সাম্প্রতিক শিরোনাম

Menu

আষাঢ়ে সাজসজ্জা


আষাঢ়ের ঝমঝম বৃষ্টি, হঠাৎ এসে ভিজিয়ে দেয় এই জগত সংসার। আর বৃষ্টি ভালো লাগে না কার! তাইতো এই কালো মেঘের সাজে প্রকৃতির রূপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপনিও সাজতে পারেন বর্ষার সাজ।

এই বর্ষার সময় অনুষ্ঠান বা চলাফেরা থেমে নেই। বিয়ে, জন্মদিন, বন্ধুদের সঙ্গে সপ্তাহ শেষে সময় কাটানো — সবই চলছে। তাই এই ভেজা মৌসুমে সাজটাও হওয়া চাই মনের মতো। আর কেমন ভাবে সাজলে আপনাকে দেখতে একটু বেশি সুন্দর লাগবে জেনে নিন।
 

পোশাক

বর্ষা মানেই সবুজ, কলাপাতা রং, নীল, আকাশি আর ধুসর রংয়ের প্রকৃতি। তাই এই সময়ে এসব রংয়ের পোশাকগুলো বেশি ভালো লাগে। জর্জেট, শিফন, ক্রেপ কাপড়ের শাড়ি বা সেলোয়ার কামিজ এই মৌসুমে পরলে ভালো। কারণ এসব কাপড় বৃষ্টিতে ভিজলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। 

মেইকআপ  

বেশি ভারী মেইকআপ এই আবহাওয়ায় না নেয়াই ভালো। আর মেইকআপের আগে লক্ষ রাখুন প্রসাধনী যেন 'ওয়াটার প্রুফ' হয়। মেইকআপের আগে মুখে কিছুক্ষণ বরফ ঘষে টোনিং করে অয়েল ফ্রি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

যাদের ত্বকের রং শ্যামলা তারা ফাউন্ডেশনের বেইজ হিসেবে একটু হলদে ধরনের কমপ্যাক বা ফাউন্ডেশন বেছে নিতে পারেন। এতে ত্বকের স্বাভাবিক রংয়ের উপর একটু ফর্সাভাব আসবে। তবে দেখতে কৃত্রিম লাগবে না।

আর যারা ফর্সা তারা খুব সাদা রংয়ের কমপ্যাক বা ফাউন্ডেশন বেছে না নিয়ে, বরং একটু হালকা হলুদ রংয়ের শেইড মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে দেখতে স্বাভাবিক লাগবে। ভেজা আবহাওয়ায় 'ন্যাচারাল লুক'ই সবচেয়ে ভালো লাগে।

এবার পোশাকের সঙ্গে মেইক আপে মিল রেখে লাইট-ব্রাউন, কফি বা নীলচে শেইডের আইশ্যাডো লাগিয়ে নিলে অনেক বেশি স্বাভাবিক দেখাবে।

তবে রাতের অনুষ্ঠান হলে একটু গাঢ় করেই চোখ দুটি সাজাতে পারেন। সেক্ষেত্রে মেরুন, কফি, সবুজ, নীলচে শেইডগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। অবশ্যই 'ওয়াটার-প্রুফ' মাসকারা এবং পেন্সিল আই-লাইনার ব্যবহার করুন।

দিনের সাজে চোখের নিচের পাতায় আই-লাইনার অথবা মাসকারা না লাগানোই ভালো। দিনের বেলা ব্লাশন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। রাতের বেলা যদি লাগাতে চান তবে দুই গালে খুব হাল্কা করে গোলাপি, পিচ অথবা ব্রোঞ্জ রংয়ের ব্লাশন লাগিয়ে নিতে পারেন। ত্বকের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হাত দিয়ে ব্লেন্ড করতে পারেন।

এই সময় ম্যাট অথবা পাউডার ধরনের লিপস্টিক লাগাবেন। ময়েশ্চার সমৃদ্ধ পিঙ্ক, কোরাল, ব্রোঞ্জ অথবা বিভিন্ন ফলের রং বেছে নিতে পারেন। লিপব্রাশ ব্যবহার না করে আঙুল দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে দিন।

এতে ঠোঁটে এক ধরনের ন্যাচারাল শেইড আসবে। তবে লিপস্টিক লাগানোর আগে লক্ষ করুন তা যেন আপনার ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মানিয়ে যায়।

চুলের সাজ

বর্ষার সময় চুল বেশ নিস্তেজ থাকে। তাই এই সময় যতটা সম্ভব চুল বেঁধে রাখাই ভালো। তাছাড়া বৃষ্টিতে ভেজার সমস্যা থাকলে চুল খোলা না রাখাই উচিত। কারণ আমাদের এই শহরের বৃষ্টির পানি চুলের বেশ ক্ষতি করে।

তবুও যদি ঘরোয়া কোনো উৎসব থাকে তবে ছোট বা মাঝারি চুল হলে সাইডে সিঁথি করে বাকি চুলটা ছেড়ে দিন। চাইলে কানের গোড়ায় গুজতে পারেন বর্ষার কোনো ফুল।

আর যদি একটু ভিন্ন ধরনের কোনো স্টাইল করতে চান সেক্ষেত্রে কপালের উপর কিছু চুল ছেড়ে রেখে বাকি চুল ফুলিয়ে নিন। তারপর কপালের উপরের চুল এক সাইড করে নিয়ে দুইপাশ থেকে অল্প অল্প চুল নিয়ে ফ্রেঞ্চ বেণিরমতো করে নামিয়ে আনুন কানের গোড়া পর্যন্ত। এবারে বাকি চুল পিছনে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। চাইলে পিছনের চুলে  খোঁপা বা বেণিও করতে পারেন।

এছাড়া মাথার সামনের কিছু চুল ছোট পাঞ্চ ক্লিপের সাহায্যে হালকা পাফ করে বাঁধতে পারেন। তারপর বাকি চুল একটু উঠিয়ে হাত খোপা করে তাতে দিতে পারেন সুদৃশ্য কোনো কাঁটা। একটু আলাদা সাজ চাইলে করতে পারেন ফ্রেঞ্চ বেণি অথবা পনিটেইল। বর্ষায় চেষ্টা করুন একটু দেশীয় ভাবে সাজতে। এতে একটা ভিন্ন 'লুক' আসবে।

Share This:

Post Tags:

গৃহস্থালীর টুকিটাকি টিপস

গৃহস্থালীর টুকিটাকি টিপস জানা থাকলে যে কোন সময় কেউ এরকম সমস্যায় পড়লে তাকে সাহায্য করা যাবে । এগুলো সবারই কমবেশী জানা প্রয়োজন । আমি নিজে এরকম সমস্যায় পড়েছিলাম । আর সমাধানগুলো পরীক্ষা করে দেখেছি । এগুলো সত্যি কাজ করে । দেখুন তো কারো কাজে আসে নাকি ।

কোন মন্তব্য নেই " আষাঢ়ে সাজসজ্জা "