জিরা পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা
ক্ষুধাবর্ধক হিসেবে জিরা পানির জুড়ি নেই। অধিকাংশ হোটেল বা রেস্টুরেন্টে ওয়েলকাম ড্রিংক হিসেবে জিরা পানি দেয়া হয়ে থাকে। তবে শুধু ক্ষুধাবর্ধনই নয়, দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ও রোগ ব্যাধি প্রতিরোধে জিরা পানি অনন্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
জিরা পানি যেভাবে তৈরি করবেন-
গুড়- ৪ টেবিল চামচ
চিনি- ৪ টেবিল চামচ
পানি- ২ কাপ
লেবুর রস- ৪ চা চামচ
তেঁতুলের রস- ৪ চা চামচ
ভাজা জিরা গুঁড়া- ১ চা চামচ
বিট লবণ- ১/৪ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালীঃ
১। একটি ছোট সসপ্যান নিন। এবার এতে ১ কাপ পানি, গুড় ও চিনি দিয়ে গরম করুন। চিনি না গলে যাওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন ও সিরাপ তৈরি করে নিন।
২। একটি বড় পাত্রে বা জগে তেঁতুলের রস, সিরাপ ও অবশিষ্ট পানি নিয়ে নাড়ুন।
৩। এবার পানিতে জিরার গুঁড়া ও বিট লবণ দিন। সকল উপকরণের সুগন্ধ মিশে যাওয়ার জন্য ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৪। সব শেষে বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন।
ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে
জিরায় থাইমল, ডিথাইমোকুইনন, থাইমোহাইড্রোকুইনন নামক অ্যান্টিকারসিনোজেনিক উপাদান এবং ইউজিনল ও লিমনিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ফলে জিরা পানি কোলন, পাকস্থলী, লিভার এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি
থাইমল এবং এসেনশিয়াল অয়েল লালাগ্রন্থির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। খাওয়ার শুরুতে তাই জিরা পানি হতে পারে আপনার হজমের সহায়ক।
কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করে
আঁশজাতীয় হওয়ায় এরা এনজাইম নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়ে গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের কাজ সবল করে। জিরার গুঁড়া প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ হিসেবে খ্যাত। জিরা পানি এতই শক্তিশালী ল্যাক্সেটিভ যে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এটা পাইলস রোগ নির্মূল করতেও সক্ষম।
হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণ
প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এরা শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য জিরা পানি অমৃতস্বরূপ। নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস জিরা পানি পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ঠাণ্ডা এবং অ্যাজমা থেকে মুক্তি
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় জিরা পানি ঠাণ্ডা এবং অ্যাজমা রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। পানিতে জিরা এবং সামান্য আদা মিশিয়ে গরম করে অল্প অল্প করে পান করলে ঠাণ্ডা এবং অ্যাজমা থেকে প্রশস্তি পাওয়া যায়।
রক্তশূন্যতা
১০০ গ্রাম জিরাতে ১১.৭ মিলিগ্রাম লৌহ থাকে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধির প্রধান উপাদান এই লৌহ। ফলে নিয়মিত জিরা পানি পান করলে রক্তশূন্যতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী
গর্ভবতী মায়েদের গর্ভধারণের সময় ন্যশিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য জাতীয় সমস্যা দেখা যায়। জিরা পানি এই সকল সমস্যার সাথে সাথে সন্তান প্রসবের নিরাপত্তা এবং ল্যাক্টেশনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। গর্ভবতী মায়ের জন্য জিরা মধু বা পানির সাথে মিশিয়ে দিনে অন্তত ২ বার পান করা ভাল।
ইনসোমনিয়া
জিরার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মেলাটোনিন থাকে। কলার সাথে জিরা খেলে মস্তিস্কে উপকারী ক্যামিকেলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় যার ফলে আপনি ইনসোমনিয়া রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। প্রত্যেক রাতে ঘুমানোর আগে পাকা কলার উপর জিরা গুঁড়া ছিটিয়ে খাবেন।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
জিরাতে রিবোফ্লেভিন, জেক্সাথিন, ভিটামিন বি ৬, নিয়াছিন এবং আরো অনেক মিনারেল থাকে যা আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদে এমনেশিয়া রোগের চিকিৎসা করতে প্রায়ই জিরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে হলে জিরা ভাজা চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়া ভাল।
সতর্কতা
নিয়মিত জিরা পানি পান করার আগে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জিরা পানি যেভাবে তৈরি করবেন-
গুড়- ৪ টেবিল চামচ
চিনি- ৪ টেবিল চামচ
পানি- ২ কাপ
লেবুর রস- ৪ চা চামচ
তেঁতুলের রস- ৪ চা চামচ
ভাজা জিরা গুঁড়া- ১ চা চামচ
বিট লবণ- ১/৪ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালীঃ
১। একটি ছোট সসপ্যান নিন। এবার এতে ১ কাপ পানি, গুড় ও চিনি দিয়ে গরম করুন। চিনি না গলে যাওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন ও সিরাপ তৈরি করে নিন।
২। একটি বড় পাত্রে বা জগে তেঁতুলের রস, সিরাপ ও অবশিষ্ট পানি নিয়ে নাড়ুন।
৩। এবার পানিতে জিরার গুঁড়া ও বিট লবণ দিন। সকল উপকরণের সুগন্ধ মিশে যাওয়ার জন্য ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৪। সব শেষে বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন।
ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে
জিরায় থাইমল, ডিথাইমোকুইনন, থাইমোহাইড্রোকুইনন নামক অ্যান্টিকারসিনোজেনিক উপাদান এবং ইউজিনল ও লিমনিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ফলে জিরা পানি কোলন, পাকস্থলী, লিভার এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি
থাইমল এবং এসেনশিয়াল অয়েল লালাগ্রন্থির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। খাওয়ার শুরুতে তাই জিরা পানি হতে পারে আপনার হজমের সহায়ক।
কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করে
আঁশজাতীয় হওয়ায় এরা এনজাইম নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়ে গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের কাজ সবল করে। জিরার গুঁড়া প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ হিসেবে খ্যাত। জিরা পানি এতই শক্তিশালী ল্যাক্সেটিভ যে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এটা পাইলস রোগ নির্মূল করতেও সক্ষম।
হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণ
প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এরা শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য জিরা পানি অমৃতস্বরূপ। নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস জিরা পানি পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ঠাণ্ডা এবং অ্যাজমা থেকে মুক্তি
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় জিরা পানি ঠাণ্ডা এবং অ্যাজমা রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। পানিতে জিরা এবং সামান্য আদা মিশিয়ে গরম করে অল্প অল্প করে পান করলে ঠাণ্ডা এবং অ্যাজমা থেকে প্রশস্তি পাওয়া যায়।
রক্তশূন্যতা
১০০ গ্রাম জিরাতে ১১.৭ মিলিগ্রাম লৌহ থাকে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধির প্রধান উপাদান এই লৌহ। ফলে নিয়মিত জিরা পানি পান করলে রক্তশূন্যতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী
গর্ভবতী মায়েদের গর্ভধারণের সময় ন্যশিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য জাতীয় সমস্যা দেখা যায়। জিরা পানি এই সকল সমস্যার সাথে সাথে সন্তান প্রসবের নিরাপত্তা এবং ল্যাক্টেশনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। গর্ভবতী মায়ের জন্য জিরা মধু বা পানির সাথে মিশিয়ে দিনে অন্তত ২ বার পান করা ভাল।
ইনসোমনিয়া
জিরার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মেলাটোনিন থাকে। কলার সাথে জিরা খেলে মস্তিস্কে উপকারী ক্যামিকেলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় যার ফলে আপনি ইনসোমনিয়া রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। প্রত্যেক রাতে ঘুমানোর আগে পাকা কলার উপর জিরা গুঁড়া ছিটিয়ে খাবেন।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
জিরাতে রিবোফ্লেভিন, জেক্সাথিন, ভিটামিন বি ৬, নিয়াছিন এবং আরো অনেক মিনারেল থাকে যা আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদে এমনেশিয়া রোগের চিকিৎসা করতে প্রায়ই জিরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে হলে জিরা ভাজা চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়া ভাল।
সতর্কতা
নিয়মিত জিরা পানি পান করার আগে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কোন মন্তব্য নেই " জিরা পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা "