতে যাবেন না। যা সত্যি তা যদি তার কাছে খারাপও লাগে তা বলে দিন। কার মিথ্যে বলে হয়তো কিছুটা সময়ের জন্য পার পাবেন কিন্তু যেকোনো সময়ে সত্যি প্রকাশের ভয় থাকবে। সত্যি প্রকাশ পেলে তখন আরেক সমস্যা সামনে এসে দাঁড়াবে।

# সব কথা বলে দেবেন না
অনেকেই ভাবেন শাশুড়ির সঙ্গে ভাব জমিয়ে সব কথা বলে দিলে শাশুড়ির মন পাওয়া যাবে। কিন্তু সত্যি বলতে কি এই ভুল কাজের জন্য আপনি নিজেই বিপদে পড়তে পারেন। একেবারে সব বলে নিজেকে উন্মুক্ত করে দেবেন না। তিনি আপনার মায়ের মতো হলেও মা নন যে আপনার সব ভুল ক্ষমা করে আপনাকে মেনে নিতে পারবেন। প্রয়োজন না হলে সবকিছু বলার দরকার কি?।

# পারফেক্ট হতে চেষ্টা করবেন না
কখনোই কারো মন পাওয়ার জন্য পারফেক্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনি যেমন নিজেকে সেভাবেই উপস্থাপন করুন। এতে করে আপনার প্রতি আশা আকাঙ্ক্ষার পরিমাণও কমে যাবে এবং বিশেষ করে শাশুড়ি আপনি যেমন সেভাবেই মেনে নেয়ার চেষ্টা করবেন। আপনি নিজেকে যতো পারফেক্ট করে উপস্থাপন করতে যাবেন, চাহিদা আরো বাড়তে থাকবে।

# রাগ করতে যাবেন না
শাশুড়ির সঙ্গে মন খারাপ করে রাগ করে তার মন পাওয়ার চেষ্টা করতে যাবেন না। তিনি বড় মানুষ এবং গুরুজন। মায়ের সঙ্গে রাগ করে অনেকেই কার্যসিদ্ধি করে নিতে পারেন, কিন্তু এই পদ্ধতি শাশুড়ির সঙ্গে খাটাতে যাবেন না। ভুল বোঝাবুঝির অবসান করতে কথা বলুন। রাগ করে বসে থাকবেন না।

# তার সামনে স্বামীর অতিরিক্ত খেয়াল রাখতে যাবেন না
অনেক শাশুড়িই এই ব্যাপারটি পছন্দ করেন না। তবে সকলে এমন নন। কিন্তু তারপরও একজন মায়ের চাইতে অন্য আরেকজন তার ছেলের প্রতি অতিরিক্ত কেয়ার দেখাচ্ছে তা অনেকেরই মানতে বেশ কষ্ট হয়। তাই স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত কিছুই করতে যাবেন না।

সঙ্গীর খিটখিটে মেজাজ মোকাবেলার উপায়

Sunday, May 17, 2015 / No Comments
বিয়ে পর প্রথম প্রথম বেশ সুখেই নতুন জীবন শুরু হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় অনেক কিছু। কিছু বছর পার হয়ে যাওয়ার পর অনেক নারী-পুরুষকেই খিটখিটে মেজাজের হয়ে উঠতে দেখা যায়। 

কিছু যেন তাদের ভালো লাগে না, সারাক্ষণ মেজাজ গরম, নিজের স্বামী বা স্ত্রীর মনটাও তারা কিছুতেই বুঝতে চান না, সব কিছু নিয়েই কেবল অভিযোগ আর হুকুমের সুর তাদের কণ্ঠে। আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি আজকাল এমন আচরণ করেন তাহলে জেনে নিন সম্পর্কটি আবারও স্বাভাবিক করার সহজ উপায়।

যখন তার মন ভালো থাকবে তখন তার সঙ্গে আলোচনা করুন। জানতে চান তার এমন আচরণের কারণ, আপনি যে কষ্ট পান সেটাও জানান। সাথে জানিয়ে দিন যে আপনি সর্বদা তার পাশে আছেস এবং যেকোনো সাহায্য তাকে করতে রাজি আছেন।

তাকে খুশি করার চেষ্টা করুন
একটা মানুষ অকারণে খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যায় না, বরং প্রচণ্ড মানসিক অশান্তি থেকে এটা হয়। কারণটা যদি জানতে নাও পারেন, চেষ্টা করুন প্রিয় মানুষটিকে খুশি করার, সারপ্রাইজ দেয়ার।

শান্ত থাকুন
সবচাইতে প্রথম উপায়টি হচ্ছে শান্ত থাকা। তিনি খিটমিট করলে আপনি যদি উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তা হলে সম্পর্ক নষ্ট হতে সময় লাগবে না। মাথা ঠান্ডা রাখুন, বোঝার চেষ্টা করুন কেন তিনি এমন করছেন। আপনি শান্ত থাকলে ওপর পক্ষ একা একা বেশিক্ষণ খিটিমিটি চালিয়ে যেতে পারবেন না।

তার প্রশংসা করুন, ভালোবাসুন
প্রশংসা ও ভালোবাসা এমন দুটি জিনিস, যা যেকোনো মানুষের মন নরম করতে বাধ্য। সঙ্গী খিটখিটে স্বভাবের হয়ে গেলে আপনি বাড়তি ভালোবাসা দিয়ে অভাবটা পূরণ করে দিন।

তর্কে যাবেন না
সঙ্গী খিটমিট করছেন বলে আপনি যেন পাল্টা করতে যাবেন না। এই কথাটি খুব ভালো করেই মনে রাখুন। এতে সম্পর্ক চরম খারাপ হয়ে যাবে। সবকিছুকে মনে নেবেন না।

সিরিয়াসলি নিবেন না
রাগের মাথায় মানুষ অনেক কিছুই বলে, সবকিছুকে সিরিয়াসলি নেবেন না। ছোটোখাটো অনেক কিছুই সম্পর্কে ঘটতে পারে, সেসব দেখেও না দেখার ভান করুন। পাত্তা দিলেই ঝামেলা বাড়বে।

সম্ভব হলে তার চাপ কমান
যে কারণে মানুষটি এমন খিটখিটে হয়ে উঠেছেন, সম্ভব হলে তার সেই চাপটি কমানোর চেষ্টা করুন। পারিবারিক হোক বা আর্থিক, অফিসের কাজ হোক বা বাসার কাজ কিংবা কোনো মানসিক কষ্ট- পাশে একজন মানুষ পেলে সবারই ভালো লাগে।

নিজের সঙ্গীনি সম্পর্কে ১০টি অজানা গোপন তথ্য

Saturday, May 16, 2015 / No Comments

নিজের প্রেমিকা কিংবা স্ত্রীকে খুব ভালোবাসেন, কিন্তু তাই বলে কি সব জেনে-বুঝে ফেলেছেন তার ব্যাপারে? উত্তর যদি “হ্যাঁ” হয়, তাহলে জেনে রাখুন আপনার এই ধারণাটি একেবারেই ভুল! যতই আপনি তার আপন হোন না কেন, মেয়েদের কিছু ব্যাপার কখনোই স্বামী বা প্রেমিক বুঝতে পারেন না। কী সেগুলো? চলুন জেনে নিই মেয়েদের ১০টি সিক্রেট।

# আপনার বন্ধুদের সঙ্গে তার মেলামেশাকে কখনোই সন্দেহের চোখে দেখবেন না। এতে খারাপ কোনো ভাবনাই নেই। তিনি কেবল চান আপনার বন্ধুরাও তাকে আপনার স্ত্রী/প্রেমিকা হিসাবে পছন্দ করুক।

# মেয়েরা মোটেও স্বামী বা প্রেমিকের সঙ্গে সব জায়গায় যেতে চান না। কিছু সময় মনে মনে ভাবেন যে প্রেমিক বা স্বামীকে ছাড়া তিনি বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরবেন।

# তিনি আপনাকে ছাড়া কিছু বোঝেন না? তারপরও জেনে রাখুন, ছেলেদের চাইতে মেয়েদের গোপনীয়তার প্রয়োজন বেশি। মেয়েরা নিজের দুনিয়ায় সময় কাটাতে ভালোবাসেন।

# মেয়েরা কখনো নিজের প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রাক্তন স্বামীকে ভোলে না। তারা কেবল ভান করে ভুলে যাওয়ার।

# মাঝে মাঝে হুট করে পছন্দের মেয়েটি খিটখিটে বা বিষণ্ণ হয়ে যায়? জেনে রাখুন, সেটা তিনি নন। তার পিরিয়ড চলছে আর এই সময়ে কিছু হরমোনের প্রভাবে মেয়েরা খিটখিটে হয়ে যায়।

# মেয়েরা সবচাইতে বেশি ঘৃণা করে অন্য কোনো নারীর সঙ্গে তার তুলনা করাকে। এমনকি সেটা প্রশংসামূলক হলেও।

# তিনি আপনাকে খুব ভালোবাসেন? জেনে রাখুন, মেয়েরা কাউকে খুব বেশি ভালবাসলে তাকে ঘৃণাও সবচাইতে বেশি করতে পারে। তাই প্রেমিকা/স্ত্রীকে নারাজ করবেন না মোটেও।

# মেয়েরা চান পুরুষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে। বলা ভালো, মেয়েরা ইচ্ছা করেই পুরুষকে সম্পর্কের লিড দেন। এতে পুরুষটি খুশি থাকে আর সম্পর্কে বেশি মনযোগ দেয়।

# পৃথিবীর প্রতিটি মেয়ে সারপ্রাইজ ও উপহার পেতে নিঃসন্দেহে ভালোবাসেন।

# 'তোমার চাইতে সুন্দর আর কাউকে মনে হয় না, আমার চোখে তুমিই সেরা।'- এই একটি বাক্য বলে প্রেমিকা বা স্ত্রীর মন জয় করা সম্ভব।

২০টি ব্যাপার মানলেই ভালোবাসার সম্পর্ক মধুর হবে

/ No Comments
প্রেম-বিয়ে-ভালোবাসা এই ৩টি শব্দ শুনতে যতই হালকা মনে হোক না কেন, আসলে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এগুলোই। কেবল ভালোবাসা থাকলেই সম্পর্ক টিকে থাকে না। একটি প্রেম বা দাম্পত্যের সম্পর্ক সফল করতে ভালোবাসার পাশাপাশি চাই অনেক চর্চা, সমঝোতা, ত্যাগ। চলুন তবে জেনে নিই এমন ২০ টি বিষয় যা মানতে পারলেই  সম্পর্ক সফল হবে।
১) যা বদল করতে পারবেন না, সেগুলো মেনে নেয়ার চেষ্টা করুন। জীবনে সব আসলে বদলে ফেলা যায় না।
২) সঙ্গীকে আপনি মনের মত পুরোপুরি বানিয়ে নিতে পারবেন না, এটা মেনে নিন। তিনি মানুষ, পুতুল নন।
৩) এটাও মনে রাখুন যে পৃথিবীতে কোন মানুষই নিখুঁত নন।
৪) পৃথিবীতে সবাই আপনার মত হবেন না বা আপনার মত আচরণ করবেন না, এটাও মেনে নিন।
৫) সাথে মনে রাখুন যে সঙ্গী বা শ্বশুরবাড়ির কেউ আপনার মত নন বলেই তিনি খারাপ নন।
৬) ভালোবাসার মানুষের ত্রুটিগুলো মেনে নিন।
৭) ভালোবাসা যে রূপে পাচ্ছেন, সে রূপেই মেনে নিন। ভালোবাসায় পরিবর্তন হয় না।
৮) যত যাই হোক, আপনি তাঁদের ভালবাসেন আর এটাও মনে রাখুন সর্বদা।
৯) একেকজনের কাছে ভালোবাসা বস্তুটা একেক রকম, এই সত্যটাকে ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না।
১০) মাঝে মাঝে খুব ভালোবাসার মানুষটিও খারাপ ব্যবহার করতেই পারেন। এটাকে সিরিয়াসলি নিয়ে ফেলার কিছু নেই।
১১) আপনার যেমন কষ্ট আর খারাপ লাগা আছে, ভালোবাসার মানুষটিরও আছে। আপনার আচরণে তিনিও কষ্ট পেতে পারেন।
১২)সম্পর্ক চিরকাল ভালো যায় না, মাঝে মাঝে একটু খারাপও যেতে পারে।
১৩) ভুলের ক্ষমা চাওয়া হলে সেটা খুশি মনে গ্রহন করুন।
১৪) মেনে নিন যে আপনার দুজন আলাদা মানুষ আর সেটাই আকর্ষণের কারণ।
১৫) সকলেরই একটা অতীত থাকে, এটা ভুললে চলবে না।
১৬) মনে রাখুন যে কেউ মন পড়তে পারে না, মনের কথা মুখে বলতেই হবে।
১৭) মেনে নিন যে মনের সব আশা পূরণ নাও হতে পারে।
১৮) মেনে নিন যে আপনারও ভুল হতে পারে।
১৯) মেনে নিন যে সম্পর্কে কষ্ট পেতেই হবে।
২০) জীবন রূপকথা নয়, গল্প-কবিতাও নয়। বরং জীবনটা যে কঠোর বাস্তবতা, এটা ভুললে চলবে না।

পুরুষসঙ্গীর প্রেম প্রকাশের ১৭টি লক্ষণ

Friday, May 15, 2015 / No Comments
পাখি, মৌমাছি, বানর থেকে শুরু করে প্রকৃতির প্রত্যেকটি জীবই বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করার জন্য কিছু না কিছু করে। সরাসরি ভালোবাসার কথা না জানিয়ে শুধুমাত্র শারীরিক ভাষা দিয়েই নিজের মনের কথা বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব। উল্টোভাবে চিন্তা করলে ব্যাপারটি এমন দাঁড়ায় যে, কেউ আপনার প্রেমে পড়েছে কিনা তা তার শারীরিক ভাষার মাধ্যমেই বোঝা যায়।

ছেলেদের শারীরিক অঙ্গভঙ্গীর মাধ্যমে বোঝা যায় যে- ছেলেটি একটি মেয়ের প্রতি বিশেষভাবে দুর্বল।  

# চোখাচোখি
প্রেমের পুরো ব্যপারটাই শুরু হয় চোখ থেকে। যখন কোনো ছেলে আপনার প্রেমে পড়বে সে তখন বারবারই আপনার চোখের সঙ্গে চোখ মেলানেরা চেষ্টা করবে। চোখ মেলানোর মাধ্যমে ছেলেটি এই বার্তাই পৌঁছে দেবে যে, সে আপনার ব্যাপারে আগ্রহী। এছাড়া কোনো বন্ধু বা সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলার সময় দেখা যাবে ছেলেটি বারবারই আপনার দিকে তাকাবে। আর এসব কারণেই চোখাচোখির এ ব্যাপারটিকে প্রেমের অন্যতম শারীরিক লক্ষণ বলে মনে করা হয়।

# মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা
এটা খুব সাধারণ একটা বিষয় যে, কাউকে পছন্দ করলে আপনি এটাই চাইবেন যে তার মনোযোগটা আপনার দিকে থাকুক। আর এ কারণেই কোনো ছেলে আপনাকে পছন্দ করলে, সে আপনার মনোযোগ আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন কাজ করার চেষ্টা করবে। মনোযোগ আকর্ষণের এই চেষ্টায় সে হয়তো ভিড় থেকে একটু আলাদা থাকার চেষ্টা করবে, শুধুই আপনার নজরে পড়ার জন্য খুব সুন্দর একটি পোশাক পরবে।

# বন্ধুমহলে নায়ক হওয়ার প্রবণতা
কোনো ছেলে যদি আপনার উপস্থিতিতে তার বন্ধুকে কোনো কিছুতে হারিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে অর্থাৎ ওই ছেলেটি বন্ধুমহলে সেরা এমন একটি ভাব দেখানোর চেষ্টা করে তবে বুঝবেন ছেলেটি আপনার সামনে নায়ক হওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়াও ছেলেটি বেশ বুক ফুলিয়ে হাঁটা-চলার চেষ্টা করবে।

# চেহারায় বিস্ময়ের ভাব
চেহারায় এ বিস্ময়ের ভাবটাকে প্রেমে পড়ার অন্যতম একটা শারীরিক লক্ষণ বলে মনে করা হয়। পছন্দের মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার সময় প্রায়ই ছেলেদের ভ্রু একটু বাঁকা হয়ে যেতে। ভ্রু বাঁকা হওয়ার মাধ্যমে ছেলেদের চেহারায় এ সময় যে বিস্ময়ের ভাবটা ফুটে ওঠে তার অর্থ এই নয় যে, সে মেয়েটির বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সন্দিহান। এর অর্থ হলো- সে মেয়েটির প্রেমে পাগলপ্রায়।

# ব্যক্তিগত বিষয়ে আগ্রহ
কোনো ছেলে যখন আপনাকে পছন্দ করবে তখন সে আপনার ব্যক্তিগত বিষয়গুলোতে ধীরে ধীরে বেশি আগ্রহ দেখাতে শুরু করবে। এছাড়া আপনার সঙ্গে ছেলেটির যে কথা হবে তার প্রত্যেকটি শব্দের দিকে সে বিশেষ নজর দেবে।

# কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন
একটি ছেলে যখন তার পছন্দের মেয়ের সাথে কথা বলে তখন তার কণ্ঠস্বরেও কিছুটা পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। এ স্বরটি অনেক বেশি ব্যক্তিগত ধরনের এবং আন্তরিক। আর এটি শুধু তার পছন্দের মেয়েটির জন্যই বরাদ্দ থাকে।

# পরিপাটি ভাব
কোনো ছেলের শারীরিক ভাষার যেসব লক্ষণ দেখে এটা বুঝবেন যে ছেলেটি আপনার প্রেমে পড়েছে তার অন্যতম একটি হলো তার পরিপাটি ভাব। ছেলেটি বারবার তার জিন্স, টি শার্ট ঠিক করবে, চুল এলোমেলো হয়ে গেল কি না তা দেখবে। এসব দেখে খুব সহজেই আপনার প্রতি ছেলেটির বিশেষ আগ্রহ সম্পর্ক ধারণা পাওয়া সম্ভব।

# মুখোমুখি হওয়ার প্রবণতা
কোনো ছেলে যখন তার পছন্দের মেয়ের সঙ্গে বসে কথা বলবে তখন সে পুরোপুরি মেয়েটির মুখোমুখি বসার চেষ্টা করবে। অন্যভাবে বলা যায়- এর দ্বারা ছেলেটি মেয়েটিকে এটি বোঝানোর চেষ্টা করবে যে তার অন্য কারো দিকে তাকানোর সময়ই নেই।

# গল্পের ছলে মাথা কাত করা
গবেষকরা বলছেন, কোনো ছেলে যখন একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে তখন সে ওই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার সময় বারবার নিজের মাথা একদিকে কাত করে। ছেলেটি যদি একটু লাজুক প্রকৃতিরও হয় তবু তার মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।

# স্পর্শ
একটি ছেলে যদি একটি মেয়ের ব্যপারে বিশেষভাবে আগ্রহী হয়ে ওঠে তখন সে বিভিন্ন ছুতোয় মেয়েটিকে স্পর্শ করার চেষ্টা করে। তবে এটি কোনোভাবেই মেয়েটিকে হেনস্তা করার জন্য নয়। ভদ্রভাবে এ কাজটি করবে ছেলেটি। হয়তো ছেলেটি আপনার হাতটি ধরবে বা আপনার মুখের সামনে চলে আসা চুলটি সরিয়ে দেবে।

# কথা বলার ধরন
আপনি যে ছেলেটিকে পছন্দ করেন ছেলেটিকে যদি আপনার সঙ্গে কথা বলার সময় কিছুটা অস্থির দেখায় তবে তা বেশ ভালো একটা লক্ষণ। এর মানে ছেলেটা হয়তো কিছুটা বিচলিত। সাধারণত ছেলেদের সেই সব মেয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় বিচলিত দেখা যায় যাদের ছেলেরা পছন্দ করে। তাই ছেলেদের কথা বলার ধরন দেখেও বুঝে নেয়া যায় ছেলেটি আপনার ওপর দুর্বল হয়ে পড়েছে কি না।

# হাসি
আমরা প্রায় সবাই মজার কিছু দেখে বা শুনে হাসি। কিন্তু একটি ছেলে যখন তার পছন্দের মেয়ের সঙ্গে থাকে তখন সে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক সহজেই হেসে ওঠে। এর মাধ্যমে ছেলেটি আসলে আপনাকে তার দিকে নজর দেয়ার ইঙ্গিত দেয়।

# বারবার তাকfনো
আপনি যদি খেয়াল করেন যে একটি ছেলে আপনার দিকে বারবার তাকাচ্ছে এ থেকে খুব সহজেই আপনি এটা ধরে নিতে পারেন যে ছেলেটি আসলে মনে মনে আপনাকে পছন্দ করে ফেলেছে।

# সব সময় কাছে থাকার চেষ্টা
ছেলেরা সাধারণত যখন কোনো মেয়ের প্রেমে পড়ে তখন যে কোনো ভাবে সে মেয়েটির কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করে। তাই আপনি যদি এমন কোনো ছেলেকে দেখেন যেসব সময়ই আপনার ধারে-কাছে ঘোরাঘুরি করে, আপনি যেখানেই যান সেখানে সেও হাজির হয় তার মানে এটা ধরে নিতে পারেন যে, ছেলেটি আপনার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ খুঁজছে।

# সাহায্য করার প্রবণতা
বেশিরভাগ ছেলেই মেয়েদের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করে। কিন্তু কোনো ছেলে যখন একটি মেয়ের প্রতি আলাদাভাবে আকর্ষণ বোধ করে তখন সে বিভিন্ন কাজে মেয়েটাকে সাহায্য করার চেষ্টা করবে। ব্যাপারটি এমন হতে পারে ছেলেটি ভিড় থেকে আপনাকে সহজে বের হয়ে আসতে সাহায্য করবে।

# সব সময় নজরে রাখা
একটি ছেলে যখন কোনো মেয়েকে পছন্দ করে তখন সে কোনোভাবেই মেয়েটির ওপর থেকে চোখ সরায় না। সেখানে অন্য মানুষ থাকা সত্ত্বেও ছেলেটি মেয়েটির দিকে তাকানোর চেষ্টা করবেই।

# ঈর্ষান্বিত হওয়া
হিংসা বা ঈর্ষা ভালো কোনো বৈশিষ্ট্য না হলেও আপনি যদি খেয়াল করেন যে- আপনি যখন কোনো ছেলের সঙ্গে কথা বলেন তখন একটি ছেলে কিছুটা ঈর্ষান্বিত হয় তবে এটি নিঃসন্দেহে ধরে নিতে পারেন যে ছেলেটি আপনার প্রেমে পড়েছে।

উপরিউক্ত এসব বৈশিষ্ট্য যদি একটি ছেলের মধ্যে পাওয়া যায় তবে নির্দ্বিধায় এটি বলতে পারেন যে ছেলেটি আপনাকে পছন্দ করেছে এবং সে আপনাকে তার মনের কথা বোঝানোর চেষ্টা করছে।