সাম্প্রতিক শিরোনাম

Menu

Browsing "Older Posts"

আপনি "fashion" বিভাগ ব্রাউজ করছেন

ফিকে হয়ে আসা মেহেদীর রঙ থেকে মুক্তি পান সহজেই -

Monday, July 13, 2015 / 1 Comment
how-to-remove-mehndi-from-hands-instantly

নিজের হাত দুটোকে মেহেদীর রঙে রাঙাতে পছন্দ করেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর সে কারণেই কোনো একটি উৎসব এলেই মেহেদী লাগানোর ধুম পড়ে যায় নারীদের মধ্যে। আর বিয়ে-শাদী  হলে তো কথাই নেই, ছোটো থেকে বড় সকলেই হাত ভর্তি করে মেহেদী লাগিয়ে নিজেকে মেহেদীর রঙে রাঙিয়ে নেন। কিন্তু সমস্যা হয় তখনই যখন কিছুদিন পর মেহেদীর রঙ ফিকে হয়ে আসতে থাকে। সব দিকে সমান ভাবে রঙ উঠে না মেহেদীর, একেক স্থানে ছোপ ছোপ ভাবে মেহেদীর রঙ উঠতে থাকে। এতে করে মেহেদী লাগানোর পর  যতোটা সৌন্দর্য  ছিল ততোটাই বিশ্রী দেখাতে থাকে হাত পা। কিন্তু নিরুপায় হয়ে সম্পূর্ণ রঙ আপনা আপনি উঠে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এই ফিকে হয়ে আসা মেহেদীর রঙ থেকে আপনি খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। কীভাবে জানতে চান ?

১। বেকিং সোডা ও লেবুর মিশ্রন :
বেকিং সোডার সাথে লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এরপর যে সকল স্থানে মেহেদী লাগিয়েছিলেন সে স্থানে এই পেস্ট ভালো করে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর ত্বক খুব ভালো করে ময়েসচারাইজ করতে ভুলবেন না। ব্যস, অনেকটা উপকার পাবেন।

২। অলিভ অয়েল ও লবণ :
এই পদ্ধতিটি খুবই কার্যকরী। কারণ অলিভ অয়েল প্রাকৃতিক এমুলসিফিয়ার। অলিভ অয়েলে খানিকটা লবণ মিশিয়ে ত্বকের উপরে লাগান। ১০ মিনিট এভাবেই রাখুন, এরপর আলতো করে ঘষে নিন। এভাবে কয়েক দিনের মধ্যেই খুব ভালো ফলাফল পাবেন।

৩। টুথপেস্টের ব্যবহার :
অবাক হলেও সত্যি যে টুথপেস্টের কিছু উপাদান মেহেদীর রঙ দূর করতে দারুণ কার্যকরী। যে সকল স্থানে মেহেদী লাগিয়েছিলেন সে স্থানে টুথপেস্ট ভালো করে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে হাতে ডলে তুলে ফেলুন টুথপেস্ট। দেখবেন রঙ অনেকাংশেই দূর হয়ে যাবে।

৪। লবণ পানি
কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে হাত পা ভিজিয়ে রাখুন ২০ মিনিট অথবা পানি ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত। এরপর সাধারণভাবেই হাত পা ভালো করে ঘষে নিন। কয়েকবার এই পদ্ধতিটি ব্যবহারের ফলেই মেহেদীর রঙ উঠে যাবে।

সূত্রঃ দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া

আষাঢ়ে সাজসজ্জা

Monday, June 15, 2015 / No Comments

আষাঢ়ের ঝমঝম বৃষ্টি, হঠাৎ এসে ভিজিয়ে দেয় এই জগত সংসার। আর বৃষ্টি ভালো লাগে না কার! তাইতো এই কালো মেঘের সাজে প্রকৃতির রূপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপনিও সাজতে পারেন বর্ষার সাজ।

এই বর্ষার সময় অনুষ্ঠান বা চলাফেরা থেমে নেই। বিয়ে, জন্মদিন, বন্ধুদের সঙ্গে সপ্তাহ শেষে সময় কাটানো — সবই চলছে। তাই এই ভেজা মৌসুমে সাজটাও হওয়া চাই মনের মতো। আর কেমন ভাবে সাজলে আপনাকে দেখতে একটু বেশি সুন্দর লাগবে জেনে নিন।
 

পোশাক

বর্ষা মানেই সবুজ, কলাপাতা রং, নীল, আকাশি আর ধুসর রংয়ের প্রকৃতি। তাই এই সময়ে এসব রংয়ের পোশাকগুলো বেশি ভালো লাগে। জর্জেট, শিফন, ক্রেপ কাপড়ের শাড়ি বা সেলোয়ার কামিজ এই মৌসুমে পরলে ভালো। কারণ এসব কাপড় বৃষ্টিতে ভিজলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। 

মেইকআপ  

বেশি ভারী মেইকআপ এই আবহাওয়ায় না নেয়াই ভালো। আর মেইকআপের আগে লক্ষ রাখুন প্রসাধনী যেন 'ওয়াটার প্রুফ' হয়। মেইকআপের আগে মুখে কিছুক্ষণ বরফ ঘষে টোনিং করে অয়েল ফ্রি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

যাদের ত্বকের রং শ্যামলা তারা ফাউন্ডেশনের বেইজ হিসেবে একটু হলদে ধরনের কমপ্যাক বা ফাউন্ডেশন বেছে নিতে পারেন। এতে ত্বকের স্বাভাবিক রংয়ের উপর একটু ফর্সাভাব আসবে। তবে দেখতে কৃত্রিম লাগবে না।

আর যারা ফর্সা তারা খুব সাদা রংয়ের কমপ্যাক বা ফাউন্ডেশন বেছে না নিয়ে, বরং একটু হালকা হলুদ রংয়ের শেইড মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে দেখতে স্বাভাবিক লাগবে। ভেজা আবহাওয়ায় 'ন্যাচারাল লুক'ই সবচেয়ে ভালো লাগে।

এবার পোশাকের সঙ্গে মেইক আপে মিল রেখে লাইট-ব্রাউন, কফি বা নীলচে শেইডের আইশ্যাডো লাগিয়ে নিলে অনেক বেশি স্বাভাবিক দেখাবে।

তবে রাতের অনুষ্ঠান হলে একটু গাঢ় করেই চোখ দুটি সাজাতে পারেন। সেক্ষেত্রে মেরুন, কফি, সবুজ, নীলচে শেইডগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। অবশ্যই 'ওয়াটার-প্রুফ' মাসকারা এবং পেন্সিল আই-লাইনার ব্যবহার করুন।

দিনের সাজে চোখের নিচের পাতায় আই-লাইনার অথবা মাসকারা না লাগানোই ভালো। দিনের বেলা ব্লাশন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। রাতের বেলা যদি লাগাতে চান তবে দুই গালে খুব হাল্কা করে গোলাপি, পিচ অথবা ব্রোঞ্জ রংয়ের ব্লাশন লাগিয়ে নিতে পারেন। ত্বকের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হাত দিয়ে ব্লেন্ড করতে পারেন।

এই সময় ম্যাট অথবা পাউডার ধরনের লিপস্টিক লাগাবেন। ময়েশ্চার সমৃদ্ধ পিঙ্ক, কোরাল, ব্রোঞ্জ অথবা বিভিন্ন ফলের রং বেছে নিতে পারেন। লিপব্রাশ ব্যবহার না করে আঙুল দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে দিন।

এতে ঠোঁটে এক ধরনের ন্যাচারাল শেইড আসবে। তবে লিপস্টিক লাগানোর আগে লক্ষ করুন তা যেন আপনার ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মানিয়ে যায়।

চুলের সাজ

বর্ষার সময় চুল বেশ নিস্তেজ থাকে। তাই এই সময় যতটা সম্ভব চুল বেঁধে রাখাই ভালো। তাছাড়া বৃষ্টিতে ভেজার সমস্যা থাকলে চুল খোলা না রাখাই উচিত। কারণ আমাদের এই শহরের বৃষ্টির পানি চুলের বেশ ক্ষতি করে।

তবুও যদি ঘরোয়া কোনো উৎসব থাকে তবে ছোট বা মাঝারি চুল হলে সাইডে সিঁথি করে বাকি চুলটা ছেড়ে দিন। চাইলে কানের গোড়ায় গুজতে পারেন বর্ষার কোনো ফুল।

আর যদি একটু ভিন্ন ধরনের কোনো স্টাইল করতে চান সেক্ষেত্রে কপালের উপর কিছু চুল ছেড়ে রেখে বাকি চুল ফুলিয়ে নিন। তারপর কপালের উপরের চুল এক সাইড করে নিয়ে দুইপাশ থেকে অল্প অল্প চুল নিয়ে ফ্রেঞ্চ বেণিরমতো করে নামিয়ে আনুন কানের গোড়া পর্যন্ত। এবারে বাকি চুল পিছনে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। চাইলে পিছনের চুলে  খোঁপা বা বেণিও করতে পারেন।

এছাড়া মাথার সামনের কিছু চুল ছোট পাঞ্চ ক্লিপের সাহায্যে হালকা পাফ করে বাঁধতে পারেন। তারপর বাকি চুল একটু উঠিয়ে হাত খোপা করে তাতে দিতে পারেন সুদৃশ্য কোনো কাঁটা। একটু আলাদা সাজ চাইলে করতে পারেন ফ্রেঞ্চ বেণি অথবা পনিটেইল। বর্ষায় চেষ্টা করুন একটু দেশীয় ভাবে সাজতে। এতে একটা ভিন্ন 'লুক' আসবে।

পোশাকেই বাড়িয়ে তুলুন নিজের উচ্চতা

Friday, May 29, 2015 / No Comments
sackcloth-bring-about-his-own-height
উচ্চতায় ছোটো বলে অনেকে মন খারাপ করে। অনেকে আবার ভাবে একটু লম্বা হলে কি হতো। কিন্তু আপনিও সঠিক পোশাক নির্বাচন করে নিজের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে পারেন। এতোক্ষণে ভাবছেন কি বলছি এসব! পোশাক আবার উচ্চতা বাড়াবে কী করে?

পোশাক আপনাকে লম্বা করবে না ঠিকই, তবে কিছু কৌশল খাটিয়ে পোশাক পরলে আপনাকে বেশ লম্বা দেখাবে। তাই নিজের কম উচ্চতা নিয়ে মন খারাপ না করে পোশাক নির্বাচনে অনুসরণ করুন কিছু কৌশল।

একরঙা পোশাক পরুন :
সাধারণত একরঙা পোশাক ঢেকে দেয় বিভিন্ন শারীরিক খুঁত। তাই গাঢ় শেডের একরঙা পোশাক পরুন। এতে আপনাকে বেশ লম্বা দেখাবে।

লম্বালম্বি নকশার পোশাক পরুন :
পোশাকে বেছে নিন লম্বালম্বি নকশা বা স্ট্রাইপের নকশা। এতে উচ্চতা খানিকটা বেশি দেখায়। আড়াআড়ি নকশার পোশাক একেবারে এড়িয়ে চলুন।

বড় প্রিন্টের পোশাক পরবেন না :
বড় বড় উজ্জ্বল রঙের প্রিন্টের পোশাক শারীরিক গড়নকে খুব বেশি মাত্রায় প্রকাশ করে। এতে যেমন খাটো দেখায় তেমনি মোটাও লাগে। তাই যতটা সম্ভব বড় ছাপযুক্ত পোশাক এড়িয়ে চলুন।

রঙের বৈপরীত্য এড়িয়ে চলুন :
পোশাকে রঙের বৈপরীত্য অর্থাত্‍ কনট্রাস্ট যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে সালোয়ার-কামিজে বিপরীতধর্মী রঙ একেবারেই পরবেন না। যেমন কামিজ যদি হলুদ হয় তাহলে এর সাথে মেজেন্টা বা লাল রঙের সালোয়ার-ওড়না পরবেন না। চেষ্টা করুন সিমিলার কালারের পোশাক পরার।

ছোট হাতার পোশাক পরুন :
পোশাকে ফুল হাতা বা থ্রি-কোয়ার্টার হাতের পরিবর্তে ছোট হাতার পোশাক পরুন। এতে আপনাকে দেখতে লম্বা লাগবে।

টপস পরুন বেছে :
টপসের ক্ষেত্রে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ সব ধরনের টপস কম উচ্চতার মানুষদের মানায় না। ফ্রক টাইপের বা গোল ঘেরের টপস যেন খুব বেশি লম্বা না হয়। আর ফতুয়া ধরনের টপসগুলো এমন দৈর্ঘ্যের পরুন যাতে আপনার থাই ঢাকা পড়ে। এতে আপনাকে লম্বা দেখাবে।

প্যান্ট ও সালোয়ারের ধরন :
খুব বেশি ঢোলা প্যান্ট বা সালোয়ার কোনোটাই পরবেন না। বেল বটম বা ডিভাইভার প্যান্ট এড়িয়ে চলুন। জেগিংস, লেগিংস বা ন্যারো কাটের প্যান্ট পরতে পারেন অনায়াসে। এতে লম্বা দেখাবে। তবে পা খুব বেশি চিকন হলে স্ট্রেইট কাটের প্যান্ট পরুন। সালোয়ারে পায়ের মুহুরি বেশি চওড়া পরবেন না এবং ঘেরটাও কম দিন। খুব বেশি কুচি দেয়া বা পাতিয়ালা সালোয়ার পরলে দেখতে খাটো খাটো লাগে। তাই এ ধরনের সালোয়ার এড়িয়ে চলুন।


শাড়ি রকমারি :
শাড়ির নকশা ও পরার ধরনও কিন্তু বাড়িয়ে তুলতে পারে আপনার উচ্চতা। চওড়া ও ভারী কাজের পাড়ওয়ালা শাড়ি পরলে লম্বা মানুষকেও খাটো দেখায়। তাই চিকন পাড়ের শাড়ি পরুন।

বড় বড় নকশাদার শাড়ির পরিবর্তে বেছে নিন একরঙা বা ছোট ছোট নকশাওয়ালা শাড়ি। আড়াআড়ি নকশার শাড়ি পরবেন না। শাড়ি কুচি দিয়ে পরুন এবং আঁচল ভাঁজ করে নিন। এভাবে শাড়ি পরলে লম্বা দেখায়।

সম্পূর্ণ নতুন ধরণের ফ্রেঞ্চ স্টাইল বেণী পদ্ধতি শিখে নিন (ভিডিও)

Wednesday, May 13, 2015 / No Comments
ফ্রেঞ্চ স্টাইলের অন্য কোন চুলের সাজ জানেন আপনি? আপনাদের জন্য আজ আমরা নিয়ে এলাম একটি ফ্রেঞ্চ হেয়ার স্টাইল Pull-Through Braid। খুব সহজে দারুণ ভিন্নধর্মী এই হেয়ার স্টাইলটি অনেক ভাবেই করতে পারেন আপনি, তাও নিজের চুলে নিজেই। আর স্টাইলটি এত চমৎকার যে এভাবে চুল বেঁধে রাতে ঘুমালেও সকালে হেয়ার স্টাইল এলোমেলো হবে না মোটেই। কোঁকড়া কিংবা সোজা যে কোন চুলেই মানিয়ে যাবে চমৎকার। চলুন, শিখে নিই পদ্ধতি।
যা যা লাগবে
-চিরুনি
-রাবার ব্যান্ড
চুল সেট করতে চাইলে হেয়ার স্প্রে (সিল্কি চুলে লাগবে না)

যেভাবে করবেন
-এই বেণী দুইভাবেই করতে পারেন। চুলে পনিটেইল বেঁধে তারপর করতে পারেন। চুলকে একপাশে ঘুরিয়ে এনে আলগোছেও করতে পারেন। পদ্ধতি একই। ভিডিওতে দেখবেন পনিটেইল বাঁধার পর বেণী করা হয়েছে।
-এবার চুলকে দুভাগ করে নিন। উপরের ভাগে দুই ইঞ্চি জায়গা খালি রেখে একটা রাবার ব্যান্ড আটকে দিন।
-এবার উপরের চুলের মাঝে একটা ছিদ্র তৈরি করে নিচের চুলগুলো এই ফাঁকের মাঝ দিয়ে উপরে নিয়ে আসুন।
-এবার এই উপরে নিয়ে আসা চুলগুলোর ২ ইঞ্চি খালি রেখে একটা রাবার ব্যান্ড আটকে দিন।
-এবার একইভাবে একটি ছিদ্র তৈরি করে নিচের চুলগুলো ওপরে নিয়ে আসুন। এবং ২ ইঞ্চি নিচে রাবার ব্যান্ড আটকে দিন।
-এভাবে সমস্ত চুল করে নিন এবং নিচে রাবার ব্যান্ড আটকে দিন। -তারপর হাত দিনে চুলগুলো একটু ঢিলে করে দিন।
-ব্যাস, তৈরি আপনার হেয়ার স্টাইল!বিস্তারিত দেখে নিন ভিডিওতে


সোনার গহনা পরার সময় মনে রাখুন ৫টি বিষয়

Thursday, May 7, 2015 / No Comments
প্রাচীনকাল থেকেই গহনার প্রতি মানুষের অন্য রকম একটা আগ্রহ আছে। আর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে গহনার তো কোনো বিকল্পই নেই। আর যুগ যুগ ধরে সোনার গহনা সেরার সিংহাসনটি দখল করেই আছে। সোনার গহনা কেবল সৌন্দর্যই নয়, বরং ফুটিয়ে তোলে আভিজাত্যও!
তবে একটু বুঝে শুনে না পরলে কিন্তু আপনাকে সোনার গয়নায় সুন্দর লাগার চেয়ে জবরজংই মনে হবে বেশি। তাই সোনার গহনা পরার সময় মনে রাখুন এই কিছু বিষয়।
তাই জেনে নিন সোনার গহনা পরার কৌশলগুলো -
# অতিরিক্ত সোনার গয়না পরবেন নাঃ
বিয়েবাড়ি হোক আর বন্ধুর পার্টি, পোশাকের সাথে অতিরিক্ত গহনা কখনোই পরবে না। গলায় ভারী গহনা থাকলে কানে হালকা কিছু পরুন। গলায় একই সাথে দু তিনটি গহনা মোটেই ভালো দেখায় না। সুন্দর একটিই গহনা পরুন, সেট মিলিয়ে। তাতেই ভালো দেখাবে। হাতের সব কটি আঙ্গুলে আংটি না পরে দু একটি পরুন।

# পোশাক ও গায়ের রঙের কথা মাথায় রাখুনঃ
পোশাকের কথা মাথায় রেখে গহনা পরুন। সালোয়ার কামিজের সাথে যতটা ভারী গহনা মানায় তার চেয়ে ভালো মানায় শাড়ির সাথে। যাদের গায়ের রঙ কালো বা শ্যামলা তাদের ক্ষেত্রে চকচকে সোনালী রঙের গয়না তেমন ভালো মানায় না।

সেক্ষেত্রে হোয়াইট গোল্ড ট্রাই করতে পারেন। আর একান্তই যদি সোনালী গহনা পরতেই ভালো লাগে, তাহলে রঙ্গিন পাথর বসানো সোনার গয়না বেছে নিন। ভালো দেখাবে।
# অন্য গহনার সাথে মিলিয়ে পরুনঃ
অনেকেরই ধারণা আছে যে, সোনার গহনা পরলে অন্য কোনো গহনা তার সাথে পরা যাবে না। অথচ একটু বুদ্ধি খাটিয়ে আপনি সহজেই মিক্স এন্ড ম্যাচ করে পরতেই পারেন। গোল্ডের সাথে সিলভার বা কপার রঙের চুড়ি মিলিয়ে পড়লে মোটেই খারাপ দেখাবে না।

# সময় নির্বাচনঃ
দিনের বেলার কোন অনুষ্ঠানের জন্যে হোয়াইট গোল্ড বেছে নিন। কারণ দিনের বেলা হলদে রঙের সোনার গয়না অনেক বেশী চক চক করবে ও তেমন ভালো নাও দেখাতে পারে।

কিন্তু রাতের অনুষ্ঠানে নির্ভাবনায় বেছে নিন সোনালী সোনার গয়না। আর কালো রঙের পোষাকের সাথে সোনার গয়নার যুগলবন্দী তো নতুন করে বুঝিয়ে বলার কিছুই নেই!
# খেয়াল রাখুন নকশাতেওঃ
অনেকেই পুরোনো ধাঁচের সুক্ষ্ম নকশার ভারী গয়না পছন্দ করেন আবার অনেকেই পছন্দ করেন বর্তমানের হালকা অথচ দারুণ ফ্যাশনেবল নকশার।

খেয়াল রাখুন, একই সময় যে কোন একটি ধরনের গয়না ব্যবহার করুন। দুটো মিলিয়ে ব্যবহার করতে যাবেন না। এতে ভালো না দেখানোর সম্ভাবনাই বেশি।
ব্যস, এই ছোট্ট বুদ্ধিগুলো মাথায় রাখুন আর আপনার প্রিয় সোনার গয়নার সাজিয়ে তুলুন নিজেকে! হয়ে উঠুন হাজারো মুখের মাঝে প্রিয় মুখ।