সাম্প্রতিক শিরোনাম

Menu

Browsing "Older Posts"

আপনি "health" বিভাগ ব্রাউজ করছেন

ভ্রমণে বমি এড়িয়ে চলুন সহজ ৪টি উপায়ে

Friday, February 5, 2016 / No Comments

ভ্রমণ অনেক আনন্দের, অনেক রোমাঞ্চকর একটি বিষয়। কিন্তু অনেকেই বাস বা গাড়িতে বমি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। বিশেষ করে দূরের ভ্রমণের সময় অনেকেই মোশন সিকনেস বা বমি বমি ভাব হওয়ার সমস্যায় পড়ে থাকেন। এই অনুভূতিটি খুবই বিরক্তিকর এবং অস্বস্তিকর। এই সমস্যার কারণে অনেকেই দূরে ভ্রমণ করতে ভয় পান। গাড়ির গতির কারণে কানের অভ্যন্তরীণ ভেসটিবুলার অংশে যে তরল থাকে তা নাড়িয়ে দিয়ে থাকে। যার কারণে বমি বমি ভাবের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই অস্বস্তিকর বমি বমি ভাব দূর করে ফেলুন সহজ কিছু উপায়ে। 

১। আদা

American Journal of Physiology – Gastrointestinal and Liver Physiology in 2003 এর মতে যেসকল ব্যক্তিরা ভ্রমণের আগে কিছু পরিমাণে আদাকুচি খেয়ে থাকেন, তাদের ভ্রমণ সহজ হয়ে থাকে।
কয়েক টুকরা আদা কুচি দুইকাপ পানিতে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরসাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। ভ্রমণের আধঘন্টা আগে এটি পান করুন। এছাড়া এক চা চামচ আদার রস এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভ্রমণের আগে পান করুন।

২। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

দুই টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং এক টেবিল চামচ মধু এক কাপ কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। ভ্রমণের আধাঘণ্টা আগে এটি আস্তে আস্তে পান করুন। এটি আপনার পাকস্থলিকে সুস্থ করে বমি বমিভাব দূর করে থাকে। আপনার যদি ভ্রমণের সময় বমি চলে আসে তবে আধা কাপ পানিতে এক চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন। এটি সাথে সাথে আপনার বমি বমি ভাব প্রতিরোধ করে দিবে।

৩। লেবু

লেবু এবং লেবুর রসে সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে যা বমি বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরসাথে এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে নিন। ভ্রমণের সময় অল্প অল্প করে এটি পান করুন। ভ্রমণের সময় এক টুকরো লেবু মুখে রাখতে পারেন।

৪। যষ্টিমধু

যষ্টিমধু আপনার বমি বমি ভাব দূর করে দিতে সাহায্য করে থাকে। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান বমি বমি ভাব দূর করে ক্লান্তি দূর করে থাকে। আধা গ্লাস পানির মধ্যে এক চা চামচ যষ্টিমধু মিশিয়ে জ্বাল দিন। পাঁচ মিনিট জ্বাল দিন। তারপর ছেঁকে এটি ভ্রমণের আগে পান করে নিন। ভ্রমণের সময় বমি বমি ভাব রোধে আপনি কিছুটা যুষ্টিমধু মুখে দিয়ে রাখতে পারেন।
টিপস:
১। ভ্রমণের আগে চর্বি বা তৈলাক্ত এবং মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২। যেদিকে ভ্রমণ করবেন তার বিপরীত দিকে বসা থেকে বিরত থাকুন।
৩। বাসের পিছনের সিটে বসা এড়িয়ে চলুন।
৪। বেশি খারাপ লাগলে চোখ বন্ধ করে রাখুন।
৫। গাড়ির জানালাটি খোলা রাখুন এতে ফ্রেশ ঠান্ডা বাতাস গাড়িতে প্রবেশ করার সুযোগ পাবে।

টেস্ট ছাড়াই সহজে জেনে নিন আপনি কি অন্তঃসত্ত্বা

Sunday, August 16, 2015 / No Comments
how-to-check-pregnancy-at-home-by-home-remedies

মা হওয়ার ইচ্ছা প্রতিটি মেয়ের মধ্যেই থাকে। তবে আকস্মিক প্রেগন্যান্সিতে অনেকেই প্রথমে টেস্ট করাতে যেতে চান না। বিশেষত অপ্রত্যাশিত প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে আপনি বাড়িতেই কিছু প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাতে পারেন। প্রেগন্যান্সির কিছু সম্ভবনা যদি আপনার মধ্যে থেকে থাকে তাহলে প্রথমে আপনি ঘরেরই নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিষ দিয়ে টেস্ট করতে পারেন।
১. ব্লিচিং পাউডার
শুনতে অবাক লাগলেও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে টেস্ট করেই বুঝতে পারেন আপনি অন্তঃসত্ত্বা কি না। এক্ষেত্রে আপনাকে আধকাপ ব্লিচিং পাউডার নিতে হবে। দিনের প্রথম ইউরিন ওই ব্লিচিং পাউডারে দিয়ে দিন। দুটির মিশ্রণে যদি ফেনা তৈরি হয় তাহলে আপনি সন্তানসম্ভবা।
২. পাইন সল
ফিনাইলের মতো একপ্রকার ঘর পরিস্কার করার তরল হল পাইন সল। এটির মাধ্যমেও আপনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন। আধকাপ পাইন সল নিন। তাতে দিনের প্রথম ইউরিন মেশান। পাইন সলের রঙ যা-ই হোক না কেন তা যদি আপানার ইউরিনের সঙ্গে মিশে রঙ পরিবর্তন করে, বুঝতে হবে আপনি প্রেগন্যান্ট।
৩. ডেনডেলিয়ন পাতা
ডেনডেলিয়ন একধরনের বন্য ফুল। এর পাতাও আপনাকে বলে দিতে পারে আপনি প্রেগন্যান্ট কি না। প্রথমে এই ফুলগাছ থেকে কয়েকটি পাতা নিয়ে ছায়ায় একটি প্লাস্টিকের উপরে রাখুন। এবার দিনের প্রথম ইউরিনে এটি দিয়ে দিন। ইউরিন শুষে নেওয়ার পরে এর পরিবর্তন লক্ষ্য করুন। ১০মিনিট পরে যদি পাতাটির উপরে ফোস্কার মতো দাগ তৈরি হয় তাহলে আপনি প্রেগন্যান্ট।
৪. সরষে বাটা
যদি পিরিয়ডের নির্দিষ্ট দিন পার হয়ে যায় তাহলে তা প্রেগন্যান্সির লক্ষণ হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রেগন্যান্ট না হয়ে শুধুমাত্র ডিলেড পিরিয়ডও হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সি কনফার্ম করার জন্য ইষদুষ্ণ জলে সরষে পাউডার বা সরষে বাটা মিশিয়ে স্নান করুন। যদি আপনি প্রেগন্যান্ট না হন তাহলে পর দিনই আপনার পিরিয়ড হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকবে।
৫. তুনা জুস ও ভিনিগার
একটি কাপের চার ভাগের এক ভাগ তুনা মাছের তেল ও সমপরিমাণ ভিনিগার মেশান। এতে প্রেগন্যান্সি টেস্টের জন্য দিনের প্রথম ইউরিন মেশান। যদি এই মিশ্রণের রঙ পরিবর্তিত হয়ে সবুজ হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি প্রেগন্যান্ট। কিন্তু যদি রঙ পরিবর্তিত হয়ে হলুদ অথবা কমলা হয় তাহলে আপনি প্রেগন্যান্ট নন।
৬. সাবান
প্রতিদিনের ব্যবহারের সাবানের সাহায্যেও বুঝতে পারবেন আপনি প্রেগন্যান্ট কি না। একটি সাবানের সঙ্গে দিনের শুরুর ইউরিন মেশান। এতে যদি ফেনা তৈরি হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনি প্রেগন্যান্ট।

অফিসে বসেই ওজন কমানোর পাঁচ উপায়

/ No Comments
five-ways-to-lose-weight-sitting-in-the-office

অফিসে বসে কাজ? ওজন বাড়ছে তাতেই? সে তো বাড়বেই৷ প্রতিদিন আট থেকে নয় ঘন্টা এক জায়গায় বসে থাকলে শরীর চালনা হয় না৷ ফলে ক্যালোরিও পোড়ে না পর্যাপ্ত পরিমাণ৷ আর তার ফলেই বেড়ে যায় ওজন৷ এই সমস্যা বোধ হয় প্রায় ১০ জনের মধ্যে আটজন অফিস কর্মীরই৷ কিন্তু উপায় আছে অফিসে থেকেও শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরিয়ে ফেলার৷ এর জন্য আপনাকে আলাদা করে সময় বের করতে হবে না৷ কাজ করতে করতে অনায়েসেই এই সহজ কয়েকটি পথ অনুসরণ করতে পারেন আপনি৷ আর তাতে সমস্যা মিটবে আপনার৷
১. কাজের মাঝে বিরতি নিন৷ অনেকক্ষণ এক নাগাড়ে কাজ করার মাঝে এক দু’বার নিজের চেয়ার থেকে উঠুন৷ কফি খান৷ রিল্যাক্স করুন৷ তাতে আপনার শরীরের চালনা হবে৷
২. জল খান বেশি করে৷ অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে শুধু চর্বি বাড়ে তা নয় হজমেরও গণ্ডগোল হয়৷ তাই বেশি করে জল খান৷ এতে আপনার হজমের সমস্যাও দূর হবে আবার ক্যালেরি পুড়তেও সাহয্য করবে৷ পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য বেশি করে খান৷ এতে ক্যালোরি পোড়ার পরিমাণ বাড়ে৷ অ্যাভোকাডো, নারকোলের জল এসবে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে৷
৩. অবসরের খাবারের দিকে নজর রাখুন৷ বেশি ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া কখনওই উচিত নয়৷ বিশেষত যে সব খাবারে সুগার বেশি সেসব খাবারও বাদ দিন আপনার তালিকা থেকে৷ চকোলেট জাতীয় খাবার বা আইসক্রিম খাবেন না৷
৪. চেয়ারে বসেই কিছু অল্প ব্যায়াম করুন৷ এতে আপনার শরীরে প্রতিদিন একশ’রও বেশি ক্যালোরি পুড়তে পারে৷ চেয়ারে বসেই আপনার পা মাটিতে ঠেকিয়ে রাখুন৷ এবার আপনার শরীরের উর্দ্ধভাগকে একবার একদিকে যতটা সম্ভব ঘোরানোর চেষ্টা করুন৷ আবার বিপরীত দিকেও একই ভাবে ঘোরান আপনার শরীর৷ দিনে অন্তত দশবার করে এই ব্যায়াম করুন চেয়ারে বসে৷
৫. পা মেঝে থেকে অল্প উপরে তুলে রাখুন৷ এবার দুই পায়ের পাতাকে উপর দিকে করে নিজের শরীরের দিকে টেনে রাখুন দশ সেকেন্ড৷ এবার ছেড়ে দিয়ে ঠিক উল্টো দিকে অর্থাৎ শরীরের বাইরের দিকে ঠেলে দিন পায়ের পাতাকে৷ এই ভাবে দশ সেকেন্ড রাখুন৷ এই ব্যায়ামে আপনার ক্যালোরিও ঝড়বে আবার পায়ের ব্যাথাও কম হবে৷

ভালো ঘুমের জন্য কার্যকরী কিছু পরামর্শ

Sunday, July 26, 2015 / No Comments
বেশিরভাগ মানুষেরই কাজের চাপ, রাতে ঘুমানোর সময় নিয়ে অনিয়ম ইত্যাদি কারণে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না।সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে মানসিক চাপ বেশি হয় এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট ভালো ঘুমের জন্য বিছানায় যাওয়ার আগে কিছু বিষয় লক্ষ রাখার পরামর্শ দেয়। ওই বিষয়গুলোই এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল।

ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা
প্রতিদিন ঘুমানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নিলে এবং সেই সময় অনুসারে ঘুমানোর অভ্যাস করা গেলে, ঘুম ভালো হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে ঘুমালে ইনসমনিয়া দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

সারাদিন কর্মক্ষম থাকা
ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজের সঙ্গে জরিত থাকলে রাতে ঘুম ভালো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন তারা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন। তাই সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটালে রাতে ঘুম ভালো হবে।

ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন
চা, কফির মতো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় ভালো ঘুমের অন্তরায়। রাতের খাবারের পরে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় পান করলে ঘুমে ব্যঘাত ঘটতে পারে। কারণ এতে মস্তিষ্ক স্বক্রিয় থাকে। ফলে ঘুম ভালো হয় না। তাই ভালো ঘুমের জন্য ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।

ধূমপান পরিহার করুন
সিগারেটে থাকা নিকোটিন ঘুমে বাধা সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে ঘুমানোর পরও ক্লান্তিভাব রয়েই যায়, সেটি অধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে হয় না।

ঘুমানোর আগে দুধ পান
ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ পান করলে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

গান শোনা
ঘুমানোর আগে মনে প্রশান্তি জাগাবে এমন গান বা সংগীত শোনা যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে রাতে ঘুমানোর আগে গান শুনলে মস্তিষ্ক এবং পেশি শিথীল হয়, ফলে ঘুমও ভালো হয়।

ঘরে বাতাস চলাচল নিশ্চিত করা
ঘর বেশি ঠাণ্ডা বা বেশি গরম হলে ঘুমে সমস্যা হয়। তাই ফ্যান বা এসি, যাই চলুক না কেনো ঘরের তাপমাত্রা সহনশীল হওয়া দরকার।

আলো নিভিয়ে রাখা
আলো মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখে। তাই ঘুমানোর সময় সব আলো নিভিয়ে দেওয়া উচিত। ল্যাপটপ, ফোন, প্যাড ইত্যাদির আলোও ঘুমে ব্যঘাত ঘটায়। তাই ঘুমানোর সময় ইলেকট্রনিক বস্তু দূরে রাখা উচিত। ঘর যত অন্ধকার হবে ঘুমও তত ভালো হবে।

শরীরের উষ্ণতা ঘুমে সহায়ক
ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের উষ্ণতা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। আর এতে ঘুমও ভালো হয়।

নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া
ঘুমাতে যাওয়ার আগেই নিজেকে কিছুটা গুছিয়ে নেওয়া উচিত। প্রথমে পরের দিনের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। এরপর দাঁত মাজা বা গোসল করে নিজেকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করা উচিত। সব শেষে বিছানায় শুয়ে গল্প বই পড়া বা গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে কিছু হালকা ব্যয়াম করা যেতে পারে। এতে ঘুম ভালো হয়।

আরামদায়ক বিছানা
ঘুমানোর জন্য আরামদায়ক বিছানা এবং বালিশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিছানা নিজের জন্য আরামদায়ক কিনা সেদিকে লক্ষ রাখা দরকার।

মাথাব্যাথার সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে দূর করবে ২টি পানীয়!

Sunday, July 19, 2015 / No Comments

দৈনন্দিন জীবনে মাথাব্যাথার সমস্যার মতো যন্ত্রণা আর একটিও নেই। একবার এই মাথাব্যাথার সমস্যা শুরু হলে তা সহজে পিছু ছাড়তে চায় না। আর এই মাথাব্যাথার কারণে সব কাজকর্ম নষ্ট হতে থাকে। কারণ মাথাব্যাথার সমস্যা এমন একটি সমস্যা যা কোনো কাজে মনোযোগ প্রদানে বাধা দেয়। তাই  আজকে জেনে নিন ২ টি খুবই সহজ পদ্ধতি যা তাৎক্ষণিকভাবে মাথাব্যাথার সমস্যা দূর করতে কার্যকরী।

১। ধনে বীজের চা

ধনে গুঁড়ো যে বীজ থেকে হয় সে ধনে বীজ তো দেখেছেন, তাই না? আপনার মাথাব্যাথার জন্য প্রয়োজন এই জিনিসটিই।

যা যা লাগবে
- ১ চা চামচ ধনে বীজ
- আধা চা চামচ চা পাতা
- ২ কাপ পানি

পদ্ধতি :
- ২ কাপ পানি ফুটতে দিন। ফুটে উঠলে এতে ধনে বীজ ছেড়ে দিন এবং আরও ভালো করে ফুটতে দিন।
- যখন ধনে বীজের সুঘ্রাণ পেতে থাকবেন তখন চুলা বন্ধ করে আধা চা চামচ চা পাতা পানিতে ছেড়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
- কয়েক মিনিট এভাবে রেখে ছেঁকে নিন একটি কাপে। এরপর কোনো ধরণের মিষ্টি যোগ না করেই চায়ের মতো পান করে নিন এই পানীয়।
- ১০ মিনিট বিছানায় শুয়ে নিন বা চোখ বন্ধ করে রিল্যাক্স করুন। ব্যস, এর মধ্যেই মাথাব্যাথা দূর হয়ে যাবে।

২। আদা চা

আদা চা খুবই সাধারণ বলে একে অবহেলা করার কোনো কারণ নেই। আদা মাথাব্যাথা সমস্যার সবচাইতে সহজলভ্য এবং প্রাকৃতিক সমাধান।

যা যা লাগবে
- ১ চা চামচ আদা কুচি
- দেড় কাপ পানি
- ১ চা চামচ মধু

পদ্ধতি :

- পানি চুলায় ফুটতে দিন। ভালো করে ফুটে এলে এতে আদা কুচি দিয়ে আরও খানিকক্ষণ ফুটিয়ে নিন। প্র্যজনে একটু ছেঁচে নিন আদা কুচি।
- এরপর কয়েক মিনিট ফুটিয়ে ছেঁকে মধু যোগ করুন। ব্যস, এবার পান করুন এই আদা চা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দূর হয়ে যাবে মাথাব্যাথা।
- যদি এতো ঝামেলা করতে না চান তাহলে কাচা আদা চিবিয়ে খেলেও অনেকটা উপকার পাবেন।

* এই পদ্ধতি যাদের মাথাব্যাথা স্বাভাবিক কারণে হয়ে থাকে তাদের জন্য। মারাত্মক পর্যায়ের মাইগ্রেনের ব্যাথা এবং অন্যান্য অসুস্থতার কারণে মাথাব্যাথার সমস্যায় এই পদ্ধতিগুলো কার্যকরী নাও হতে পারে।

সূত্রঃ দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া

যে ৯টি ভয়াবহ রোগ দূর করে মধু

/ No Comments
রূপে-রঙে মধু যেন তরল সোনা, স্বাদে-গন্ধে সম্মোহনী। তবে, মধুর প্রতি মানুষের আসক্তি কেবল খাওয়ার জন্যই নয়। এর অসাধারণ ঔষধি গুণের বলেই হাজার বছর ধরে পথ্য হিসেবে মধু সমাদৃত। মধুর কার্যকরী ৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা এখানে তুলে ধরা হলো।
আলসার সারায়
সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, পথ্য হিসেবে নিয়মিত মধু সেবনের মধ্য দিয়ে আলসারসহ অন্ত্রের রোগ সারাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগ
মধুতে এমন ফ্ল্যাভোনোয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা কিছু ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। ফলে নিয়মিত মধু পানে ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে।
ব্যাকটেরিয়া নিরোধী
মধু বানানোর প্রক্রিয়ায় মৌমাছি এমন একটা এনজাইম যুক্ত করে যা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরি করে। ফলে মধু সব সময়ই ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক-নিরোধী।
সর্দি-কাশি সারাতে
কেউ নিয়মিত মধু সেবন করলে শরীরে বিশেষ কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বলে সহসা এমন সর্দি-কাশি ঘায়েল করতে পারে না। আর কাউকে সর্দি-কাশি পেয়ে বসলে তা সারিয়ে তুলতে মধুর জুড়ি নেই। নিয়মিত মধু খেলে ঘুমও ভালো হয়।
ক্রীড়া নৈপুণ্য বাড়ায়
প্রাচীন অলিম্পিকের খেলোয়াড়েরা ক্রীড়া নৈপুণ্য বাড়াতে শুকনো ডুমুর ও মধু খেতেন। আধুনিক গবেষকেরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে জেনেছেন, শরীরে গ্লাইকোজেনের মাত্রা ঠিকঠাক রাখা এবং চোট সারিয়ে তুলতে মধুর জুড়ি নেই। আর ক্রীড়াবিদদের জন্য এ দুটোই খুব জরুরি।
আয়ুর্বেদিক মহৌষধ
অন্ততপক্ষে চার হাজার বছর ধরে ভারতীয় উপমহাদেশের চিকিৎসা শাস্ত্রে মধুর নানাবিধ ব্যবহার চালু আছে। দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে, ওজন কমাতে, পুরুষত্বহীনতা সারিয়ে তুলতে, প্রস্রাবে সংক্রমণ সারাতে, হাঁপানি দূর করতেও মধুকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে
ফ্রুকটোজ আর গ্লুকোজের পরিমাণের যথাযথ সমন্বয় রক্তে শর্করার পরিমাণ বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে খুবই প্রয়োজনীয়। মধুতে শর্করা থাকলেও তা সাদা চিনি বা কৃত্রিম চিনির মতো নয়। কিছু মধু রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে।
জখম ও ক্ষত সারাতে
হালকা কাটাছেঁড়ার জখম কিংবা ত্বকের পুড়ে যাওয়া সারাতেও মধু ব্যবহার করেন অনেকে। মধুর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক নিরোধী গুণের কারণেই বাহ্যিকভাবেও এটা ব্যবহার করা যায়।
সুন্দর ত্বকের জন্য
মধুর ব্যাকটেরিয়া নিরোধী গুণের কারণে অনেকে সৌন্দর্য চর্চায় মধু ব্যবহার করেন। অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের যত্নে এটা ব্যবহার করা হয়। সমপরিমাণ মধু ও লেবুর রস খুবই জনপ্রিয় ফেসপ্যাক।

দাঁত সাদা করার ৫টি গোপন টিপস

/ No Comments
five Ways to Whiten Your Teeth Naturally

অনেকে দাঁত সাদা করার জন্য অনেক সময় ডেন্টিস্টের কাছে ছোটেন নতুবা তাৎক্ষণিক পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করে নেন। কিন্তু তাৎক্ষণিক পদ্ধতিগুলো খুব বেশী এবং ঘন ঘন ব্যবহার করলে দাঁতের উপরের এনামেলের স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর চাইতে এক কাজ করুন না, দাঁতগুলোকে চিরকাল ঝকঝকে সাদা রাখতে মেনে চলুন ছোট্ট কিছু টিপস। এই কাজগুলো করলে দাঁতে দাগ পড়া বা হলদেটে ভাব হওয়ার সমস্যা একেবারেই থাকবে না।
১) চা/কফি বা দাগ ফেলে এমন খাবার কম খান
চিরকাল দাঁতের ঝকঝকে সাদা ভাব ধরে রাখতে চাইলে চা/কফি বা এমন খাবার যা দাঁতে দাগ ফেলতে পারে যেমন রঙিন পানীয়, টমেটো সস ইত্যাদি খাওয়া কমিয়ে দিন। বিশেষ করে চা/কফি ২/১ কাপের বেশী খাবেন না, কারণ চা/কফি বেশী খাওয়ার ফলে দাঁতের উপরের এনামেল ধিরে ধিরে ক্ষয় হতে থাকে এবং দাঁত কালচে হয়ে যায়।
২) অতিরিক্ত ব্রাশ করবেন না
অনেকেই দাঁত সাদা করার জন্য ইচ্ছে মতো ব্রাশ ঘষেন এতে বরং দাঁতের ক্ষতিই হয়। দাঁতের এনামেল খয়ে যায়। ফলে দাঁত সাদা তো হয়ই না বরং দাঁতে দাগ পড়ে। তাই ২ মিনিটের বেশী এবং জোরে ঘষে দাঁত ব্রাশ করবেন না একেবারেই।
৩) অ্যাসিডিক খাবার এড়িয়ে চলুন
দাঁত হলদেটে হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত অ্যাসিডিক খাবার খাওয়া। সোডা, লেবুর রস, ক্যান্ডি, ড্রিংকস, টমেটো ইত্যাদি দাঁতের উপরে দাগ ফেলতে সক্ষম। এগুলো কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। লেবুর রস সরাসরি খাবেন না।
৪) শক্ত ক্রাঞ্চি ফল ও সবজি খান
আপেল, গাজর, শসা, পেয়ারা ধরণের কিছুটা শক্ত এবং ক্রাঞ্চি ফল ও সবজি দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। এই ধরণের ফলগুলো জুস না পান করে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৫) চিনি মুক্ত চুইংগাম চিবোন
চুইংগাম চিবোলে মুখে স্যালিভার উৎপাদন বাড়ে যা মুখ ও দাঁত পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। স্যালিভা দাঁত ক্ষয়কারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে এবং দাঁতের এনামেলের ক্ষতি রোধ করে। তাই চিনি মুক্ত চুইংগাম চিবোনোর অভ্যাস করুন।
সূত্রঃ দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া

যে কারণে ছেলেদের চুল পড়ে

Monday, July 13, 2015 / No Comments

চুল নিয়ে আজকাল অনেকেরই ভাবনার অন্ত নেই।  স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সুন্দর চুল সবারই কাম্য। আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সমান ভারী চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল বলা যায়। কিন্তু অনেকেরই চুল পড়ে যায়। তাই প্রথমে আপনাকেউ নির্ণয় করে নিতে হবে কেন আপনার মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে টাক পড়ার সমস্যাটা পুরুষের মাঝেই বেশি। পুরুষের চুল পড়া বা টাক পড়া সাধারণত ২০ বছর থেকেই শুরু হতে পারে। এটিকে বলে মেল প্যাটার্ন অব হেয়ার লস।

ছেলেদের চুলপড়ার কারণ ও করণীয়:

অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন যেমন টেস্টোস্টেরন, অ্যান্ড্রোস্ট্রেনডিয়ন, ডিএইচটি হরমোনগুলো সাধারণত পুরুষের বেশি ও মহিলাদের কম পরিমাণে থাকে। এ হরমোনগুলো হেয়ার ফলিকলের ওপর কাজ করে ও চুল পড়া ত্বরান্বিত করে। সে কারণে পুরুষের চুল বেশি পড়ে। দুশ্চিন্তায় ভুগলে বা মানসিক সমস্যা থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে চুল পড়তে পারে। তবে এ চুল পড়া সাময়িক এবং পুনরায় চুল গজায়। কিন্তু দীর্ঘদিন মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকলে এবং দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক বেশি চুল পড়ে যেতে পারে।

চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন না হলে, অ্যানিমিয়া থাকলে চুল পড়া শুরু হতে পারে। বংশগত সমস্যার কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। হয়তো আপনার দাদা-বাবা-চাচার কিংবা নানা-মামার কারো টাক নেই। কিন্তু আপনার বাবা বা মায়ের মামা-চাচার টাক থাকায় বংশগত কারণে আপনারও টাক পড়তে পারে।

রোগের প্রকোপে মাথার চুল পড়তে পারে। যেমন, অনেকে টাইফয়েড জ্বরে চুল হারিয়েছেন বলে জানা যায়। মাথায় খুশকি ও স্ক্যাল্পের রোগে মাথার চুল পড়তে পারে। অনেক সময় ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং গজানোর জন্য সহায়ক।

কী করণীয়: যে কারণেই চুল পড়ুক না কেন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়াও যে যে বিষয়গুলোর প্রতি আপনার দৃষ্টি দেয়া জরুরি সেগুলো হলো:

১। সুষম খাদ্যে গ্রহণ: প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা চাই প্রচুর শাক-সবজি ও মৌসুমী ফল আর আমিষের মধ্যে দুধ, ডিম, মাছ তো থাকছেই। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন – আমাদের চুল মূলত কেরাটিন দিয়ে গঠিত। এটি অ্যামিনো এসিড দিয়ে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন। তাই নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে।

মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম – আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অন্তত একটি রাখার চেষ্টা করুন। সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন। তবে নন-ভেজিটেরিয়ান খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।

আয়রন আর জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার আপনার মাথার কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে, নতুন টিস্যু তৈরিতে এবং ক্ষয়রোধে সহায়তা করবে। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান। ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খান। ভিটামিন সি

২। পরিমিত ঘুম: ঘুম ঠিক মতো না হলে শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব নয়। তাই ঘুম হতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণের। এছাড়া চুল পড়া রোধে মেডিটেশনও করা যেতে পারে।

৩। চুলের যত্নে প্রসাধনী: সপ্তাহে অন্তত তিন দিন চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে শ্যাম্পু করতে পারেন। তবে শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই তেল দিয়ে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। নাহলে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে।

৪। চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান: সপ্তাহে এক দিন হট অয়েল ম্যাসাজ করুন আর সাথে লেবুর রস দিতে পারলে আরও ভালো। আমলকী, বহেরা, হরিতকী ও মেথি একসাথে গুঁড়ো করে নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। কালোজিরা নতুন চুল গজানোর জন্যে সহায়ক। মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করা আর খাবারে কালোজিরা ব্যবহার খুব ভালো ফল দেয়। মাথায় একরাশ স্বাস্থ্যকর চুল আপনার সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না শুধু, এটি আপনার ব্যক্তিত্বকেও আলাদা মাত্রা দেয়। তাই চুলের যত্ন নিন। সুস্থ থাকুন।

সন্তানকে নিয়েই এক্সারসাইজ করুন

/ No Comments
please-exercise-with-child

কোলে বাচ্চা, তাই ফ্যাট কমানোর সময় নেই? জানেন কি বাচ্চাকে চোখের আড়াল না করেও ওজন কমানো যায়?

নয় নয় করেও প্রেগন্যান্সিতে বেশ ভালোই ওজন বাড়ে। প্রসবের পর সেই ওজন কমার বদলে ফুলে-ফেঁপে ওঠে আরও। ক'জন আর জিমে গিয়ে দৌড়ে-ঝাঁপিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন! যাঁরা পারেন না তাঁরা ভুগতে শুরু করেন মনোকষ্টে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে মনোকষ্টে ভোগার কোনাে কারণ নেই। কারণ প্রেগন্যান্সি ফ্যাট কমাতে জিমও লাগে না, স্পেশাল ডায়েটও লাগে না। একটু সচেতন হলে ঘরের ডাল-ভাত খেয়ে, বাচ্চাকে নিমেষের জন্য চোখের আড়াল না করেও ফিরে পাওয়া যায় আগের ফিগার। যার প্রধান ধাপ হল প্রথম ছ'মাস বাচ্চাকে কেবল বুকের দুধ খাইয়ে যাওয়া। তারপর আরও দেড় বছর অন্যান্য খাবারের সঙ্গেও বুকের দুধ খাওয়ানো।

এতে এতো ক্যালোরি খরচ হয় যে অতিরিক্ত তেল-ঘি-মাখনের হাতছানি এড়িয়ে, কম চর্বিওলা প্রোটিন-ফল-শাক-সবজি-ডাল-ভাত-রুটির সুষম খাবার খেলে ও একটু ব্যায়াম করলেই ওজন কমাতে শুরু করে মৃদুমন্দ গতিতে। কিন্তু সব সময় তা হয় না। 

ওই ব্যায়ামের ব্যাপারটা এড়িয়ে চলেন বলেই হয় না। কারণ অনেকেরই ধারণা, ব্যায়াম করতে গেলে নবজাতকের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে হয় বেশ খানিকটা সময়, যা নতুন মা প্রাণে ধরে করে উঠতে পারেন না। কিন্তু সত্যি বলতে কি, তা পারার দরকারও নেই। কারণ সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে করা যায় এমন ব্যায়ামও আছে যথেষ্ট।

সন্তানের সঙ্গে ব্যায়াম: 
বাচ্চাকে কোলে নিয়ে হাঁটতে বেরোন। ভালো জুতা পরে নিন, যাতে পা স্লিপ না করে। হালকা কিছু খেয়ে নিন। খালিপেটে থাকলে মাথা ঘুরতে পারে। প্রথম দিকে মিনিট ২০ হালকা পায়চারি করুন। অভ্যেস হয়ে গেলে আস্তে আস্তে হাঁটার গতি বাড়াতে পারেন। তবে ব্রিস্ক ওয়াকিং বলতে যা বোঝায়, তা প্রথম দিকে নয়। ভাবছেন, এটুকুতে কী হবে? হবে। 

হার্ট ও লাংয়ের ফিটনেস বাড়বে। বাড়বে মেটাবলিজম, যার হাত ধরে ক্যালোরি ঝড়ার হার বাড়বে। বাচ্চা আপনার সঙ্গ ও প্রকৃতি উপভোগ করবে, সেটা হলো এক্সট্রা পাওনা। এর পাশাপাশি হিপ-থাই ও কাফ মাসলকে শক্তপোক্ত করতে আস্তে আস্তে স্কোয়াটিং শুরু করতে পারেন। ঘরে বাচ্চার পছন্দের মিউজিক চালিয়ে দিন।

চোখের সামনে বেশি কেরিয়ারে রেখে দিন তাকে। এবার শরীরে যতটুকু কুলোয় ঠিক ততটুকু করুন। ব্যাক মাসলে পোক্ত করতে বাচ্চার ঘাড়ের এক হাত ও কোমরের নিচের অংশে এক হাত দিয়ে তাকে বেশ ভালো করে ধরে সোজা দাঁড়িয়ে কোমর ভেঙে হাঁটু সোজা রেখে সামনের দিকে ঝুঁকে যান। এবার বাচ্চাসমেত হাত আস্তে আস্তে নীচে নামান। ওইভাবে থেকে বাচ্চাকে বুকের কাছ বরাবর তুলুন, আবার নামান। এভাবে ১০-১৫ বার করে ৩০ সেকেন্ড রেস্ট নিন। আবার করুন। 

বাচ্চাকে তোলা-নামানোর ব্যাপারটা খুব সাবধানে ও আস্তে আস্তে করবেন। বাচ্চা বিরক্তবোধ করলে তাকে পাশে শুইয়ে, হালকা ওজন নিয়ে করুন। পিঠ থেকে শুরু করে শরীরের নীচের অংশের পেশি মজবুত করতে চার হাত-পায়ে ঘোড়ার মতো পজিশনে থাকুন। বাচ্চাকে শুইয়ে দিন বুকের নীচে। এবার একটা করে পা পিছনের দিকে তুলে খানিকক্ষণ হোল্ড করুন। সাবধানে করবেন। ব্যালেন্স হারিয়ে বাচ্চার উপর পড়ে গেলে কিন্তু খুব বিপদ।

ব্যায়ামের নিয়ম: 

ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নিন। কোন ব্যায়াম করবেন, কতটা করবেন। বিশেষ করে সিজার করে বাচ্চা হলে।

ব্যায়ামের সময় শরীরে কষ্ট হলে, যেমন, পেটব্যথা, মাসলে টান ধরা ইত্যাদি, সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম বন্ধ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

বাচ্চাকে নিয়ে করলে খুব সাবধান, তার যেন আঘাত না লাগে। নরমাল ডেলিভারি হলে এক মাস ও সিজার হলে দেড় মাসের আগে ব্যায়াম নয়।

শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে যে খাবার গুলোর ভূমিকা অপরিসীম

Wednesday, July 8, 2015 / No Comments
শিশুদের লম্বা হওয়ার পিছনে মায়েরা অনেক সচেতন থাকেন । সাধারণত মানুষের উচ্চতার বিষয়টি জেনেটিকাল। অর্থ্যাৎ বংশ পরম্পরার উপর নির্ভর করে। কিন্তু কখনো কখনো পরিমিত পুষ্টিকর খাবার ও সঠিক ব্যায়ামের মাধ্যমেও হাড়ের তথা শরীরের বৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। মানুষের শরীর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় তার পরে আর হয় না। তাই উচ্চতা বৃদ্ধি করার জন্য যা করার তা ওই সময়ের মধ্যেই করতে হবে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এমন কিছু খাবারের কথা বলেছেন যা শিশুদের খাওয়ালে ছোট বেলা থেকেই তাদের হাড় শক্তিশালী হবে ও বৃদ্ধি প্রাপ্ত হবে। আসুন জেনে নিই উচ্চতা বৃদ্ধি করবে এমন কিছু খাবারের সম্পর্কে:
১। দুধ:
দুধ একটু উচ্চ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। এটি শিশুদের হাড় গঠন করে ও তা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। দুধের ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম শরীরের ক্ষয় রোধ করে আপনার সন্তানের শরীরের কোষের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে, এটি প্রোটিন এর একটি খুব ভাল উৎস। প্রতিদিন দুধ পান করলে শিশুর উচ্চতা অনেকখানি বেড়ে যাবে।
২। তাজা ফলমূল ও শাকসবজি:
তাজা ফল ও শাকসবজি সবচেয়ে দ্রুত শিশুর বৃদ্ধি ঘটায়। এতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন, পটাশিয়াম এবং ফলেটস যা শিশুর হাড় উন্নয়নে সহায়তা করবে। ভিটামিন এ আপনার সন্তানের হাড় এবং টিস্যু উন্নয়নে সাহায্য করবে। ভিটামিন এর ভালো কিছু উৎস হচ্ছে পেঁপে, গাজর, ফুলকপি, শাক, মিষ্টি আলু, আম, এবং তরমুজ ইত্যাদি।
৩। শস্যদানা:
শস্য শক্তির ভাণ্ডার। তারা ফাইবার, ভিটামিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম এর একটি খুব ভাল উৎস। শস্য আপনার সন্তানের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি ঘটাবে। গুরুত্বপূর্ণ যে ক্যালোরি সমৃদ্ধ শস্য গুলো হচ্ছে, বাদামী চাল, গোটা শস্য, ভুট্টা এবং গমের ফুড। এগুলো আপনার সন্তানের উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
৪। ওটমিল:
ওটমিল সন্তান-সন্ততির উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য একটি অলৌকিক খাদ্য। এটা উদ্ভিদ প্রোটিন এর একটি খুব ভাল উৎস এবং পেশী বৃদ্ধি এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
৫। ডিম:
ডিমে প্রোটিন এবং ভিটামিন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এর ফলে শরীরের বৃদ্ধি হয়ে থাকে এবং লম্বা হয়।
৬। আভাকাডো:
আভাকাডো দেহে বিভিন্ন পুষ্টি সরবরাহ করে। দুপুরে খাবারের সময় অর্ধেকটা আভাকাডো খেলে তা লম্বা হতে সহায়তা করে।
৭। স্যুপ:
স্যুপ স্বাস্থ্য উপযোগী একটি খাবার। স্যুপে রয়েছে ক্যালরি, যা খিদে বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ কোষের বৃদ্ধি ঘটায়। যা লম্বা হতে সহায়তা করে।
৮। ডার্ক চকোলেট:
ডার্ক চকোলেট বাচ্চাদের লম্বা করতে সহায়তা করে। এতে থাকা ক্যালরি কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ফলে বাচ্চারা লম্বা হয়ে ওঠে। -সূত্র: মমজাংশন। 

যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন আপনার মাইগ্রেন হয়েছে

Sunday, July 5, 2015 / No Comments



বেশিরভাগ লোকেরই মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে। বলতে গেলে এটিও একটি কমন রোগ। কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো মাথাব্যথা। এ ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিন, আপনার যদি মাইগ্রেন আছে এমন সন্দেহ থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এর কিছু লক্ষণ নিচে দেয়া হল.....
১. বিরক্তি, আনন্দ ও হতাশা
মাইগ্রেনের একটি লক্ষণ হলো মুড খুবই ওঠানামা করা। কিছু রোগীকে হঠাৎ করে বিরক্তি কিংবা হতাশায় নিমজ্জিত হতে দেখা যায়। এ ছাড়া কোনো কারণ ছাড়াই এ মুড ওঠানামা করতে পারে।

২. আরামদায়ক ঘুমের অভাব
মাইগ্রেনের রোগীরা নিয়মিত ঘুমের সমস্যায় ভোগে। ঘুমের মধ্যে জেগে ওঠা অনেকেরই নিয়মিত বিষয় হয়ে ওঠে। এ ছাড়া অনেক রোগীর ঘুম আসতেও সমস্যা হয়।

৩. মাথাব্যথা
মাথার এক পাশ কিংবা উভয় পাশেই ব্যথা হতে পারে মাইগ্রেনের ফলে। অনেকের মাথা দপদপ করে এবং কখনো কখনো তা সহ্য করা কঠিন হয়ে ওঠে।

৪. শব্দ, গন্ধ ও আলোতে মাথাব্যথায় পার্থক্য
মাইগ্রেন রোগীদের মাথাব্যথায় পরিবর্তন হয় নানা প্রভাবকের কারণে। এসবের মধ্যে রয়েছে শব্দ, আলো ও গন্ধ। বিশেষ করে উজ্জ্বল আলো ও জোরালো শব্দ মাইগ্রেনের মাথাব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।

. অনুভূতিহীনতা কিংবা পিন ফোটানোর অনুভূতি
মাইগ্রেনের ব্যথায় অনেক সময় দেহে অনুভূতিহীনতা কিংবা একসঙ্গে হাজার পিন ফোটানোর অনুভূতি হতে পারে। এ অনুভূতি অনেক সময় দেহের এক পাশ থেকে অন্য পাশে স্থানান্তর হয়। প্রায়ই তা আঙুলের ডগায় শুরু হয়ে বাহু দিয়ে মুখ পর্যন্ত পৌঁছায়।

--টাইমস অব ইন্ডিয়া 

শিশুর প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে করণীয়

/ No Comments
what-to-do-when-the-baby-urinary-infections

আমাদের শরীরে কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ও পানি শুঁষে নিয়ে ইউরিন তৈরি করে। প্রতিদিন এই ইউরিন আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে গিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিডনি থেকে বেরিয়ে ইউরিন এক সরু টিউবের মধ্য দিয়ে গিয়ে ইউরিনারি ব্লাডারে জমা হয়। বাচ্চার বয়সের ওপর নির্ভর করে কতটা ইউরিন ব্লাডারে জমা থাকবে।

এরপর ব্লাডার থেকে জমা ইউরিন ইউরেথ্রার মধ্য দিয়ে গিয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ইউরিনারি ট্র্যাক্টে এমনিতে কোনো ব্যাকটেরিয়া থাকে না। কোনো কারণে ব্যাকটেরিয়া ব্লাডারে ঢুকে গেলে ইউরিনারি ট্র্যাক্টে ইনফেকশন হতে পারে। ব্লাডার ফুলে যায়, পেটের নিম্নাংশে যন্ত্রণা হতে পারে।

যদি ব্যাকটেরিয়া কোনোভাবে কিডনি পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তাহলে কিডনিতেও ইনফেকশন হতে পারে। সাধারণত অ্যানাস বা ভ্যাজাইনার আশপাশে এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। কোনো কারণবশত যদি ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ঠিকমতো কাজ না করতে পারে তাহলে ব্যাকটেরিয়া ইউরিনারি ট্র্যাক্টে ঢুকে যায়। ফলে ইনফেকশন হতে পারে।

* কিছু বাচ্চার মধ্যে জন্ম থেকেই ভেসিকোইউরেটেরাল রিফ্লাক্স বলে এক ধরনের সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যায় ইউরিন ব্লাডার থেকে বেরিয়ে ইউরেটার হয়ে আবার কিডনিতে পৌঁছে যায়। ফলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকটেড হয়ে পড়ে।

* মায়েলোমেনিঙ্গোসিল, হাইড্রোসেফালসের মতো ব্রেন বা নার্ভাস সিস্টেমের অসুখ থাকলে ব্লাডার পুরোপুরি খালি হতে পারে না। স্পাইনাল কর্ডে চোট লাগলেও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। এর থেকে ইউরিনারি ট্র্যাক্টে ইনফেকশন হয়।

* জন্ম থেকেই যদি ইউরিনারি ট্র্যাক্টের গঠনে কোনো ত্রুটি থাকে, তাহলে ব্যাকটেরিয়া সহজেই ইউরিনারি ট্র্যাক্টকে ইনফেক্টেড করে দিতে পারে।

* বাচ্চার যদি বাথরুম যেতে অনীহা থাকে, বাথরুম যাওয়ার পর যদি কেউ নিজেকে ঠিকমতো পরিষ্কার না করে, তাহলে ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

উপসর্গ :

ইউরিনারি ট্র্যাক্টে ইনফেকশন হলে ব্লাডার ইউরেথ্রা, ইউরেটার ও কিডনিতে অস্বস্তি (ইরিটেশন) হয়। ঠিক যেমন ঠাণ্ডা লাগার পর নাক ও গলায় ইরিটেশন হয়। যেহেতু বাচ্চারা সব সময় বলে বোঝাতে পারে না, তাই বাচ্চার ব্যবহারে যদি হঠাৎ পরিবর্তন দেখেন, তাহলে বুঝবেন যে বাচ্চার শরীরে কোনো অস্বস্তি হয়ে থাকতে পারে। ইউটিআই হলে সাধারণত কিছু বিশেষ উপসর্গ দেখা যায়-

জ্বর হতে পারে, বাচ্চা অকারণে বিরক্তি প্রকাশ করে, খেতে চায় না, বমি করে। ইউরিনে দুর্গন্ধ হতে পারে। বারবার বাথরুম যেতে হয়। বাথরুম করার সময় ব্যথা হতে পারে বা জ্বালা করতে পারে। তলপেটে বা পিঠের নিম্নাংশে ব্যথা হয়। অনেক সময় ইউরিনে রক্ত বেরোতে পারে। টয়লেট ট্রেনিং থাকলেও বাচ্চা ইউরিন কন্ট্রোল করতে পারে না, অনেক সময়ই বিছানা ভিজিয়ে ফেলে।

যদি কোনোভাবে কিডনিতে ইনফেকশন ছড়িয়ে যায় তাহলে- * বাচ্চার কাঁপুনি হতে পারে।* খুব বেশি জ্বর আসে।* ত্বক লাল হয়ে যায়।* মাথা ঘোরে, বমি হয়।* পাঁজরে ব্যথা হতে পারে।

প্রতিকার :

* বাচ্চাকে বেশি বাবল বাথ করতে দেবেন না। ঢিলেঢালা অন্তর্বাস ও জামাকাপড় পরা ভালো।
* বাচ্চা যাতে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করে, সে দিকে নজর দেবেন।
* বাচ্চাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার গুরুত্ব বোঝান। বাথরুম করার পর জেনিটাল পরিষ্কার করা জরুরি।
* বাচ্চাকে দিনে একাধিকবার বাথরুম যাওয়া শেখান।

রোগ নির্ণয় :

* ইউরিনের স্যাম্পল টেস্ট করা হয়।
* কেন ইনফেকশন হয়েছে বা কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা দেখার জন্য কিডনির আল্ট্রাসাউন্ড করা হয়। এছাড়া ইউরিনেশনের সময় বিশেষ পদ্ধতি দ্বারা এক্স-রে করা হয়।
* বাচ্চার মেডিকেল হিস্ট্রি নেয়া হয়। ডাক্তাররা জানতে চান বাচ্চার বয়স কত, আগে কখনও ইনফেকশন হয়েছে কিনা, ইনফেকশন কতটা জটিল, বাচ্চার আর কোনো অসুখ আছে কিনা, স্পাইনাল কর্ড বা ইউরিনারি ট্র্যাক্টে কোনো সমস্যা আছে কিনা। এর ওপর নির্ভর করে ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেন যে, চিকিৎসার ধরন ঠিক কী রকম হবে।

চিকিৎসা :

প্রথমেই বাচ্চাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয় যাতে ইনফেকশন কিডনি পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে। একদম ছোট বাচ্চাদের হসপিটালে ভর্তি করে ইনজেকশনের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়। বড় বাচ্চাদের অবশ্য ওষুধ খেতে দেয়া হয়। ইনফেকশন কতটা জটিল তার ওপর নির্ভর করে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। ইউটিআই হলে বাচ্চাকে প্রচুর পানীয় পান করার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।

জিরা পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা

/ No Comments



ক্ষুধাবর্ধক হিসেবে জিরা পানির জুড়ি নেই। অধিকাংশ হোটেল বা রেস্টুরেন্টে ওয়েলকাম ড্রিংক হিসেবে জিরা পানি দেয়া হয়ে থাকে। তবে শুধু ক্ষুধাবর্ধনই নয়, দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ও রোগ ব্যাধি প্রতিরোধে জিরা পানি অনন্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

জিরা পানি যেভাবে তৈরি করবেন-

    গুড়- ৪ টেবিল চামচ
    চিনি- ৪ টেবিল চামচ
    পানি- ২ কাপ
    লেবুর রস- ৪ চা চামচ
    তেঁতুলের রস- ৪ চা চামচ
    ভাজা জিরা গুঁড়া- ১ চা চামচ
    বিট লবণ- ১/৪ চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালীঃ

১। একটি ছোট সসপ্যান নিন। এবার এতে ১ কাপ পানি, গুড় ও চিনি দিয়ে গরম করুন। চিনি না গলে যাওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন ও সিরাপ তৈরি করে নিন।

২। একটি বড় পাত্রে বা জগে তেঁতুলের রস, সিরাপ ও অবশিষ্ট পানি নিয়ে নাড়ুন।

৩। এবার পানিতে জিরার গুঁড়া ও বিট লবণ দিন। সকল উপকরণের সুগন্ধ মিশে যাওয়ার জন্য ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

৪। সব শেষে বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন।

ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে
জিরায় থাইমল, ডিথাইমোকুইনন, থাইমোহাইড্রোকুইনন নামক অ্যান্টিকারসিনোজেনিক উপাদান এবং ইউজিনল ও লিমনিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ফলে জিরা পানি কোলন, পাকস্থলী, লিভার এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি
থাইমল এবং এসেনশিয়াল অয়েল লালাগ্রন্থির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। খাওয়ার শুরুতে তাই জিরা পানি হতে পারে আপনার হজমের সহায়ক।

কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করে
আঁশজাতীয় হওয়ায় এরা এনজাইম নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়ে গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের কাজ সবল করে। জিরার গুঁড়া প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ হিসেবে খ্যাত। জিরা পানি এতই শক্তিশালী ল্যাক্সেটিভ যে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এটা পাইলস রোগ নির্মূল করতেও সক্ষম।

হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণ
প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এরা শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য জিরা পানি অমৃতস্বরূপ। নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস জিরা পানি পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ঠাণ্ডা এবং অ্যাজমা থেকে মুক্তি
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় জিরা পানি ঠাণ্ডা এবং অ্যাজমা রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। পানিতে জিরা এবং সামান্য আদা মিশিয়ে গরম করে অল্প অল্প করে পান করলে ঠাণ্ডা এবং অ্যাজমা থেকে প্রশস্তি পাওয়া যায়।

রক্তশূন্যতা
১০০ গ্রাম জিরাতে ১১.৭ মিলিগ্রাম লৌহ থাকে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধির প্রধান উপাদান এই লৌহ। ফলে নিয়মিত জিরা পানি পান করলে রক্তশূন্যতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী
গর্ভবতী মায়েদের গর্ভধারণের সময় ন্যশিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য জাতীয় সমস্যা দেখা যায়। জিরা পানি এই সকল সমস্যার সাথে সাথে সন্তান প্রসবের নিরাপত্তা এবং ল্যাক্টেশনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। গর্ভবতী মায়ের জন্য জিরা মধু বা পানির সাথে মিশিয়ে দিনে অন্তত ২ বার পান করা ভাল।

ইনসোমনিয়া
জিরার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মেলাটোনিন থাকে। কলার সাথে জিরা খেলে মস্তিস্কে উপকারী ক্যামিকেলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় যার ফলে আপনি ইনসোমনিয়া রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। প্রত্যেক রাতে ঘুমানোর আগে পাকা কলার উপর জিরা গুঁড়া ছিটিয়ে খাবেন।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
জিরাতে রিবোফ্লেভিন, জেক্সাথিন, ভিটামিন বি ৬, নিয়াছিন এবং আরো অনেক মিনারেল থাকে যা আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদে এমনেশিয়া রোগের চিকিৎসা করতে প্রায়ই জিরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে হলে জিরা ভাজা চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়া ভাল।

সতর্কতা
নিয়মিত জিরা পানি পান করার আগে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।