সাম্প্রতিক শিরোনাম

Menu

শাশুড়ির মন পেতে যে কাজ না করাই ভালো

how to win over your mother in law

এক সময় বৌ-শাশুড়ির সম্পর্কটি অনেক স্বচ্ছ ও সুন্দর ছিল। শ্রদ্ধা, সন্মান করা হতো মায়ের মতোই। যদিও পৃথিবী যতো আধুনিক হচ্ছে মানুষের মানসিকতাও অনেক আধুনিক হচ্ছে। তবুও অনেকে এতো আধুনিক হতে পারেন নি যে একজন শাশুড়ি তার ছেলের বউকে নিজের মেয়ের মতো ভেবে তার জন্য চিন্তা করবেন।

কিছু ক্ষেত্রে উল্টোটাও ঘটে। অনেক মেয়েই শাশুড়িকে নিজের মায়ের মতো ভাবতে পারেন না। তবে সমস্যা যাই হোক না কেন, যারা ভালো মনের মানুষ তারা দুজন দুজনের মন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যান। তবে বউয়েরা শাশুড়ির মন পাওয়ার জন্য এমন কিছু করে বসবেন না যাতে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। এ সকল কাজ করলে বরং মন পাওয়ার চাইতে উল্টোটাও ঘটতে পারে।

# মিথ্যে কথা বলতে যাবেন না
শাশুড়ির মন পাওয়ার জন্য ভুলেও মিথ্যে বলতে যাবেন না। যা সত্যি তা যদি তার কাছে খারাপও লাগে তা বলে দিন। কার মিথ্যে বলে হয়তো কিছুটা সময়ের জন্য পার পাবেন কিন্তু যেকোনো সময়ে সত্যি প্রকাশের ভয় থাকবে। সত্যি প্রকাশ পেলে তখন আরেক সমস্যা সামনে এসে দাঁড়াবে।

# সব কথা বলে দেবেন না
অনেকেই ভাবেন শাশুড়ির সঙ্গে ভাব জমিয়ে সব কথা বলে দিলে শাশুড়ির মন পাওয়া যাবে। কিন্তু সত্যি বলতে কি এই ভুল কাজের জন্য আপনি নিজেই বিপদে পড়তে পারেন। একেবারে সব বলে নিজেকে উন্মুক্ত করে দেবেন না। তিনি আপনার মায়ের মতো হলেও মা নন যে আপনার সব ভুল ক্ষমা করে আপনাকে মেনে নিতে পারবেন। প্রয়োজন না হলে সবকিছু বলার দরকার কি?।

# পারফেক্ট হতে চেষ্টা করবেন না
কখনোই কারো মন পাওয়ার জন্য পারফেক্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনি যেমন নিজেকে সেভাবেই উপস্থাপন করুন। এতে করে আপনার প্রতি আশা আকাঙ্ক্ষার পরিমাণও কমে যাবে এবং বিশেষ করে শাশুড়ি আপনি যেমন সেভাবেই মেনে নেয়ার চেষ্টা করবেন। আপনি নিজেকে যতো পারফেক্ট করে উপস্থাপন করতে যাবেন, চাহিদা আরো বাড়তে থাকবে।

# রাগ করতে যাবেন না
শাশুড়ির সঙ্গে মন খারাপ করে রাগ করে তার মন পাওয়ার চেষ্টা করতে যাবেন না। তিনি বড় মানুষ এবং গুরুজন। মায়ের সঙ্গে রাগ করে অনেকেই কার্যসিদ্ধি করে নিতে পারেন, কিন্তু এই পদ্ধতি শাশুড়ির সঙ্গে খাটাতে যাবেন না। ভুল বোঝাবুঝির অবসান করতে কথা বলুন। রাগ করে বসে থাকবেন না।

# তার সামনে স্বামীর অতিরিক্ত খেয়াল রাখতে যাবেন না
অনেক শাশুড়িই এই ব্যাপারটি পছন্দ করেন না। তবে সকলে এমন নন। কিন্তু তারপরও একজন মায়ের চাইতে অন্য আরেকজন তার ছেলের প্রতি অতিরিক্ত কেয়ার দেখাচ্ছে তা অনেকেরই মানতে বেশ কষ্ট হয়। তাই স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত কিছুই করতে যাবেন না।

Share This:

Post Tags:

গৃহস্থালীর টুকিটাকি টিপস

গৃহস্থালীর টুকিটাকি টিপস জানা থাকলে যে কোন সময় কেউ এরকম সমস্যায় পড়লে তাকে সাহায্য করা যাবে । এগুলো সবারই কমবেশী জানা প্রয়োজন । আমি নিজে এরকম সমস্যায় পড়েছিলাম । আর সমাধানগুলো পরীক্ষা করে দেখেছি । এগুলো সত্যি কাজ করে । দেখুন তো কারো কাজে আসে নাকি ।

কোন মন্তব্য নেই " শাশুড়ির মন পেতে যে কাজ না করাই ভালো "