সাম্প্রতিক শিরোনাম

Menu

সন্তানকে নিয়েই এক্সারসাইজ করুন

please-exercise-with-child

কোলে বাচ্চা, তাই ফ্যাট কমানোর সময় নেই? জানেন কি বাচ্চাকে চোখের আড়াল না করেও ওজন কমানো যায়?

নয় নয় করেও প্রেগন্যান্সিতে বেশ ভালোই ওজন বাড়ে। প্রসবের পর সেই ওজন কমার বদলে ফুলে-ফেঁপে ওঠে আরও। ক'জন আর জিমে গিয়ে দৌড়ে-ঝাঁপিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন! যাঁরা পারেন না তাঁরা ভুগতে শুরু করেন মনোকষ্টে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে মনোকষ্টে ভোগার কোনাে কারণ নেই। কারণ প্রেগন্যান্সি ফ্যাট কমাতে জিমও লাগে না, স্পেশাল ডায়েটও লাগে না। একটু সচেতন হলে ঘরের ডাল-ভাত খেয়ে, বাচ্চাকে নিমেষের জন্য চোখের আড়াল না করেও ফিরে পাওয়া যায় আগের ফিগার। যার প্রধান ধাপ হল প্রথম ছ'মাস বাচ্চাকে কেবল বুকের দুধ খাইয়ে যাওয়া। তারপর আরও দেড় বছর অন্যান্য খাবারের সঙ্গেও বুকের দুধ খাওয়ানো।

এতে এতো ক্যালোরি খরচ হয় যে অতিরিক্ত তেল-ঘি-মাখনের হাতছানি এড়িয়ে, কম চর্বিওলা প্রোটিন-ফল-শাক-সবজি-ডাল-ভাত-রুটির সুষম খাবার খেলে ও একটু ব্যায়াম করলেই ওজন কমাতে শুরু করে মৃদুমন্দ গতিতে। কিন্তু সব সময় তা হয় না। 

ওই ব্যায়ামের ব্যাপারটা এড়িয়ে চলেন বলেই হয় না। কারণ অনেকেরই ধারণা, ব্যায়াম করতে গেলে নবজাতকের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে হয় বেশ খানিকটা সময়, যা নতুন মা প্রাণে ধরে করে উঠতে পারেন না। কিন্তু সত্যি বলতে কি, তা পারার দরকারও নেই। কারণ সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে করা যায় এমন ব্যায়ামও আছে যথেষ্ট।

সন্তানের সঙ্গে ব্যায়াম: 
বাচ্চাকে কোলে নিয়ে হাঁটতে বেরোন। ভালো জুতা পরে নিন, যাতে পা স্লিপ না করে। হালকা কিছু খেয়ে নিন। খালিপেটে থাকলে মাথা ঘুরতে পারে। প্রথম দিকে মিনিট ২০ হালকা পায়চারি করুন। অভ্যেস হয়ে গেলে আস্তে আস্তে হাঁটার গতি বাড়াতে পারেন। তবে ব্রিস্ক ওয়াকিং বলতে যা বোঝায়, তা প্রথম দিকে নয়। ভাবছেন, এটুকুতে কী হবে? হবে। 

হার্ট ও লাংয়ের ফিটনেস বাড়বে। বাড়বে মেটাবলিজম, যার হাত ধরে ক্যালোরি ঝড়ার হার বাড়বে। বাচ্চা আপনার সঙ্গ ও প্রকৃতি উপভোগ করবে, সেটা হলো এক্সট্রা পাওনা। এর পাশাপাশি হিপ-থাই ও কাফ মাসলকে শক্তপোক্ত করতে আস্তে আস্তে স্কোয়াটিং শুরু করতে পারেন। ঘরে বাচ্চার পছন্দের মিউজিক চালিয়ে দিন।

চোখের সামনে বেশি কেরিয়ারে রেখে দিন তাকে। এবার শরীরে যতটুকু কুলোয় ঠিক ততটুকু করুন। ব্যাক মাসলে পোক্ত করতে বাচ্চার ঘাড়ের এক হাত ও কোমরের নিচের অংশে এক হাত দিয়ে তাকে বেশ ভালো করে ধরে সোজা দাঁড়িয়ে কোমর ভেঙে হাঁটু সোজা রেখে সামনের দিকে ঝুঁকে যান। এবার বাচ্চাসমেত হাত আস্তে আস্তে নীচে নামান। ওইভাবে থেকে বাচ্চাকে বুকের কাছ বরাবর তুলুন, আবার নামান। এভাবে ১০-১৫ বার করে ৩০ সেকেন্ড রেস্ট নিন। আবার করুন। 

বাচ্চাকে তোলা-নামানোর ব্যাপারটা খুব সাবধানে ও আস্তে আস্তে করবেন। বাচ্চা বিরক্তবোধ করলে তাকে পাশে শুইয়ে, হালকা ওজন নিয়ে করুন। পিঠ থেকে শুরু করে শরীরের নীচের অংশের পেশি মজবুত করতে চার হাত-পায়ে ঘোড়ার মতো পজিশনে থাকুন। বাচ্চাকে শুইয়ে দিন বুকের নীচে। এবার একটা করে পা পিছনের দিকে তুলে খানিকক্ষণ হোল্ড করুন। সাবধানে করবেন। ব্যালেন্স হারিয়ে বাচ্চার উপর পড়ে গেলে কিন্তু খুব বিপদ।

ব্যায়ামের নিয়ম: 

ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নিন। কোন ব্যায়াম করবেন, কতটা করবেন। বিশেষ করে সিজার করে বাচ্চা হলে।

ব্যায়ামের সময় শরীরে কষ্ট হলে, যেমন, পেটব্যথা, মাসলে টান ধরা ইত্যাদি, সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম বন্ধ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

বাচ্চাকে নিয়ে করলে খুব সাবধান, তার যেন আঘাত না লাগে। নরমাল ডেলিভারি হলে এক মাস ও সিজার হলে দেড় মাসের আগে ব্যায়াম নয়।

Share This:

Post Tags:

গৃহস্থালীর টুকিটাকি টিপস

গৃহস্থালীর টুকিটাকি টিপস জানা থাকলে যে কোন সময় কেউ এরকম সমস্যায় পড়লে তাকে সাহায্য করা যাবে । এগুলো সবারই কমবেশী জানা প্রয়োজন । আমি নিজে এরকম সমস্যায় পড়েছিলাম । আর সমাধানগুলো পরীক্ষা করে দেখেছি । এগুলো সত্যি কাজ করে । দেখুন তো কারো কাজে আসে নাকি ।

কোন মন্তব্য নেই " সন্তানকে নিয়েই এক্সারসাইজ করুন "