সাম্প্রতিক শিরোনাম

Menu

Browsing "Older Posts"

আপনি "shortcut" বিভাগ ব্রাউজ করছেন

ঘর থেকে ইঁদুরের উপদ্রব দূর করুন ৪টি কৌশলে

Sunday, July 19, 2015 / No Comments
how to remove rats from home

ঘরে ইঁদুরের উপদ্রব খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা। শুধু ভুক্তভোগীরাই এ সমস্যা সম্পর্কে জানেন। ইঁদুরের একমাত্র কাজ হলো কাপড়চোপড়, বইপত্র কেটে কুচিকুচি করা। ইঁদুরের উপদ্রব একবার হলে একেবারে নির্মূল না করা পর্যন্ত এই যন্ত্রণার শেষ হবে না।  এছাড়াও ইঁদুরের কারণে নানা রোগ বালাই ঘরে লেগেই থাকে। ইঁদুরের বিষ দিলেও অনেক সময় কাজ হয় না। এছাড়াও অনেকের ঘরে শিশু থাকে বলে বিষ দেয়া নিরাপদ নয়। তাই ঘরের সামান্য টুকটাক জিনিস দিয়েই ইঁদুরের উপদ্রব থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজে। তাহলে জেনে নিন যাক ইঁদুর তাড়ানোর উপায়গুলো।
১) পেঁয়াজের ব্যবহার : পেঁয়াজের অনেক গুণের মধ্যে আরো একটি অসাধারন গুণ হচ্ছে পেঁয়াজ দিয়ে খুব সহজেই ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পেঁয়াজের উপাদান ইঁদুর হজম করতে পারে না। কিন্তু ইঁদুর খুব সহজেই পেঁয়াজে কামড় দিয়ে বসে। ইঁদুর যেখানে রয়েছে বলে মনে করছেন সে সকল স্থানে পেঁয়াজ টুকরো করে রেখে দিন। কিছুদিনের মধ্যেই ইঁদুর আর দেখতে পবেন না ঘরে।
২) তেজপাতার ব্যবহার : তেজপাতা খুবই উপকারী একটি মসলা যা প্রত্যেকের ঘরেই রয়েছে। এই উপকারী মসলাটিও ইঁদুর থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন অনায়েসেই। তেজপাতাকে ইঁদুরেরা নিজেদের খাবার মনে করে। কিন্তু তেজপাতা খাওয়ার পর তারা এটি হজম করতে পারে না একেবারেই। তেজপাতা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে রাখুন উপদ্রবের স্থানগুলোতে কিছুদিনের মধ্যেই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।
৩) গোল মরিচের ব্যবহার: গোলমরিচের গন্ধ ইঁদুর একেবারেই সহ্য করতে পারে না। গোলমরিচের পানজেন্ট ধরনের ঘ্রাণ অর্থাৎ ঝাঁজ পূর্ণ ঘ্রাণ ইঁদুরের ফুসফুসে গেলে শ্বাস নিতে পারে না ইঁদুর। আর একারণে খুব সহজেই মারা পড়ে। যে সকল স্থানে ইঁদুরের উপদ্রব বেশী বা ইঁদুরের আবাস রয়েছে মনে করছেন সে সকল স্থানে গোলমরিচ গুঁড়ো করে ছড়িয়ে রাখুন। ইঁদুরের বংশ নির্বংশ করতে পারেবন খুজ সহজেই।
৪) পিপারমিন্ট অয়েল : ইঁদুর পুদিনাপাতার গন্ধ সহ্য করতে পারে না, সেই সঙ্গে পিপারমিন্ট অয়েলও অনেক কার্যকরী। এগুলোর গন্ধ ইঁদুর একেবারেই সহ্য করতে পারে না। ঘরে পিপারমিন্ট অয়েল একটি তুলোর বলে লাগিয়ে ইঁদুরের উপদ্রবের স্থানে রাখলে বা ঘরে এমনিতেই ছড়িয়ে রাখলে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। যদি ঘরে পিপারমিন্ট অয়েল না থাকে তাহলে, পুদিনা পাতা ছেঁচে অলিভ অয়েলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন এবং ঠাণ্ডা করে ব্যবহার করতে পারেন।

শুধুমাত্র টুথপেস্ট দিয়ে দৈনন্দিন ৮টি সমস্যার সমাধান

/ No Comments
solve-your-eight-daily-problem-by-using-toothpaste
টুথপেস্ট দিয়ে আপনি কি কি করতে পারেন? প্রশ্নটি শুনে অনেকেই হয়তো অবাক হয়ে উত্তর দেবেন, টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজা ছাড়া আর কি করা যেতে পারে? কিন্তু শুধুমাত্র এই টুথপেস্ট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশ কিছু সমস্যার সহজ সমাধান করে দিতে পারে। ভাবছেন টুথপেস্ট দিয়ে কি করা যাবে? তাহলে জেনে নিন টুথপেস্টের দারুণ কিছু ব্যবহার যা দূর করবে দৈনন্দিন কিছু সমস্যা।
হাতের দুর্গন্ধ দূর করতে :
পেঁয়াজ, রসুন কিংবা মাছ কাটার পর হাত দুর্গন্ধ হয়ে যায়। ভালো করে সাবান দিয়ে ধুলেও গন্ধ যায় না। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হাতে টুথপেস্ট মাখিয়ে নিন ভালো করে। এবং সাবানের মতোই ব্যবহার করে হাত ধুয়ে নিন। দেখবেন ম্যাজিকের মতো হাতের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
কাঠের আসবাব থেকে মার্কারের দাগ তুলতে :
পার্মানেন্ট মার্কারের দাগ তোলার মতো কঠিন কিছুই নেই। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত দাগ লেগে গেলে তা তোলা অনেক ঝামেলার। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান করতে পারে টুথপেস্ট। দাগের উপরে টুথপেস্ট ভালো করে লাগিয়ে ঘষে নিন। শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড দিয়ে ঘষে তুলে নিন এবং শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। ব্যস, সমস্যার সমাধান।
সাদা জুতো চকচকে করতে :
অনেকেই শখ করে সাদা জুতো পরেন, আবার অনেকের পছন্দ সাদা লাইনিং দেয়া স্নিকার্স। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সাদা জুতো বা স্নিকার্সের লাইনিং কিছুদিনের মধ্যেই ময়লায় কালচে হয়ে যায়। এক কাজ করুন। একটি ব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে টুথপেস্ট ঘষে নিন সাদা অংশে। ব্যস, একেবারেই নতুনের মতো সাদা হয়ে যাবে।
কাপড়ের দাগ তুলতে :
অনেক সময় কাপড়ের দাগ জেদি হয়ে বসে যায় যা কোনো ডিটারজেন্ট দিয়ে তোলা যায় না। এই সমস্যার সমাধানও করতে পারে টুথপেস্ট। দাগের উপরে পুরু করে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে ভেজা একটি ব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে ঘষে তুলে নিন। এরপর কাপড় ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন দাগ গায়েব।
ইস্ত্রি পরিষ্কার করতে :
দীর্ঘদিনের ব্যবহার এবং কাপর পুড়ে গেলে ইস্ত্রি নোংরা হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে টুথপেস্ট। পুরো ইস্ত্রিতে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিয়ে একটি ভেজা কাপড় দিয়ে ঘষে নিন। চকচকে পরিষ্কার হয়ে যাবে ইস্ত্রি।
নখের হলদেটে ভাব ও ময়লা দূর করতে :
নখ হলদেটে হয় থাকলে এবং ময়লা দেখালে একটু বিশ্রীই লাগে। কিন্তু নখের এই হলদেটে ভাবও নিমেষে দূর করে দিতে পারে টুথপেস্ট। নখে টুথপেস্ট লাগিয়ে একটি ব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষে নখ পরিষ্কার করে নিন। দারুন ফল পাবেন।
পুরনো সিডির স্ক্র্যাচ দূর করতে :
পুরনো সিডিতে স্ক্র্যাচ পড়া থাকলে সিডি চালানো সম্ভব হয় না। এই সমস্যার সমাধান করতে টুথপেস্ট ঘষে নিন সিডিতে স্ক্র্যাচ অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। এমনকি মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের ছোট স্ক্র্যাচ, বাথরুমের কাচ ও গ্লাস, সানগ্লাসের দাগও দূর করতে পারেন একই পদ্ধতিতে।
ব্রণ দূর করতে :
ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন? একরাতের মধ্যেই ব্রনের লালচে ও ফোলাভাব দূর করে দিতে ব্রণের উপরে রাতে একটু টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। সকালে উঠে দেখুন ম্যাজিক।

ঘরে প্রচণ্ড মাছির উপদ্রব? জেনে নিন দূর করার ৩টি সহজ উপায়

Friday, July 3, 2015 / No Comments

বর্ষাকাল এলেই মাছির উপদ্রব বেড়ে যায়। এই মৌসুমে মাছি একটা বড় যন্ত্রণার নাম। এক তলা হোক বা ১০ তলা, মাছির উপদ্রব থেকে রেহাই পান না কেউ-ই। মাছি বহন করে অসংখ্য রোগের জীবাণু, যা কোনভাবে আপনার খাবার বা পানিতে লাগলেই মারাত্মক সব অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। খাবার না হয় ঢেকে রাখলেন, কিন্তু মাছি ছোট শিশুদের শরীরেও বসে যার পরিনাম শিশুদের অসুস্থতা।
মাছির যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া আসলে বেশ ঝামেলারই বটে। সারাক্ষণ দরজা জানালা বন্ধ করে বাঁচা যায় না। অন্যদিকে কীটনাশক ওষুধ স্প্রে করাও একেবারেই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। তাহলে কী করবেন? আজ জেনে নিন ৩টি দারুণ উপায়। এই পদ্ধতিতে পরিবারের কারো স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করেই মাছিকে ভাগিয়ে দিতে পারবেন আপনি!
পদ্ধতি-১
-এই কাজে প্রয়োজন হবে কেবল একটি পাটের দড়ি!
-এক টুকরো পাটের দড়ি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
-ভালো মত ভিজে গেলে পানি নিংড়ে নিন। এমন ভাবে যেন পানি পড়ে আপনার ঘর নোংরা না হয়, কিন্তু দড়িটি ভেজা থাকে।
-এবার এমন ভেজা দড়ি ঘরের দরজা বা জানালায় বেঁধে দিন। যেসব ঘরে মাছির উপদ্রব বেশি, সেসব স্থানে বেশী করে দিতে পারেন। এইভেজা পাটের দড়ি মাছিকে অতি আকর্ষণ করবে যে সে দড়িতেই গিয়ে বসবে, আপনার খাবারে নয়। জানালায় বেঁধে রাখলে ঘরে ঢোকার মুখেই বাঁধা পাবে, দড়িতে আকর্ষণ খুঁজে পেয়ে আর ঘরে প্রবেশ করবে না।
-দড়ি শুকিয়ে গেলে ভিজিয়ে দিতে ভুলবেন না।
পদ্ধতি-২
মাছিরা লবঙ্গের গন্ধ পছন্দ করে না। ভালো মানের লবঙ্গ (যেগুলো থেকে নির্যাস বের করে নেয়া হয়নি) একটু থেঁতো করে আপনার ডাইনিং টেবিলে রাখুন। মাছি কাছে ঘেঁষবে না।
পদ্ধতি-৩
মাছি পুদিনা খুবই অপছন্দ করে। রান্নাঘর বা খাবার টেবিলে টব সহ পুদিনার গাছ রাখুন, মাছি থাকবে দূরে।

মাত্র ২ মিনিটে বন্ধ করুন যন্ত্রণাদায়ক হেঁচকি!

Monday, June 29, 2015 / No Comments
how to stop hiccups
হেঁচকি ওঠা সব চাইতে যন্ত্রণাদায়ক একটি ব্যাপার। আর হেঁচকি শুরু হলে যদি বন্ধ না হয় তাহলে তা হয় আরও যন্ত্রণা ও অস্বস্তির ব্যাপার। হেঁচকির আওয়াজ আশেপাশের অন্য মানুষের জন্য বেশ বিরক্তিকর ও অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় আর নিজের কাছে তো যন্ত্রণারই।
যতক্ষণ পর্যন্ত হেঁচকি বন্ধ না হয় প্রকৃতপক্ষে কিছুই করা সম্ভব হয় না। কাজ করার সুযোগই থাকে না। তাই আজ আপনাদের জন্য রইল হেঁচকি উঠা বন্ধের খুব কার্যকরী কিছু কাজ।
আসুন জেনে নিই মাত্র ২ মিনিটে হেঁচকি ওঠা বন্ধ করার উপায়:
খানিকক্ষণ দম বন্ধ রাখুন: হেঁচকি উঠা শুরু হলে খুব জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে দম বন্ধ করে রাখুন ১০-১৫ সেকেন্ডের মতো। এভাবে ৩/৪ বার করুন। দেখবেন হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রথম দফায় বন্ধ না হলে মিনিট ৫ পাঁচেক পর আবার একইভাবে চেষ্টা করুন। হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।
পলিথিন ব্যবহার করুন: খুব হেঁচকি উঠছে। কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। এর কারণ হচ্ছে রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে যাওয়া। রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে গেলেই হেঁচকি ওঠা শুরু হয়। একটি কাগজ অথবা পলিথিনের ব্যাগ মুখের সামনে নিয়ে এসে ওর মধ্যে মুখটা ঢুকিয়ে নিঃশ্বাস নিন ও ছাড়ুন।
এতে আপনার রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাবে। যখন রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ঠিক হবে তখন আপনাআপনিই আপনার হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে।
খুব ঠান্ডা পানি পান করুন: একটি গ্লাসে খুব ঠান্ডা পানি নিয়ে থুতনি উঁচু করে অল্প অল্প করে চুমুক দিতে থাকুন। ২ মিনিটের মধ্যেই হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে যাবে। তবে পানি অনেক বেশি ঠান্ডা হতে হবে।
হাঁটু ভাঁজ করুন: হাঁটু ভাঁজ করে নিয়ে বুকের কাছে শক্ত করে দুহাত জড়িয়ে ধরে রাখুন। বড় বড় নিঃশ্বাস নিন ও ছাড়ুন। দ্রুত হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে যাবে।
ভিনেগার ব্যবহার করুন: ভিনেগার একটি ভালো জিনিস হেঁচকি ওঠা বন্ধের। হেঁচকির সমস্যা থেকে মুক্তি চাইলে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মুখের ভেতর দিয়ে রাখুন। দেখবেন হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে মুখে গন্ধ হয় বলে এই কাজটি কেউ সহসা করতে চান না।
নাক টিপে ঢোক গিলুন: একহাতে নাক টিপে ধরে ঢোক গিলুন। এভাবে ঢোক গিলতে থাকুন ৩০ সেকেন্ড পর পর। দু মিনিটেই হেঁচকি উঠা বন্ধ হবে।

অতিরিক্ত পাকা কলাটিকে করুন নতুনের মতো তরতাজা

Sunday, June 21, 2015 / No Comments
অনেকেরই পছন্দের ফলগুলোর মধ্যে কলা অন্যতম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কলা ঘরে বেশীদিন কিনে রাখা যায় না। কারণ কলা দুই দিনের মধ্যেই অতিরিক্ত পেকে একেবারেই কালচে হয়ে যায় খোসা। অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলা পরবর্তীতে কেউই খেতে চান না। অনেকে এই অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলা অন্যান্য খাবারে ব্যবহার করেন অথবা ফেলেও দেন। কিন্তু আজ থেকে দুটোর কোনটাই করতে হবে না। কলা অতিরিক্ত পেকে গেলেও খুব সহজ উপায়ে একেবারে নতুনের মতো তরতাজা করে ফেলতে পারবেন।

মনে করছেন এটা আবার সম্ভব কি করে! বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক ছোট্ট একটি ভিডিও। নিজের চোখেই দেখে শিখে নিন জাদুকরী খুবই সহজ এই পদ্ধতিটি।

যা যা লাগবে :
- অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কালচে ধরনের কলা
- একটি জিপলক ব্যাগ
- ১ ব্যাগ চাল
- ১ টি হেয়ার ড্রায়ার

পদ্ধতি :

- প্রথমে অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলাটি একটি চাল ভর্তি জিপলক ব্যাগের ভেতরে ঢুকিয়ে নিন।

- লক্ষ্য রাখবেন ব্যাগের ভেতরে যেন বাতাস না থাকে। যতোটা সম্ভব বাতাস বের করে ব্যাগের মুখ বন্ধ করে নিন।

- এরপর এই ব্যাগ রেখে দিন ১ ঘণ্টা। এতে কলার বাড়তি ময়েশ্চারেজার শুষে নিবে।

- এরপর একটি হেয়ার ড্রায়ার ওয়ার্ম পয়েন্টে সেট করে গরম বাতাস কলাটিতে দিতে থাকুন। এবং দেখুন ম্যাজিক। একেবারেই জাদুমন্ত্রের মতো কলার গায়ের কালচে ভাব দূর হয়ে নতুনের মতো হলদে রঙ চলে আসবে।

- এভাবে পুরো কলাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গরম বাতাস লাগিয়ে কলার গায়ের দাগ দূর করে ফেলুন। এরপর কলা ছিলে একেবারে নতুনের মতো তরতাজা কলার স্বাদ নিন।

- এভাবে বেশ কয়েকটি অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলাও একেবারে তরতাজা করে ফেলতে পারেন নিমেষেই। নিজেই চেষ্টা করে দেখুন একবার।

বৃষ্টির স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ঘর থেকে দূর করে দিন সহজেই

Saturday, June 20, 2015 / No Comments

একটু দেরিতে হলেও শুরু হয়ে গেলো বর্ষা। গত ২ দিনের টানা বৃষ্টিতে গরমের যন্ত্রণা কমলেও আরেকটি যন্ত্রণা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, আর তা হচ্ছে টানা বৃষ্টিয় ফলে ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ। বৃষ্টি ও বৃষ্টির গন্ধ ভালো লাগলেও টানা বৃষ্টির এই গন্ধ ও স্যাঁতস্যাঁতে ভাবের যন্ত্রণা নিশ্চয়ই ভালো লাগে না। তবে চিন্তা করবেন না। খুব সহজেই বৃষ্টির স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও গন্ধ দূর করে দিতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক কৌশলগুলো।

১) লেবুর রসের ব্যবহার

লেবুর রসের অ্যাসিডিক ফরমেশন ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস জনিত স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও গন্ধ দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ২:১ অনুপাতে লেবুর রস ও পানি মিশিয়ে যেসকল স্থানে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও গন্ধ বেশি হয় সে স্থান মুছে নিন ভালো করে। আর তাজা লেবুর রস ঘরের কোণে স্প্রে করে দিলে গন্ধও দূর হয়ে যাবে নিমেষেই।

২) ভিনেগারের ব্যবহার

স্যাঁতস্যাঁতে ভাবের মূল কারণ হচ্ছে টানা বৃষ্টিতে অনেকটা সময় ধরে ভেজা থাকা স্থান ও ভেজা থাকার ফলে সেই স্থানে ফাঙ্গাসের উৎপত্তি। আর এই সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করতে পারে ভিনেগার। পানিতে সমপরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে ঘর মুছে নিন। এরপর ফ্যানের বাতাসে ঘর শুকিয়ে নিন। ভিনেগারের গন্ধ দূর করতে ভালো কোনো এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করুন বা লেবুর রসই স্প্রে করে দিন। দেখবেন ঘর অনেকটাই ফ্রেশ লাগবে।

৩) বেকিং সোডার ব্যবহার

বেকিং সোডাও অ্যাসিড জাতীয় একটি উপকরণ যা স্যাঁতস্যাঁতে ভাব নিমেষেই দূর করে দিতে পারে। এছাড়াও বেকিং সোডার গন্ধ শুষে নেয়ার ভালো একটি গুণ রয়েছে। ঘরের যেসকল স্থানে স্যাঁতস্যাঁতে ভাবটা বেশি এবং গন্ধ বেশি হয়ে আছে, সেখানে বেকিং সোডা ছিটিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। দেখবেন বেকিং সোডা গন্ধ শুষে নিয়েছে। পড়ে বেকিং সোডা সরিয়ে ফেললেই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।

জেনে রাখুন কিছু কার্যকরী টিপসঃ

- বৃষ্টির দিনে ঘর মুছে ফ্যানের বাতাসে ঘর ভালো করে শুকিয়ে নিন। এতে গন্ধ হবে না।
- বৃষ্টি হলে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে থাকেন অনেকেই। তবে বৃষ্টি শেষ হওয়ার সাথে সাথে দরজা জানালা খুলে তাজা বাতাস ঘরে ঢুকতে দিন। এতে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও গন্ধ অনেকটাই কমে যাবে।
- ভালো এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করুন বা ঘরে রাখুন তাজা ফুল।

ডিম নষ্ট হবে না ১ বছরেও!

Thursday, June 18, 2015 / No Comments



শিরোনাম পড়ে অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন স্বাদ এবং পুষ্টির বিন্দুমাত্র হেরফের না করেই এক বছর পর্যন্তও কি ডিম রাখা সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ডিমকে সংরক্ষণ করতে পারবেন প্রায় এক বছর পর্যন্ত। সে ডিমে তৈরি হতে পারে পছন্দের যে কোন খাবারই। কিন্তু কীভাবে? জেনে নিন ছোট্ট একটি কৌশল।

যে ডিমগুলো সংরক্ষণ করতে চান সেগুলো আলাদা করে নিন। এবার পরিষ্কার একটি পাত্রে ডিম ভেঙে নিন। সামান্য একটু লবণ দিয়ে ডিমগুলো ফেটিয়ে নিতে হবে। তবে খুব বেশি ফেটানোর প্রয়োজন নেই। এবার এই ডিম গুলোকে ছোট ছোট বক্সে বা বাটিতে ভরে সংরক্ষণ করুন। বরফ জমানোর ট্রেতে আইস কিউব আকারেও সংরক্ষণ করতে পারেন। গোলানো ডিম কিউব আকারে জমে গেলে তা বের করে প্লাস্টিকের ব্যাগে সংরক্ষণ করতে পারেন। এতে ফ্রিজের জায়গা বাঁচবে।

ডিম না ফেটিয়ে কুসুম অক্ষুন্ন রেখেও ডিম সংরক্ষণ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ছোট কাপের ভেতর ডিম ভেঙে দিন। এমনভাবে ভাঙতে হবে যেন কুসুম আস্ত থাকে। এবার ডিমটি ডিপ ফ্রিজে রাখুন। জমে গেলে বের করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে রাখুন। এই ডিম দিয়েও আপনি যে কোন খারাপ তৈরি করতে পারবেন অনায়াসে।

জেনে নিন ফ্রিজে রাখা কাঁচা মাছের স্বাদ অটুট রাখার পদ্ধতি

Tuesday, June 16, 2015 / No Comments
check-refrigerated-raw-fish-taste-maintaining-procedures
অনেকেই একদিনে পুরো মাসের বাজার করে ডীপ ফ্রিজে কাঁচা মাছ রেখে দেন। শুধু তাই নয় কিছুদিন ফ্রিজে মাছ রেখে দিলেই মাছের স্বাদ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। খেতে শুকনো লাগে এবং গন্ধ বেশি লাগে। বেশীদিন রেখে দিলে মাছ খাওয়াই যায় না, ফেলে দিতে হয়।  কিন্তু এই সমস্যার রয়েছে খুবই সহজ ছোট্ট একটি সমাধান। আপনি চাইলেই মাছের তাজা ভাব ফিরিয়ে আনতে পারেন খুব সহজে। তাহলে জেনে নিনঃ
মাছের তাজা স্বাদ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে দুধ। প্রথমে ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে ঠাণ্ডা ছাড়িয়ে নিন। এরপর মাছের পিসগুলো একটি বড় বাটিতে দুধ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ৩০ মিনিট।
তারপর স্বাভাবিক ভাবে ধুয়ে রান্না করুন। দেখবেন মাছের তাজা স্বাদ ফিরে এসেছে এবং আঁশটে গন্ধও নেই একেবারে।